Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
চকরিয়ায় শিশুদের নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র হৈচৈ কিডস পার্কের যাত্রা শুরু

চকরিয়ায় শিশুদের নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র হৈচৈ কিডস পার্কের যাত্রা শুরু

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস): 

চকরিয়া পৌরশহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের পাশে শাহেদা কমপ্লেক্স ভবনের ইসলামী ব্যাংকের নীচে যাত্রা শুরু করেছে কক্সবাজার জেলার প্রথম শিশুদের সৃজনশীল নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র হৈচৈ কিডস পার্ক। উদ্বোধনের পর থেকে পার্কটি শিশুদের পদচারণা মুখরিত হয়ে উঠে। এ পাকর্টির পরিচালনায় রয়েছেন এমপি পুত্র তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ও তরুণ স্থপতি আশরাফুল আরেফিন আসিফ।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় প্রধান অতিথি হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান, কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, শাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

পার্কের অন্যতম মুখপাত্র তরুণ উদ্যোক্তা তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন বলেন, দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে প্রফুল্লতা এনে দিবে। আমরা সে দিকটায়  খেয়াল রেখে শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক ডিভাইসের সমন্বয়ে হৈচৈ নামে একটি সৃজনশীল নান্দনিক শিশু বিনোদন কেন্দ্র তথা কিডস পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করি। যার ফলশ্রুতিতে উদ্বোধনের পরপরই উৎফুল্লচিত্তে এমন বিনোদনে অংশগ্রহণ করেছে অসংখ্য দর্শনার্থী শিশুরা। অন্যদিকে উদ্বোধনী দিবস হিসেবে এদিন ছিন্নমূল শিশুদেরও প্রবেশ টিকেট ফ্রি করার মাধ্যমে তাদেরকেও বিনামূল্যে বিনোদনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয়।

এদিকে পার্ক কর্তৃপক্ষ কয়েকটি ইলেকট্রিকেল রাইডস ছাড়া শিশুদের প্রবেশ টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১শত টাকা। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ অফারে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সবকটি রাইডসসহ দুই ঘণ্টা প্যাকেজের প্রবেশ টিকেটের মূল্য রেখেছেন ২শত টাকা। তাছাড়া এক মাস  মেয়াদি (পনেরো দিন) প্যাকেজের মূল্য ১৫শত টাকা রাখা হয়েছে বলে পার্ক সূত্র নিশ্চিত করে। হৈচৈ কিডস পার্কটি প্রতিদিন রোববার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে ইলেক্ট্রিক রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেইসিং মোটরসাইকেল, মেরিগো রাউন্ড ও সুইং ট্যাংকার কার। উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে –সকার বোর্ড, কিড্স ক্যারম বোর্ড, বাচ্চাদের ছোট ৮বল পুল বোর্ড, ফুসবল, বাউন্সি ক্যাসেল, জাম্প ও লাইন, বেশকয়েক ধরণের বল হাউস, কয়েক প্রকারের দোলনাসহ বাচ্চাদের রকমারি রাইডস। এছাড়াও পার্কের অভ্যন্তরে রয়েছে কিড্স শপ। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, বিদেশি পুতুল, শিক্ষাসহায়ক সামগ্রি, দেশি-বিদেশি স্বাস্থ্যকর জুস, চকলেট, ওয়েফার ইত্যাদি। এতে পর্যায়ক্রমে বাচ্চাদের কাপড়- চোপড়, প্রসাধনী সামগ্রিসহ শিশুদের বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যাবে বলেও পার্ক সূত্র নিশ্চিত করে।

আবারো চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলি : উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন

আবারো চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলি : উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার ১১৩তম আসরে কাকতালীয়ভাবে কুমিল্লার শাহাজালাল বলিকে হারিয়ে আবারো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়ার কৃতিসন্তান তারেকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী। 

সোমবার (২৫এপ্রিল) চট্টগ্রামের লালদীঘির পাড় ময়দানে ঐতিহ্যবাহী এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

একাধিক সূত্র জানায়, শতাধিক প্রসিদ্ধ বলিকে কুস্তির কৌশলে পরাস্ত করে জীবন বলি দেশের সর্ববৃহৎ আসর জব্বারের বলী খেলায় দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।

এরআগেও ২০১৮ সালে জীবন বলি কুমিল্লার শাহজালাল বলিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারেকুল ইসলাম জীবন চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দা।

এদিকে ১১৩তম আসরে শাহাজালাল বলি হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান, চকরিয়া পৌরসভার নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ মোরশেদসহ বিভিন্ন মহল। অভিনন্দনদাতারা জীবন বলির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।

শৈবাল হ্নীলা শাখার শিল্পীদের মাঝে আইডি কার্ড বিতরণ

শৈবাল হ্নীলা শাখার শিল্পীদের মাঝে আইডি কার্ড বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ শৈবাল শিল্পী গোষ্ঠীর হ্নীলা শাখার শিল্পীদের মাঝে আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৮এপ্রিল) সাপ্তাহিক কালচারাল ক্লাসে শিশু কিশোর শিল্পীদের মাঝে এসব কার্ড বিতরণ করা হয়। 

প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পীদের কার্ডগুলো পরিয়ে দেন কক্সবাজার প্রবাল ও শৈবাল শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসা ইবনে হোসাইন বিপ্লব। 

এসময় শৈবাল শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক হেলাল উদ্দিন সাকিব, সহকারী পরিচালক নুরুল কাদের শাহীসহ শৈবালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিতর্কে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ জেলা চ্যাম্পিয়ন

বিতর্কে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ জেলা চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কক্সবাজারে বিতর্ক প্রতিযোগিতায়  জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ। বুধবার (২৩ফেব্রুয়ারি) ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে বিতর্কে জেলা চ্যাম্পিয়ন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ বিতার্কিক দল। 

এরআগে চকরিয়া উপজেলা পর্যায়ে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ বিজ্ঞান প্রজেক্টে ১ম, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ১ম, ২য়, ৩য়, বিজ্ঞান কুইজে গ্রুপভিত্তিক ১ম, রচনা প্রতিযোগিতা ২য়, ৩য় এবং মুক্তিযুদ্ধ কুইজে ৩য় স্থান দখলে রেখে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে।

চকরিয়া উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ একতা সমবায় সমিতির প্রথম বর্ষপূর্তি উৎসব সম্পন্ন

চকরিয়া উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ একতা সমবায় সমিতির প্রথম বর্ষপূর্তি উৎসব সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ একতা সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং- ২৫৪৪) চকরিয়া প্রবাসী ইউনিয়নের প্রথম বর্ষপূর্তি উৎসব বুধবার (১২জানুয়ারি) চকরিয়া সায়মা প্লাজাস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সকাল সাড়ে ১১টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তফা আলিমের সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা ফোরকান উদ্দিন।

উপদেষ্টা মাওলানা নাজেম উদ্দিন নাজিমের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত বর্ষপূর্তির আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিদুয়ানুল হক নিরব। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশনের মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ একতা সমবায় সমিতির সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মোহাম্মদ আমিন ও চকরিয়া প্রবাসী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা আবাহা শাখার নুরুল হুদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আনোয়ার, সৌদি আরব শাখার প্রতিনিধি আবদুর রহমান দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হানিফ সংকেত সোহেল, আবাহা শাখার সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খান বাহাদুর মোঃ আবু হেনা, ওমান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

পরে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিদুয়ানুল হক নিরবের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা সহকারী সমবায় কর্মকর্তা আবু তাহের সংগঠনটির প্রথম বর্ষপূর্তির কেক কাটেন।

এদিকে চকরিয়াস্থ কার্যালয়ে সফলভাবে বর্ষপূর্তি উৎসব সম্পন্ন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চকরিয়া প্রবাসী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মুবিনুল ইসলাম।

চকরিয়ায় গানসহ প্রচারণার রেকর্ডিং হাউস কক্স টিউনের যাত্রা শুরু

চকরিয়ায় গানসহ প্রচারণার রেকর্ডিং হাউস কক্স টিউনের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চকরিয়ায় সুস্থ ধারার বিভিন্ন গানের অডিও-ভিডিওসহ যাবতীয় প্রচার প্রচারণার আস্থা ও নির্ভরযোগ্য রেকর্ডিং হাউস ‘কক্স টিউন’র যাত্রা শুরু হয়েছে। 

রোববার (১৪নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় কক্স টিউনের স্বত্ত্বাধিকারী আরমান মাহমুদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পৌর এলাকার সবুজবাগস্থ বহুতল ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারীর মাতা চকরিয়া পৌরসভার তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী চকরিয়া বুড়িপুকুরের কৃতী সন্তান শিল্পী শোয়াইব বিন হাবিব এবং চকরিয়া প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহজালাল শাহেদ। 

এসময় সাংবাদিক শাহরিয়ার মাহমুদ রিয়াদ, সাংবাদিক সালেম বিন নূর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এম.এম.এইচ ইয়াছির আরাফাত, মাস্টার মো. এরফানুল হক, প্রতিষ্ঠান স্বত্ত্বাধিকারী পিতা মুনশি (আইনজীবী সহকারী) মাহমুদুল হক, শিল্পী ওয়াহিদুল ইসলাম, শিল্পী আবু তৈয়ব, শিল্পী শেফায়েত হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বাইক রাইড করে সিলেট শাহজালালের মাজারে চকরিয়ার দশ তরুণ

বাইক রাইড করে সিলেট শাহজালালের মাজারে চকরিয়ার দশ তরুণ

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

টানা বারো ঘণ্টার নির্ঘুম রাত কাটিয়ে বাইক রাইড করে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার তথা পূণ্যভূমি সিলেট ঘুরে এসেছে চকরিয়ার দশ তরুণ। এভাবে যেতে লেগেছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বারো ঘণ্টা আর একইভাবে ফিরতেও লেগেছে বারো ঘণ্টা। মধ্যখানে সিলেটে মুসাফিরের জীবন কেটেছে দুইদিনের। এমন বিনোদনে তাদের প্রতিটা মুহুর্ত কেটেছে রোমাঞ্চকর। 

বাইক রাইড করে সিলেট ঘুরে আসা তারা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে অসম্ভবকে সম্ভব করে পিলে চমকানোর মতো এমন তথ্য। এ ট্যুরে গত ৮সেপ্টেম্বর’২১ থেকে ১২সেপ্টেম্বর’২১ পর্যন্ত তাদের সময় ব্যয় হয়েছে পাঁচদিনের। 

বার্গারইট চকরিয়ার সৌজন্যে চকরিয়া টু সিলেটের এই ট্যুরে নৈপূণ্যতা ও কৌশলি রাইডারের ভ‚মিকা পালন করেন শামিমুল করিম, সাজিদ এলাহি, ইকবাল হামিদ রানা, লুৎফুর রহমান মনিরুল ও ইমরান হোসাইন। এদের নেতৃত্বে দশজনের এ টিমে অন্য সহযোগিরা হলেন- কাইছারুল ইসলাম শাহিন, আশরাফ উদ্দিন হেলাল, ওসমান গণি, আবদুল আউয়াল আশিক ও খোকন। তাদের দক্ষ চালনায় গন্তব্য থেকে নিজ এলাকায় ফিরতে সক্ষম হন বলে দাবি করেন তারা। 

এ বিষয়ে রাইডার শামিম, সাজিদ ও রানা প্রতিবেদককে জানান, কোন ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বাইক রাইড করে আমরা আমাদের চকরিয়া টু সিলেট ট্যুর প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছি। সমূহ সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে দোয়া চেয়ে পরিবারের কাছে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, এ বিষয়ে আমরা সকলে পরিবারের কাছে অবগত করেছি। সফলতার জন্য তাদের কাছে দোয়াও চেয়েছি। মা-বাবা পরিবার পরিজনকে থাকতে বলেছি চিন্তার আওতামুক্ত। 

পথে পথে অভিজ্ঞতা:

রাতের আঁধার ভেদ করে একটি আলোর সন্ধাণে যেখানে যাদের যাত্রা; সেখানে ব্যস্ততম মহাসড়কের কিছুক্ষণ পরপর দানব গাড়ির কোলাহল ছাড়া বাকি পথের সুনসান নিরবতা মোটেও বিচলিত করেনি তাদের। অদম্য সাহসিকতার ফিরতি পথে চট্টগ্রাম সিটি গেইটের আগে মহাসড়কের মাঝখানে গাড়ির ধাক্কায় নিহত চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়া একটা লাশের দেখা মেলে। তখন রাত আড়াইটা। একটু পর পর সতর্কতা। রাইডার যখন বাইক চালায়; পেছনে আরোহী সহযোগির ভ‚মিকা থাকে তখন বাসের চালক হেলপারের ন্যায়। 

সিলেটের যতো দর্শনীয় স্থানে যাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, রাতারক‚ল, জাফলং, আগুন পাহাড়, শ্রীমঙ্গল, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, খাসিয়াপুঞ্জি, চাবাগান, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, শ্রীমঙ্গল বদ্যভূমি একাত্তর, সীমান্ত একাত্তর ইত্যাদি দর্শনীয় এলাকা।

এদিকে এবার বাইক রাইড করে ৬৪জেলা ঘুরে বেড়ানোর কর্মপরিকল্পনা হাতে রয়েছে বলে জানান রাইডার ইকবাল হামিদ রানা। তিনি বলেন, প্রস্তুতি চলছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া সবকিছু অনুক‚লে থাকলে বাইক রাইডে ভালো লাগার দীর্ঘ এই ট্যুরে সংযুক্ত হবো ইনশা’আল্লাহ। তাই এ সফলতার জন্য সকলের সর্বাত্মক দোয়া কামনা করছি।

 

সাংবাদিককে হুমকি শাহরুখের

সাংবাদিককে হুমকি শাহরুখের

 

সময়টা ১৯৯৩ সাল। সে সময়ে দিল্লিতে থাকতেন শাহরুখ খান। ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির কাজ চলছে তখন। তার দু’বছর আগেই গৌরী খানের সাথে বিয়ে হয়েছে তার। সেই বিয়ে ভাঙতে বসেছিল একটি গুজবের কারণে। সেই গুজব ঠেকাতে কী করেছিলেন শাহরুখ? সেই গল্পই নিজে মুখে বলেছিলেন ‘বাদশা’।

‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির সহ-অভিনেত্রীর সাথে শাহরুখের প্রেম। এমনই একটি খবর বেরিয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। যা পড়ে গৌরী চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। শাহরুখের কথা থেকে জানা যায়, তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত ঠিক কিনা, এ সব চিন্তা ভাসছিল গৌরীর মাথায়। ক্ষুব্ধ শাহরুখ সমস্যা মেটাতে সোজা সেই সাংবাদিককে ফোন করেন, যিনি সেই খবরটি লিখেছিলেন।

সাংবাদিক জানান, তিনি মজা করে খবরটি লিখেছিলেন। তার পরে শাহরুখ নাকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সে কথা শাহরুখই জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।

শুধু তা-ই নয়, শাহরুখ সটান তার বাড়ি পৌঁছে যান। শাহরুখ বলেন, ‘সেখানে গিয়ে খুব খারাপ আচরণ করি আমি। বিয়ের সময়ে আমার শ্বশুর আমাকে একটি উপহার দিয়ে বলেছিলেন, তার মেয়েকে রক্ষা করতে হবে। যদিও সেই ঘটনায় গৌরীকে কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু আমার কেন জানি মনে হল, বিয়ের কুকরিটিই সব থেকে ভালো অস্ত্র।’

সাংবাদিকের বাড়ি ঢোকার আগে বাইরে এক কমবয়সি ছেলের সাথে মুখোমুখি হতেই তিনি তার পায়ে কোপ বসান।

প্রসঙ্গত, আনুষ্ঠানিক ভাবেই তার বিয়েতে সেই কুকরি বা ছোট তলোয়ার উপহার দিয়েছিলেন গৌরীর বাবা।

সেই ঘটনার এক দিন পর ‘কভি হাঁ কভি না’-এর সেটে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় শাহরুখকে। সন্ধে ৬টার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জামিনের কোনো উপায়ও ছিল না। শাহরুখকে কেবল একটি ফোন করার অনুমতি দেয়া হয়। ফোন হাতে পেয়ে পরিবারকে জানানোর বদলে সেই সাংবাদিককে ফোন করে হুমকি দেন।

তিনি বলেন, ‘এবার হাজতেও চলে এসেছি। বেরিয়ে তোমাকে কেটে ফেলব।’ অভিনেতা নানা পটেকর শাহরুখের জামিনের বন্দোবস্ত করেছিলেন। এই ঘটনার পর গৌরী খুব রেগে যান। শাহরুখ তাই নিজের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা কমানোর চেষ্টায় রত হন। আর সেই কাজ তিনি করে উঠতে পেরেছেন বলেই মনে করেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতায় ল্যাপটপ পেলেন যিনি!

কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতায় ল্যাপটপ পেলেন যিনি!

বিশেষ প্রতিবেদক :

সর্বাধিক প্রচারিত শিশু-কিশোর মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠ আয়োজিত জাতীয় কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২১’এর ফল প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফল প্রকাশ ও ১০ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন কিশোরকণ্ঠ সম্পাদক কবি মোশাররফ হোসেন খান।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল সংখ্যার ওপর জাতীয় কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার পাঠক অংশগ্রহণ করেন। সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম পুরস্কার ল্যাপটপ, দ্বিতীয় পুরস্কার নোট প্যাড, তৃতীয় পুরস্কার ট্যাবসহ মোট ১০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক মু. মুঞ্জুরুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক শাহীদুল হাসান তারেক, তোফাজ্জল হোসাইন, আবু সাঈদ খুদরি, নাবিউল হাসান, আতিকুর রহমান, জামাল উদ্দিন, বেলাল হোসাইন, নাহিদ হাসান, গোলাম মোস্তফা, এনামুল হক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
নতুন কিশোরকণ্ঠের সম্পাদক বলেন, ‘কিশোরকণ্ঠ পড়বো জীবনটাকে গড়বো’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়ে আসছে কিশোরকণ্ঠ পত্রিকা। বাংলাদেশের অসংখ্য শিশু-কিশোরের প্রিয় মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠ।
নতুন কিশোরকণ্ঠ পত্রিকা একজন ছাত্রকে পড়ালেখার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় উৎসাহিত করে। আজকের শিশু-কিশোরদেরকে আগামীর বাংলাদেশের জন্য সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এক সাহসী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে কিশোরকণ্ঠ। একই সাথে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই পত্রিকা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে। দেশব্যাপী জাতীয় কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা তার মধ্যে অন্যতম। করোনাকালীন সময়ে শিশু-কিশোরদের সুন্দর ও যোগ্য করে তুলতে মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠের এই উদ্যোগ যেন সার্বিকভাবে সফল হয় সেই কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে।

কিশোরকণ্ঠ পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২১-এর ফল প্রকাশ

পুরস্কার বিজয়ী যারা-
১ম স্থান : মো. ইয়ামিন কিবরিয়া, চরফ্যাশনপুর, ভোলা।
২য় স্থান : আহমদ ইমতিয়াজ সাজিদ, রামগতি, লক্ষীপুর।
৩য় স্থান : নূহবাত শহীদ উপমা, সদর, টাঙ্গাইল।
৪র্থ স্থান : মারিয়াম সুলতানা মাইশা, খিলগাঁও, ঢাকা।
৫ম স্থান : মো. সাইদী, হোমনা, কুমিল্লা।
৬ষ্ঠ স্থান : মুজতানিবা বিনতে মাহবুব, গলাচিপা, পটুয়াখালী।
৭ম স্থান : শাকেরা মামদুদা, পাইকগাছা, খুলনা।
৮ম স্থান : রিয়াদ আহমদ, ওসমানীনগর, সিলেট।
৯ম স্থান : মারুফ মুসা, তেতুলিয়া, পঞ্চগড়।
১০ স্থান : জীবান আহমদ আশ্রাফী, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
পুরস্কার :
১ম পুরস্কার ল্যাপটপ
২য় পুরস্কার নোট প্যাড
৩য় পুরস্কার ট্যাব
৪র্থ পুরস্কার মোবাইল
৫ম পুরস্কার ৮,০০০/— (আট হাজার টাকা)
৬ষ্ঠ পুরস্কার ৭,০০০/— (সাত হাজার টাকা)
৭ম পুরস্কার ৬,০০০/— ( ছয় হাজার টাকা)
৮ম পুরস্কার ৫,০০০/— (পাঁচ হাজার টাকা)
৯ম পুরস্কার ৪,০০০/— (চার হাজার টাকা)
১০ম পুরস্কার ৩,০০০/— (তিন হাজার টাকা)
এছাড়াও প্রত্যেক বিজয়ীর জন্য থাকবে শ্রেষ্ঠ পাঠক স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ, ক্রেস্ট এবং মূল্যবান বই।
চকরিয়ার ছেলে শিল্পী পারভেজ প্যানভিশন টিভির লাইভে গাইবে আজ

চকরিয়ার ছেলে শিল্পী পারভেজ প্যানভিশন টিভির লাইভে গাইবে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনপ্রিয় আইপি টেলিভিশন চ্যানেল প্যানভিশন টিভির লাইভে আজ বৃহস্পতিবার (২৬আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গান পরিবেশন করবে চকরিয়ার ছেলে শিল্পী হুমায়ুন কবির পারভেজ। লাইভ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন দেশের বরেণ্য শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক ।

চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা গ্রামের কৃতী সন্তান পারভেজ পালাকাটা দাখিল মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। 

গানের জগতে ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত তার পদচারণা দীর্ঘদিনের। সময় হাতে পেলে গুনগুন করে সুর তোলেন গলায়। এভাবে করে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়ও রাখেন কৃতীত্বের সাক্ষর। 

বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগে অনার্স কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন। মেধাবি এ শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি সাংস্কৃতিক সংগঠন পাঞ্জেরী শিল্পী গোষ্ঠীর সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।
কবি আল মাহমুদের ৮৫তম জন্মদিন আজ

কবি আল মাহমুদের ৮৫তম জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার : 

‘সোনালী কাবিন’ শব্দ দুটো উচ্চারণ করলেই যার নাম সামনে আসে, তিনি হচ্ছেন কবি আল মাহমুদ। গত ৫০ বছর ধরে বাংলা কবিতার জগতে আলোড়ন তুলেছেন এই কবি। 'সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্যানুরাগীদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এই কবি। কবিতা, গল্প এবং উপন্যাস- সব শাখাতেই তাঁর বিচরণ থাকলেও, আল মাহমুদ কবি হিসেবেই ব্যাপক পরিচিত।

সেই কবি আল মাহমুদের ৮৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম সোনালী কাবিনখ্যাত বরেণ্য কবি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।
কবি আল মাহমুদের পিতার নাম মীর আবদুর রব এবং মাতার নাম রওশন আরা মীর। বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাইস্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু হাইস্কুলের পড়াশোনা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। মাত্র ১৮ বছর বয়স ১৯৫৪ সালে সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে কবি ঢাকা আসেন। তখন থেকেই তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। ঢাকা আসেন এবং পত্রিকায় কাজ নেন, তখনই সাহিত্যে পুরোদমে মনযোগী হন। আজীবন আত্মপ্রত্যয়ী কবি ঢাকায় আসার পর কাব্যসাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত বিখ্যাত ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম সুপরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র-পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।  
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর ‘কালের কলস’, ‘সোনালী কাবিন’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে উঠো’ কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, যুদ্ধের পরে দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’ নামক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এই পত্রিকায় সামসুদ্দিন পেয়ারা, মরহুম আসফউদ দৌলা, ফজলুল বারী প্রমুখ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। মূলত এই সময় তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এক বছরের জন্য একবার জেল খাটেন। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর নেন।
বাংলা কবিতা যাদের হাত ধরে আধুনিকতায় পৌঁছেছে, কবি আল মাহমুদ তাদের অগ্রগণ্য। যেন ঐশ্বরিক মতা রয়েছে তার কলমের কালিতে। আল মাহমুদের কলম বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরো উর্বর। সাহিত্যের সব শাখাতেই তার সমান পদচারণা। তার লেখনীর ব্যতিক্রম স্বাদের জন্য তিনি বারবার আলোচিত হয়েছেন। হয়েছেন অসংখ্যবার পুরস্কৃত। মাত্র দু’টি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার মাঝে ছিল সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম ‘সোনালী কাবিন’।
কবি আল মাহমুদের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা। কবিতা, গল্প, উপন্যাসসহ শ’ খানেকের মতো। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ কবিতা : লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, প্রহরান্তরের পাশ ফেরা, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, মিথ্যেবাদী রাখাল, আমি দূরগামী, বখতিয়ারের ঘোড়া, দ্বিতীয় ভাঙন, নদীর ভেতরে নদী, উড়াল কাব্য, বিরামপুরের যাত্রী, বারুদগন্ধী মানুষের দেশে, তুমি তৃষ্ণা তুমিই পিপাসার জল, অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না, ইত্যাদি। পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত, গন্ধবনিক, ময়ূরীর মুখ, নীল নাকফুল, কলংকিনী জ্যোতির্বলয়, গন্ধ বণিক, সৌরভের কাছে পরাজিত, আল মাহমুদের গালগল্প ইত্যাদি ছোট গল্পগ্রন্থ। উপন্যাস : কাবিলের বোন, উপমহাদেশ, চেহারার চতুরঙ্গ, নিশিন্দা নারী, ইত্যাদি। শিশুতোষ : পাখির কাছে ফুলের। প্রবন্ধ : কবির আত্মবিশ্বাস, কবির সৃজন বেদন, আল মাহমুদের প্রবন্ধ। ভ্রমণ : কবিতার জন্য বহুদূর, কবিতার জন্য সাত সমুদ্র। আত্মজীবনী- যেভাবে বেড়ে উঠি। আল মাহমুদ পুরো একটি জীবন কবিতার পথে কাটিয়ে এখন প্রায় গোধূলিলগ্নে। কবিজীবনের সঙ্গে দারুণভাবে মিশে আছে বাংলাদেশের বাঁক-বদলের ইতিহাস। স্বদেশের শক্তি বুকে নিয়ে, চোখে জাতির স্বপ্ন দিয়ে এখনো তিনি লিখে চলছেন সমান তালে। কবি হয়েও পাঠকের কাছে চমৎকার ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন গল্প, উপন্যাস। তার গল্প থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে কলকাতায়।
কবির জন্মদিনে আজ ফেইসবুক লাইভে কবিতা পাঠের আসর এবং দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সহসভাপতি জাকিউল হক জাকি। এর আগে গতকাল একই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কবি জাহিন তাজ কবি আবু তাহের বেলাল, মাহবুব মুকুল প্রমুখ। আজকের ফেসবুক লাইভে সংশ্লিষ্টদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।   
কবির ছেলে, মীর শরীফ মাহমুদ জানিয়েছেন পরিবারের পক্ষ থেকে এবার কোন আয়োজন নাই। তবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন রয়েছে। করোনার কারণে বড় রকমের কোন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে শিল্পী আনোয়ার হোসাইন আজাদ

মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে শিল্পী আনোয়ার হোসাইন আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিশ্বের প্রসিদ্ধ প্রাচীণতম বিশ্ববিদ্যালয় মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছেন তরুণ শিল্পী আনোয়ার হোসাইন আজাদ। তিনি পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কৃতী সন্তান। 

শিল্পী আনোয়ার হোসাইন দেশ সেরা দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম কৃতীত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। 

শিশুকাল থেকে ইসলামী তথা সুস্থ সাংস্কৃতিক অঙ্গণে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন শিল্পী আনোয়ার হোসাইন। দেশের বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও মাহফিলে অতিথি শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করে সুনামের সাথে শ্রোতা ও দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের আয়োজনে মাহে রমযানসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবস কেন্দ্রিক বিভিন্ন ইসলামিক প্রোগ্রামেও গান করেন এ কৃতি শিল্পী। 

“সালাম সালাম হাজার সালাম” গানের রচয়িতা আর নেই

“সালাম সালাম হাজার সালাম” গানের রচয়িতা আর নেই

অনলাইন ডেস্ক :

বিশিষ্ট কবি, প্রখ্যাত গীতিকার, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের রচয়িতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৪ জুলাই) ভোর ৪ টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ফজল-এ-খোদা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফজল-এ-খোদার স্ত্রী, ইত্তেফাকের এডিটোরিয়াল বিভাগে কর্মরত তার ছেলে ওয়াসিফ-এ-খোদা এবং তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ফজল-এ-খোদার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফজল-এ-খোদা বহু কালজয়ী গানের গীতিকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।
তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকা বেতারের সাবেক এই আঞ্চলিক পরিচালক শিশু কিশোরদের সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম গানটি’ রয়েছে ১২তম স্থানে।
১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।