চকরিয়া টাইমস:
চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আবদুল্লাহ বাহাদুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় শুরুতে দারসুল কুরআন পেশ করেন উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল। অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মো. মিসবাহুল করিম, উপজেলা উত্তর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা ছাবের আহমদ, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে মাস্টার মুহাম্মদ মুসা ও চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জামাল হোছাইন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালেকুজ্জামান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন জামায়াত নেতা ফরিদুল আলম চৌধুরী, ছৈয়দ আহমদ, মাস্টার গোলাম নাজের, মাস্টার এনামুল হক, মাওলানা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী শহীদ মহিউদ্দিন মাসুমের পিতা ফজলুল কাদের, জুলাই বিপ্লবে শহীদ আহসান হাবিবের পিতা হেলাল উদ্দিন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন জামায়াতের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ ইবরাহিম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. একরাম হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ রায়হান, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি নূরুল হোসাইন নূরী, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি রাহয়ান উদ্দিন, জামায়াত নেতা এ.এইচ.এম এরশাদ, রুহুল কাদের, কাইছার ছিদ্দিকী রুবেল, মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মনিরুল আলম কুতুবী।
পরে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে মিছিল ও মিছিল পরবর্তী দিরগরপানখালী স্টেশনে গণসংযোগ করা হয়। গণসংযোগকালে তিনি স্থানীয় ব্যবসয়ী-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে সালাম ও কুশলাদি বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাম্যের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সৎ লোকের নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে সমবেত হয়ে পাড়া-মহল্লায় প্রতিটি ঘরে ঘরে কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সাধারণ মানুষের মাঝে জামায়াতের ব্যাপারে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাই জুলাই বিপ্লবের পূর্ণতা পেতে সমাজে ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।