Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী : মামুন মাহফুজ

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী : মামুন মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক : 

আছিয়াকে নিয়ে কোন কথা লিখিনি বলিনি।

কেন সে কারণটা বলতেও আমার বুক কাঁপে।
এটা একটা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স। এর জন্য সরকার নয় পরিবার দায়ী। তবে সবচেয়ে বেশি দায়ী সমাজ ব্যবস্থা।
এই সমাজ ব্যবস্থা কাউকে ধনী বানিয়েছে কাউকে দরিদ্র বানিয়েছে কাউকে ক্ষমতাবান বানিয়েছে আর কাউকে অসহায় বানিয়েছে।
ধর্ষণের প্রধান কারণ এই বৈষম্য। যার শক্তি আছে সে তার চেয়ে কম শক্তিশালী বা দুর্বলের ওপর যেকোনো ধরনের উপায়ে নিপীড়ন করে।
ধর্ষণ যেকোনো পুরুষ করতে পারে। ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে একটা পুরুষ চিন্তা করে না যাকে ধর্ষণ করবে সে শিশু নাকি যুবতী নারী! বরং সে চিন্তা করে এর সঙ্গে কিছু করলে আমার কিছু হবে কিনা যখন সে বুঝতে পারে যে এর সঙ্গে খারাপ কিছু করলেও আমার কিছু হবে না তখনই সে খারাপ কিছু করে।
কখন ধর্ষক এটা ভাবে?
যখন প্রতিপক্ষ দুর্বল হয় বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর উপর মানুষ অত্যাচার নিপীড়ন ধর্ষণ ইত্যাদি বেশি চালায়।
এসব তাত্ত্বিক কথা বলে আর লাভ নেই, মানুষ কোন সমস্যার মূল উপড়ে ফেলতে রাজি নয়, তাৎক্ষণিক সমাধান চায়।
আছিয়ার উপর এমন নিষ্ঠুর ঘটনা যে ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা ওই পশুটার কাছ থেকে আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আছিয়ার বোন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি তার দারিদ্র্যের কারণে। সামাজিক কারণে। আছিয়ার বাবা মার কারণে।
আছিয়ার বোন যখন তার শশুরের কাছ থেকে কুদৃষ্টির আভাস পেলেন তখনই তার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আছিয়া সম্পূর্ণ স্বামী নির্ভর এবং তার বাবা মা অত্যন্ত দরিদ্র। এইচ অসহায়ত্ব এরকম অসহায়ত্ব নারীদেরকে ধর্ষিত হতে বাধ্য করে নিপীড়িত হতে বাধ্য করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।
শশুরের কু মতলব টের পেয়ে আছিয়া স্বামী-সংসার ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আছিয়ার বাবা-মায়ের জন্য অভিশাপ আর সমাজের জন্য কলঙ্ক। কোন মেয়ে বাপের বাড়ি ফিরে গেলে সেইটা মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধ বড় লজ্জার। কার কতটুকু দোষ তার বিচার ছাড়াই মানুষ রায় দিয়ে দেয়।
ঘটনার দিন আসিয়া ও তার স্বামী কোথায় ঘুমিয়ে ছিল আর তার ছোট বোনটি কোথায় ঘুমিয়ে ছিল সেটি আমি আজ পর্যন্ত পরিষ্কার হতে পারিনি।
নিঃসন্দেহে বোন তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝখানে আছিয়াকে জায়গা দেননি। এমনকি আছিয়া কে আলাদা থাকতে দিলেও সেখানে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা কিংবা চিন্তা করা বোনের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আছিয়ার বোন আছিয়ার সর্বনাশ ঠেকাতে পারেনি। কিন্তু শ্বশুরের মতলব থেকে কুদৃষ্টি থেকে সে নিজেকে রক্ষা করেছে। সেজন্য আছি আর বোনকে স্যালুট অন্তত একজন নারী নিজেকে হেফাজত করতে পেরেছে।
কিন্তু একই স্থানে যদি আছিয়ার বোন না হয়ে আছিয়ার ভাই হত দৃশ্যপট টা কী হতো?
ভাই তার নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও বোনকে রক্ষা করত বোনের গায়ে একটা আঁচর লাগতে দিত না। একটা মেয়ে তার স্বামী তার বাবার চেয়েও তার ভাইকে বেশি ভালোবাসে ঠিক এই কারণে। একটা মেয়ে তার স্বামীর কাছে তার বাবার কাছেও যতটা নিরাপদ নয় তার চেয়েও বেশি নিরাপদ বোধ করে তার ভাইয়ের কাছে।
আজ থেকে কান খুলে শুনে রাখেন বোনকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর সময় আরেকটা বোনকে দিয়ে পাঠাবেন না, ভাইকে পাঠাবেন। ভাই যদি ছোট হয় সে তার বোনকে আগলে রাখার সমস্ত চেষ্টা করে এবং সেই ক্যাপাসিটি আল্লাহ তাকে দিয়ে দেন।
আর এ কারণেই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে পুরুষ হচ্ছে নারীর দায়িত্বশীল, রক্ষা কর্তা, অভিভাবক। আর এ কারণেই নারীদের দূরযাত্রায় হজ যাত্রায় একজন পুরুষ মাহরেম লাগে।
আমি আমার মেয়েকে স্কুলে পাঠাবার সময় কিংবা বাসায় একলা কখনো রেখে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় তার সাথে তার ছোট ভাইকে রাখি। সে যদিও ছোট কিন্তু আমরা তার দায়িত্বশীলতা এই ছোটবেলাতেও যতটুকু দেখেছি তা সত্যি মুগ্ধ করার মত। আলহামদুলিল্লাহ। ভাই তার বোনের সঙ্গে এটা নিয়ে ওটা নিয়ে ২৪ ঘন্টা লড়াই করে কিন্তু বোনের হেফাজতের ক্ষেত্রে সে এক বিন্দু অবহেলা করে না, ছাড় দেয় না।
আমি নিশ্চিত আছিয়ার ক্ষেত্রে সেখানে যদি আছিয়ার বোন না হয়ে ভাই হত ঘটনা ঘটতো পুরোটাই উল্টো।

লেখক:
মামুন মাহফুজ
সাংবাদিক
দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো

দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো

সোহাইল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া): 

তিতাস নদীর উপর অস্থায়ী সাঁকো, পাকা সেতুর দাবি ৩৫ হাজার মানুষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর উপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা দুই উপজেলার ১৭ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো এলাকাবাসীর। তবে গত ৪-৫ বছর ধরে এই বাঁশের সাঁকো নির্মিত হওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে হলেও দ্রুত নদী পারাপার করতে পারছে তারা।

সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিতাস নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হলে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। বিশেষ করে নবীনগর উপজেলার অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবে।

স্থানীয়দের দাবি উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের চরলোহনিয়া ওয়াই সেতুর নিচ থেকে তিতাস নদীর একটি শাখা কলাকান্দি, পূর্বহাটি, ফরদাবাদ, পিঁপড়িয়াকান্দা, দুবাচাইল, বাজে বিশারা, ভিটিবিশারা, গোকুলনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ইমামনগর পর্যন্ত প্রবাহিত। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকা চলাচল করত। কিন্তু নৌকায় পার হতে সময় লাগার পাশাপাশি ঝুঁকিও ছিলো অনেক।

অবশেষে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো ব্যবহার করে দুই উপজেলার মানুষ প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরসহ ঢাকা, কুমিল্লা, মুরাদনগর ও নবীনগরে যাতায়াত করছে। তবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বর্ষাকালে চলাচল আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। 

সাঁকোটি ব্যবহার করে নবীনগর উপজেলার রতনপুর, শ্রীকাইল, ভিটিবিশারা, বাজে বিশারা, শাগদা, পেন্নাই, চন্দ্রনাইল, দুবাচাইল, সাহাপুর, সাতমোড়া, মোল্লা ও ভাউচাইল গ্রামের মানুষ কড়িকান্দি ফেরি পার হয়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইমামনগর, দরিকান্দি, গোকুলনগর, খাল্লা ও ফরদাবাদ গ্রামের মানুষ নবীনগরসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সেতু নির্মাণ স্থানীয়দের মতে, তিতাস নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। এতে নবীনগরের অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তাদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে।

নতুন কমিটি ঘোষণা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজের প্রতিশ্রুতি: মাহবুবুর রহমান

নতুন কমিটি ঘোষণা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজের প্রতিশ্রুতি: মাহবুবুর রহমান

সোহাইল আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার: 

ছাত্র-তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে উল্লেখ‌ করে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ‌্যাপক মাহবুবুর রহমান

বৃহস্পতিবার  (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকা‌লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উদ্যোগে  মাওলাগঞ্জ বাজার অ‌ডি‌টোরিয়ামে এক জনসভায়  তিনি এ কথা বলেন। মাও‌লানা জুবা‌য়ের আহ‌মে‌দ ও মাওলানা নুরুদ্দি‌নের সঞ্চলনায় সভাপতিত্বে ক‌রেন মোহম্মদ শামসুল হক (সুমন)

মাহবুবুর রহমান ব‌লেন, ‘ছাত্র তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। মতপার্থক্য নিয়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সবাইকে।’

তিনি আরও ব‌লেন আমাদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। যেখানে জুলুম, দুর্নীতি, অন্যায় থাকবে না। থাকবে শান্তি, সমৃদ্ধি, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সাম্য। সেই রাষ্ট্র হবে ইসলামি মূল্যবোধের রাষ্ট্র। এ জন্য আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস নিয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে দেশ গড়ার কাজ করতে চাই। ইসলামের পক্ষে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য এই প্রয়াস ইনশা আল্লাহ সফল হবে

সভায় প্রধান বক্তা হি‌সা‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন অধ‌্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা গাজী নিয়াজুল ক‌রীম, মুফ‌তি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা জা‌কির হোসাইন,হা‌ফেজ কারী মোহাম্মদ আলী, মুফ‌তি সাইদুর ইসলাম আল মাদানী, মাওলানা জ‌মির হোসাইন সি‌দ্দিকী, আলমগীর হোসাইন (বাদল), মুফ‌তি মাসুম বিল্লাহ ফরিদী আরও উপ‌স্থিত‌ ছি‌লেন হা‌ফেজ আশ্রাফ আলী, মুফ‌তি শেখ সাদী বিন আব্দুল মজীদ, মুফ‌তি মোবারক উল্লাহ সিরাজী, শ‌ফিক মিয়া প্রমূখ। 

প‌রে স‌ম্মেলন শে‌ষে দুই (২০২৫-২৬) বছ‌র মেয়াদী নতুন ক‌মি‌টি গঠন করা হয় সভাপ‌তি মো: শামসুল হক সুমন, সহসভাপ‌তি মো: জুবা‌য়ের আহ‌মেদ, সহসভাপ‌তি মুফ‌তি সাইদুল ইসলাম, সে‌ক্রেটা‌রি মওলানা জা‌কির হোসাইন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মাওলানা নুরু‌দ্দিন।

বিচারের পরেই অন্য কাজ : কক্সবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

বিচারের পরেই অন্য কাজ : কক্সবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা আমাদের এ দেশে মেজরিটি মাইনরিটি একেবারেই মানিনা। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা এদেশের মর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। ইসলাম কারো উপর জোর খাটানোর কোন অধিকার রাখেনা। অন্য ধর্মও কোনো ধর্মের উপর জোর খাটাতে পারবেনা যদি সেটি ধর্ম হয়ে থাকে। তিনি "আগে বিচার তারপর অন্য কাজ, ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ" সবার বলে মন্তব্য করেন।
শনিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, সমাজের মধ্যে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু বলে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা হয়েছিলো। এখানে মেজরিটি মাইনরিটি বলে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরমের ভাই বোনদের নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের সম্পদ গ্রাস করা হয়েছে, জায়গা জমি দখল করা হয়েছে, ইজ্জতের উপর হাত দেয়া হয়েছিলো, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর দোষ দেয়া হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর উপর।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোথায় কোথায় জামায়াতের কর্মীরা এসব অপকর্ম করেছে, তা সুস্পষ্ট করে নাম ঠিকানা দিয়ে আমাদের সাহায্য করুন। আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, ন্যায় বিচার আমরা আপনাদের হাতে তুলে দেবো। আমরা নিশ্চিত এই অপকর্মের সাথে আমাদের সহকর্মীরা জড়িত নয়।
২৪ এর অভ্যুত্থানকারী প্রজন্মকে সম্মান জানিয়ে আমির বলেন, তোমাদের নেতৃত্বে আমরা ছিলাম। সাড়ে ১৫ বছর আমরা আমাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পারিনি। এটাই সত্য কথা। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছরের ধারাবাহিকতায় তোমাদের নেতৃত্বে জাতি শেষ আঘাতটা ফ্যাসিজমের উপর দিয়েছিলো এবং জাতি সফল হয়েছিলো।
আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অনেকে আবার নিজেরা কৃতিত্ব দাবী করে৷ আমি মাস্টারমাইন্ড, অমুক ভাই মাস্টারমাইন্ড তমুক নেতা মাস্টারমাইন্ড। মহা পরিকল্পনাকারী মহান রাব্বুল আলামিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। এখানে কোনো মাস্টারমাইন্ড আমরা বিশ্বাস করিনা।
ডা. শফিক আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরাও সেভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, সেটা ছিলো আমাদের আশা। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। যদি বলি একেবারেই পূরণ হয়নি, তাহলে কথাটা সত্য হবেনা। কিন্তু পূরণ হবার বিশাল প্রত্যাশা মানুষের ছিলো। একটা স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থা আমরা এখনো পেলাম না।
নিজ দলের প্রতি অবিচারের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের আমির বলেন, আইনের অঙ্গনে এসে যারা বেআইনী কর্মকাণ্ড করেছেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় এসে লাথি দিয়েছিলো, আওয়ামীলীগ তাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বানিয়েছিলেন। এদের কাছ থেকে বিচার পাওয়া যাবেনা এটাই স্বাভাবিক। তাই অবিচারের শিকার হয়ে আমাদের ১১ জন কলিজার টুকরা শীর্ষ নেতা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করিনা, তবে আমরা অবশ্যই অপকর্মের বিচার চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট। সবগুলো খুনের বিচার হতে হবে। বিশেষ করে ২৪ এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার তারপর অন্য কাজ। এ বিচার না হলে শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। তিনি ছাত্র জনতাকে স্যালুট জানান। দীর্ঘদিন ধরে আটক জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন।
এছাড়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনেজির আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ”পুলিশ ভাইদের বলছি বেনেজিরের ফাঁদে পা দিবেন না।” তিনি কক্সবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরাে বলেন, গত আওয়ামী আমলে সারাদেশে জামায়াতের সমস্ত অফিস বন্ধ, নিবন্ধন বাতিল, প্রতীক বাতিল করে সর্বশেষ দলকে নিষিদ্ধ করেছিল আল্লাহর অসীম রহমতে ৫ আগষ্ট তারাই নিষিদ্ধ হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এটাই আল্লাহর বিচার।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বিশাল কর্মী সম্মেলনে একত্রিত হয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনের আগেরদিন রাত থেকে কুতুবদিয়া ও টেকনাফ থেকে প্রচুর নেতাকর্মী ঢুকে পড়ে সম্মেলন স্থলে। এ জনস্রোত লাখ ছাড়িয়ে যায়। কর্মী সম্মেলন ঘিরে রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছিল পুরো শহর। এ কর্মী সম্মেলনে জেলার ৪ সংসদীয় আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক এনামুল হক মনজু ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জাহিদুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিমল কান্তি শীল, বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবদুস সালাম, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুফতি হাবিবুল্লাহ, এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাবেক ককসু ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর, ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম নুরী, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল প্রমুখ।
শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই : শাহজাহান চৌধুরী

শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই : শাহজাহান চৌধুরী

বাইশারী জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জুলাই বিপ্লবে নির্বিচারে গুলী করে শতশত ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছে। শহীদ করেছে নিষ্পাপ শিশুদেরও। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। এ দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের রক্তের মূল্য ইনশাআল্লাহ আমরা পরিশোধ করবো।
তিনি শহীদের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, জামায়াত ইসলামী একটি চরিত্রের পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছে। ৫৩ বছরে জামায়াত ইসলামের এ ধারায় এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে মেম্বার পর্যন্ত তৈরি করেছে একদল নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক সেবক। জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী। মানুষকে পরিবর্তন করার জন্য সবাই মিলে যদি আমরা সেই ইতিবাচক ধারা দিতে পারি; তাহলে বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে ফেলতে পারবে না। তাই শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে বিশাল কর্মী সম্মেলন বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাইশারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. ছলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মো. আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর এস.এম আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সুযোগ্য ছেলে আলী আহমদ মাবরুর, বান্দরবান জেলা নায়েবে আমীর পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট আবুল কালাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ ফজলুল হক, জামায়াত নেতা ডা. শাহ আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা মুহাম্মদ রফিক বশরী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক, রামু উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু নাসেরসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সহযোগি সংগঠনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সম্মেলন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন চট্টগ্রামের পানজেরী শিল্পী গোষ্ঠী।


সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক: 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদের সমর্থন দিন। আমরা আপনাদের সাথে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মা এবং আহতদের কথা দিচ্ছি, ক্ষমতায় গেলে নিজেরা চাঁদাবাজি করবো না, কাউকে চাঁদাবাজি করতে দিবো না। নিজেরা দখলবাজি করবো না, কাউকে দখলবাজি করতে দেবো না। আপনাদের সাথে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের।
ডা, শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে এমন একটি কর্মী সম্মেলনের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। কারণ সেই সময় এমন একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিল, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারতো না। ভাল লাগলে হাসতেও পারতো না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার চালু করেছিল। কেউ তাদের মন্দ কাজের সমালোচনা করলে আস্তে করে জেলে ঢুকিয়ে দিতো।
তিনি বলেন, আজকে শুনি একজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন- এখন চালের দাম এতো কেন? তারা তো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। তারা কী সাড়ে ১৫ বছর খাওয়াতে পেরেছেন? মাঠ থেকে উত্তর আসে- না, না। আপানারা দেখেছেন আপনাদের এলাকার এমপি-মন্ত্রী-সচিব হওয়ার আগে তাদের সহায়-সম্পত্তি কেমন ছিল। ১৫ বছরে খেয়ে দেয়ে তারা কেমন মোটা তাজা হয়েছেন তাও আপনারা দেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাগুরাতে নয়। এচিত্র ছিল সারা বাংলাদেশের। কেউ কেউ বলেছেন আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার পাওয়ার কিছু নাই। এখন কেবল দেওয়ার পালা। হ্যাঁ তারা দিয়েছেন ছোপ ছোপ রক্ত আর সারি সারি লাশ। এমন কোন জনপদ বাংলাদেশে নেই যে তারা নির্দয়ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়নি। এমনকি ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কাজটি চালিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গেছেন। দেশ যদি আপনার হয়ে থাকে, দেশকে ও মাটিকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? প্রশ্্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ব্রুনাই সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষের দেশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি দেশ। সেখানে রাজতন্ত্র হলেও রাজা তার জনগণকে তার অন্তরে ধারণ করেন। এজন্য রাজার কোন নিরাপত্তা লাগে না। সেখানে নাগরিকদের অধিকার চাইতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশেতো অধিকারের জন্য প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে হয়। কিন্তু সেখানে না চাইতেই অধিকার পেয়ে যায় নাগরিকরা। আপনারা কি সেরকম দেশ চান? মাঠ থেকে জবাব আসে- ‘চাই’। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুন্দর মানবিক দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কোরআনের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ব্রুনাইতে রাজার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী লাগে না। বছরে একটি খুনও হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দুজন দায়িত্বাশীল মন্ত্রী ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না যে, তারা দুই টাকার দুর্নীতি করেছেন। তারা সবার অধিকার সবার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যদি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হই, আগামিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সমস্ত ইসলামী দল, দেশপ্রেমিক দল ও মানবিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ একটি মানবিক দেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই দেশটা ইনশাআল্লাহ এমন হবে, এই দেশে একজন মা তিনি ঘরের ভেতর থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের মায়েরা রসূলে করিম (সা:) এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তারা মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ব্যবসা করেছেন এবং সমাজ পরিচালনায় ভুমিকা রেখেছেন। ডা, শফিকুর রহমান বলেন, কোন দল নয়, ধর্ম নয় দেশ আমাদের সবার। এই নীতিকে ভিত্তি করে যার যার অধিকার তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়বো। সবার অধিকার সমান থাকবে।
তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমরা এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যাতে কাউকে বেকার থাকতে না হয়। স্কুল কলেজ মাদরাসা থেকে বের হয়ে একটা চাকরির জন্য এ ঘরে ঐ ঘরে ঘুরতে না হয়। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবার ন্যায্য স্বাধীনতা থাকবে। আমরা সীমাহীন অন্যায্য স্বাধীনতায় বিশ^াসী নই। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হনন করে। মিথ্যা গুজব ছড়ায়। একজনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়। আমরা এরকম অধিকার দিতেও চাই না, দেখতেও চাই না।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখনে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বলবে তুমি কালো, তুমি সাদা। আমরা সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিচাররের অঙ্গনে আজকে মানুষ বিচার পায় না। ঘুষের রমরমা বাণিজ্য হয়। বিচারপতিরা ঘুষ খায়। বলবেন তার কোন প্রমাণ আছে? হাজার প্রমাণ আছে। সবশেষ প্রমাণ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করতে চাই যেখানে কোন বিচারক রাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তা, কোন কর্মচারী ঘুষের জন্য হাত বাড়ানোর দু:সাহস দেখাবে না। যদি কেউ হাত বাড়ায় তাহলে তার সেই হাত ভেঙ্গে অবস করে দেওয়া হবে। ডা. শফিকুর রহমান ঘুষ আর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘুষ ও দুর্নীতি দুটি-ই সমাজের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার দূর করতে না পারলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেউ গড়তে পারবে না।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করে জামায়াতের আমীর বলেন, ২০০৯ সালে যে খুন গুম আর ধর্ষণের রাজনীতির শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতির কবর আমরা রচনা করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের সন্তানেরা রাজপথে স্লোগান দিয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা বৈষম্য চাই না, ন্যায় বিচার চাই। আমরা শহীদদের আত্মাকে কথা দিচ্ছি, আল্লাহকে কথা দিচ্ছি, শহীদদের বেঁচে থাকা আপনজনদের কথা দিচ্ছি, আহত পঙ্গু ভাইবোনদের কথা দিচ্ছি, তাদের স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাতে রাজি আছি। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দিবো না। এই লড়াই আমাদের অব্যাহত থাকবেই। এই লড়াইয়ে এবার আমরা জনগণকে পাশে পাবো। ইতোমধ্যে জনগণ জানান দিয়েছে যে, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদার মুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় এবং সাম্যের একটি বাংলাদেশ চাই। তিনি বলেন এমন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আরও লড়াই করতে হবে। এজন্য মাগুরাবাসীকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান, স্লোগান তোলেন “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”। মাঠ থেকে তার সঙ্গে সুর মিলান লাখো কণ্ঠ।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি অতীতে আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি নাই। এখন করছি না। ভবিষৎতেও আমরা করবো না। যদি আল্লাহ আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেবো না। আমরা দখলবাজি চালাই না, ভবিষৎতে কাউকে দখলবাজি চালাতে দেওয়া হবে না। আমরা মানুষকে ভিন্ন চোখে দেখি না। এসময় তিনি মাগুরার বৃদ্ধা কিরণবালা এবং কক্সবাজারের বৌদ্ধ ধর্মের নি:স্ব ব্যক্তিকে নিরবে সহায়তা করার উদাহরণ দেন। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন আমীরে জামায়াত।
জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড আলমগীর বিশ^াস, মাওলানা আজিজুর রহমান ও শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান।
মোবারক হোসেন বলেন, এখন কাজ একটাই যা আমীরে জামায়াত শুনিয়েছেন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করা জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব। দেশের মানুষ ডান বাম সব দেখেছে। তারা এখন কোরআনের আইন দেখতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, এখন এক ধরণের বাহানা চলছে। আমাদের ব্যাপারে ব্লেম গেইম চলছে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাওলানা আজীজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে সারাদেশে সাড়ে ১৬শ’ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে মাগুরায় রাব্বি, মাহদিসহ দশজন জীবন দিয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা সুন্দর শান্তির বাতাস পেয়েছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেদিন সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল! তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা যেন কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করে বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসো। চট করে ঢুকতে চাও কেন?
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন, ঝিনাইদাহ জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট আজমত হোসেন, আলমগীর হোসনে রাজু, জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা মো: আনিসুর রহমান, শ্রমিক নেতা অধ্যাপক মাওলানা মো. মশিউর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো, ইব্রাহীম বিশ^াস, জেলা জামায়াতে তথ্য ও গবেষণা সেক্রেটারি মাওলানা কবির হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রিড়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো, রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন আশিক, পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, মহম্মদপুর উপজেলা আমীর নূর আহম্মদ, শালিখা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হোসাইন শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দীন মিজান ও শালিখা উপজেলার সাবেক আমীর আলমগীর হোসেন।
মাগুরা জেলার অমুসলীম নেতা উত্তম কুমার বিশ^াস বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মদিনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। তাতে হিন্দুরাই উপকৃত হবে। আমরা আর ঘসেটি বেগম কিংবা ও লেন্দুপ দর্জির দেশ চাই না। দেশ আমাদের। আমরাই দেশ গড়বো। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যায় এবং সাম্যের দেশ কেবল জামায়াতে ইসলামী-ই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
মাগুরা জেলা অমুসলীম শাখার প্রচার সেক্রেটারি প্রনয় কুমার বিশ^াস বলেন, হিন্দুরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের বাইরে না। তাদের যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করার অধিকার আছে, তেমনি জামায়াতে ইসলামী করার অধিকারও রয়েছে। তিনি দেশের সমস্ত অমুসলীমদের সৎ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে না। তারা আমাদের ইজ্জতে আঘাত করেনা। ৫৩ বছর আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় জামায়াতের রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো বাপ-দাদার কিংবা কোন ব্যক্তির আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করবে না। আমরা আল্লাহর আইন দ্বারা দেশ চালাতে চাই। আমরা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এদিন দুপুরে শহরের দরি মাগুরাস্থ আল আমীন কমপ্লেক্সে মহিলা রুকন সম্মেলন ও অমুসলীম নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমীরে জামায়াত। বিকেলে জেলার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান।
দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে।”
৪ জানুয়ারি শনিবার গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর সদর মেট্রো থানা শাখার আমীর জনাব সালাউদ্দিন আইউবির সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরী আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মহানগরী নায়েবে আমীর জনাব খায়রুল হাসান, মহানগরী সেক্রেটারি জনাব আবু সাঈদ মোঃ ফারুক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “৫ আগষ্টের পর আমাদের যে বিজয় হয়েছে তা চূড়ান্ত বিজয় নয়। ইহকালীন বিজয় অর্জনে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় এ দুনিয়ায় নয়। চূড়ান্ত বিজয় হলো শেষ বিচারের দিন জান্নাত লাভ।”
তিনি বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচন কঠিন হবে। ফ্যাসিস্টরা বসে নেই। ওরা ওঁৎ পেতে আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। কারন ইতিহাস বলে পলাতকরা কোনদিন ফিরে আসতে পারেনি। সংসদে সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এ অবস্থান তৈরী করতে ইউনিটগুলোকে দৃঢ় মজবুত, সুসংহত করতে হবে। ইউনিটই হলো জামায়াতী জিন্দেগীর প্রবেশদ্বার। সংগঠনের নির্দেশ মোতাবেক কর্ম সম্পাদনের পরই আদর্শ ইউনিট বলে বিবেচিত হবে।”
এ ছাড়াও তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থানা পূর্ব ও পশ্চিমের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গাজীপুর মহানগরীর রুকন সম্মেলনেও বক্তব্য প্রদান করেন।
বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সভাপতি মোঘল ও সম্পাদক আলিম

বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সভাপতি মোঘল ও সম্পাদক আলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ২০২৫ সালের নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তফা মোঘল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এইচ আলিম নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের স্কাইভিউ রেস্টুরেন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এইচ আলিম। বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ। সাধারণ সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ। সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন এবং সাংগঠিক বিভিন্ন বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি রাহাত রিটু, জহুরুল ইসলাম, মোস্তফা মোঘল, শামীম আলম, কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ।
আলোচনা শেষে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৪ সালের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সাবেক সভাপতি জহরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সাঈদকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে মোস্তফা মোঘল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এইচ আলিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এই কমিটির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম আলম, কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ, নির্বাহী সদস্য রাহাত রিটু, জহুরুল ইসলাম, শামীম আলম, আমিনুল ইসলাম মুক্তা ও রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মনোনিত হন।
শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সারাদেশের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মিলনায়তনে দীর্ঘদিন ১৫বছর পর প্রকাশ্যে জমকালো আয়োজনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বার্ষিক সদস্য সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন শিবির সভাপতি হিসেবে জাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। এছাড়াও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০ এর যাত্রা শুরু

ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০ এর যাত্রা শুরু

চকরিয়া টাইমস:

দেশে যাত্রা শুরু করেছে ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ভিভো এক্স২০০। ভিভোর এক্স সিরিজের এই ফ্ল্যাগশিপ দেবে উন্নত জাইস টেলিফটো ক্যাপাবিলিটি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
ভিভো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও চাহিদাকে সামনে রেখেই উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিয়েছে ভিভো। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে এসেছে এক্স২০০।
ভিভো এক্স২০০-এর ক্যামেরা দেবে পেশাদার মানের ফটো ও ভিডিওগ্রাফির অভিজ্ঞতা। এতে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ক্লিয়ার সেন্সর জাইস টেলিফটো ক্যামেরা, যা দিবে স্পষ্ট, নিখুঁত এবং ডিটেইলড ছবি। টেলিফটো ম্যাক্রো দিয়ে ২০ গুণ জুমে মিলবে ক্ষুদ্রতম ডিটেইল। পাশাপাশি টেলিফটো পোর্ট্রেট মোডে দীর্ঘ ফোকাল লেন্স এবং জাইস অপটিক্স ব্যবহার করে প্রতিটি ছবি হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন। এছাড়াও আছে ১০০ গুণ হাইপারজুম, সুপার ল্যান্ডস্কেপ মোড, জাইস সিনেমাটিক পোর্ট্রেট ভিডিও।
ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে জাইস টি-কোটিং প্রযুক্তি। যা সব বাধা বিঘ্ন দূর করে নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ও ঝকঝকে ছবি। জাইস মাল্টিফোকাল পোর্ট্রেট দিয়ে ৩ মি.মি. থেকে ১০০ মি.মি. পর্যন্ত বিভিন্ন ফোকাল রেঞ্জে পেশাদার মানের ছবি তোলা যাবে।
ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনের ৩ এনএম মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৪০০ চিপসেট নিশ্চিত করবে মসৃণ মাল্টিটাস্কিং। সাথে ১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি রমের ক্ষমতা প্রয়োজনীয় সবকিছু সংরক্ষণ ও নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য যথেষ্ট। এতে আছে ৫৮০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি, যা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও থাকবে দৃঢ়। এআই ইরেজ ও এআই নোট অ্যাসিস্ট দিয়ে প্রতিদিনের কাজ হবে আরও গতিময়। ৪৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস এবং ৬.৬৭ ইঞ্চি জাইস মাস্টার কালার ও আই প্রোটেকশন ডিসপ্লেতে চোখ কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়বে না।
ভিভো এক্স২০০ এ আছে কোয়াড কার্ভড ডিসপ্লে। প্রিমিয়াম মেটালিক ফিনিশ স্মার্টফোনটির লুকে এনেছে বৈচিত্র্য। ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোন এর আইপি ৬৮ ও আইপি ৬৯ রেটিংস। এতে আছে নতুন ফানটাচ ওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেম, যা দেবে আপডেটেড ভিজ্যুয়াল ডিজাইন, নিরাপত্তা এবং স্মুথ পারফরম্যান্স অভিজ্ঞতা। 

ভিভো এক্স২০০ পাওয়া যাবে ন্যাচারাল গ্রিন ও কসমস ব্ল্যাক এই দুই রঙে। প্রি অর্ডার করা যাবে স্মার্টফোনটি। এর দাম পড়বে ১,৩৯,৯৯৯ টাকা। এছাড়া স্মার্টফোনটি প্রি-অর্ডার করলে পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় নানা ধরনের গিফট ও অফার। 

আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। কোন নির্দিষ্ট দলের হাতে যেন ভোট ও দেশ আর চলে না যায়। তিনি বলেন, আমরা একটি তারুণ্য নির্ভর সমাজ দেখতে চাই। যুব সমাজকে সাথে নিয়ে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার প্রধান সমস্যা বেড়িবাধ সংকট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, আপনারা অন্তত: শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে আর কোন দাবি করতে হবে না, বরং জনগনের সংকটগুলো খুঁজে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে। এদেশের যুবকরা বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ কলেজ ময়দানে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পাইকগাছার গদাইপুর ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত পৃথক সমাবেশে এবং ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইলে পথসভায় বক্তৃতা করেন।

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের আমীর আরও বলেন, মা-বোনদেরকে জামায়াত ভীতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথেই মা-বোনেরা দেশ গড়ার কাজে অংশ নেবে। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কোন বাক্য এদেশে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই মিলেমিশেই দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী। বিশেষ কোন গোষ্ঠী নয়, বরং ‘প্রত্যেকেই আমরা একেকজন যোদ্ধা’ বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামীলীগ আমলের তিনটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে জামায়াতের আমীর বলেন, ১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন, ১৮ সালে হয় নিশিরাতের নির্বাচন আর ২৪ সালে হয় ডামি নির্বাচন। সুতরাং এমন নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায়না। ডামি নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল।কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের সে অপশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন। আ’লীগ দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীীত দমন কমিশন এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধংস করেছে। মেয়েদের ইজ্জতের কোন গ্যারান্টি ছিল না। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ফুসে উঠেছিল। রংপুরের আবু সাইদের মত অসংখ্য ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের মালিক ছিল না। তারা দেশের মালিক থাকলে দেশ ছেড়ে পালাতো না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে পালায় না, বরং ভাড়াটিয়া খেলাপি হলে পালিয়ে যায়। আওয়ামীলীগের বেলায়ও তাই হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে
গেলেও দেশকে শান্তিতে রাখতে দিচ্ছে না। চারিদিকে ষড়যন্ত্রের আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলি আওয়ামীলীগের ওপর সুবিচার করা হোক। কেননা তাদের ওপর সুবিচার করা হলেও তাদের শাস্তি হবে। তাদের বিচার হতে এজন্য যে, আর যেন কেউ এমন দুর্বৃত্ত না হতে পারে। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আমাদের সন্তানরা। তাদের সে মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতের আমীর।

সামবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল। উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন খুলনা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ ও সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির।

এর আগে পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকাল ৮ টায় স্থানীয় গদাইপুর ফুটবল ময়দানে পথ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষন দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোঃ মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় কম4র্6পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ মো” রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল, । উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেনবক্তৃতা করেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দি, খুলনা জেলা নাযেবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবুজার আল গিফারী, , নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা সুজিাউদ্দিন, সেক্রেটারি মোনায়েম বিল্লাহ, কয়রা উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি শামিউল ইসলাম, সেক্রেটারি আসমতউল্লাহ, আব্দুল আজিজ, হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিউজ ডেস্ক :

শেখ হাসিনা অনেক গুলো খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিলো। জনগণ দেখতে চায় নিজামী যে রশিতে ফাঁসিতে ঝুলেছে হাসিনাকেও সেই রশিতে ঝুলতে হবে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নোয়াখালী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর উদ্যোগে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশন জেলা সভাপতি এডভোকেট জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে সাংবাদিক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ ও আলেম-ওলামা কাউকেই ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কোনো আন্দোলন করতে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে গুম, খুন ও হত্যাকান্ড এবং জেল জুলুম সহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে শ্রমিকরা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, অথচ তারা নূন্যতম মজুরীর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অঙ্গনে নির্যাতনকারী শ্রমীক লীগকে বেআইনি ঘোষণা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ পরিবার দেশের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা শিক্ষাব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নোয়াখালীর ২৫ জন সাধারণ জনগণ নতুন বাংলাদেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছে এবং একটি উপজেলায় শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ৭ জন মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই জেলা এবং সেই বাংলাদেশকে আমরা সঠিক পথ হারাতে দেবো না।
মাওলানা শাহজাহান তার বক্তৃতায় বলেন, শ্রমিক অঙ্গনের নেতৃত্বে ও ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া বৈষম্যহীন শ্রমনীতি ও সমাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। তিনি বলেন হাসিনা সরকারের আমলে নূন্যতম মজুরির দাবীতে আন্দোলনরত ৪ জন শ্রমিককে খুন করা হয়েছে। এই খুনের অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য জনাব ইসহাক খন্দকার। তিনি বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠ ছিলো আল্লামা সাঈদীর কুরআন তাফসীরের মাঠ। আমরা শপথ করবো মানুষের ঘরে ঘরে আল-কুরআনের কথা ছড়িয়ে দেবো। উক্ত সম্মেলনে ৭ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে সকাল নয়টার পূর্বেই পেন্ডেলের সকল আসন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা ও কর্মীগণ সম্মেলনে যোগদান করেন।
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম লুৎফুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মোঃ আব্দুস সালাম, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন , ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান আরমান।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রুরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। বুর্জুয়াদের টাকাপয়সা ধনসম্পদ সামলানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল ইসলাম বিরোধী, যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দলটি। তারা গণতন্ত্রও ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের লেজুড়বৃত্তি করে সর্বশেষ সাড়ে ১৫টি বছর তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ এর বিনিময়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র মা কহিনুর আক্তার, শহিদ কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আদর্শের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ : মাওলানা আবদুল হালিম

আদর্শের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ : মাওলানা আবদুল হালিম

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কর্মী সম্মেলন

চকরিয়া টাইমস :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আদর্শের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো আপোষ করেনি। জামায়াত প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আমরা আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ।"
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী, নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর শহর আমীর অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান প্রমুখ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, "চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকবো। এটি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হবেনা। ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। রাজনীতি এবং চাঁদাবাজি জীবিকা নির্বাহের জন্য হবে না। রাজনীতি হবে মানুষের মুক্তি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জামায়াতে ইসলাম রাজনীতিকে মনে করে ইবাদত। মানুষের সেবা ও কল্যাণ করা হচ্ছে ইবাদত। মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের দিকে তাকিয়ে আছে।"
তিনি বলেন, "জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের অনেক প্রত্যাশা। তাদের এই প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য আমাদের সকলকে সংগঠনের দাওয়াত ও ইসলামের বানী পৌঁছে দিতে হবে।"
প্রধান অতিথি বলেন, "দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র আসতেছে। তারা বিভিন্ন চেহারায় আসার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আমি দৃঢ় কন্ঠে উচ্চারণ করতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের প্রতিবেশি আগ্রাসন শক্তি আমাদের কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা বলেছি দেশের স্বার্থে পতিত স্বৈরাচারি দল ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে।"
কাতারে গণিত প্রতিযোগিতায় লামার উছাইওয়াংয়ের সাফল্য

কাতারে গণিত প্রতিযোগিতায় লামার উছাইওয়াংয়ের সাফল্য

চকরিয়া টাইমস :

গত ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিত হয় গণিতের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ। এ আয়োজনের ১২তম আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের গণিত টিম।

এ দলের একজন সদস্য বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উছাইওয়াং মার্মা। এই প্রতিযোগিতায় সে রৌপ্য পদক অর্জন করে। এবছরই কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমবার ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ-এ অংশগ্রহণ করে। এতে জাতীয় পর্বে বিজয়ী হয় এই স্কুলের চার জন ছাত্র।

পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আসরের জন্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় উছাইওয়াং মার্মা। তার এই সাফল্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেন বলেন, উছাইওয়াং ক্লাসের শেষে সুযোগ পেলেই গণিত প্র্যাকটিস করে। আমরা তার আরো সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।
উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অসহায় অথবা এতিম শিশুরা লেখাপড়া করে। এটি একটি আবাসিক স্কুল। ২০১৬ সালে উছাইওয়াং এই স্কুলে ভর্তি হয় শিশু শ্রেণিতে। বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিতৃহীন এই শিশুর অভিভাভক হলেন তার মা এবং নানি। তারা উছাইওয়াং-এর অর্জনের জন্যে স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই স্কুলে ভর্তি না হলে উছাইওয়াং এ পর্যন্ত আসতে পারত না।
সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

খুলনা ব্যুরো : 


বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি, দৈনিক সংগ্রাম-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার উদ্যোগে  এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজে’র  সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন।

দোয়া মাহফিলে ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে বিএফইউজে’র  সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, এমইউজের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাবেক নির্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদ, সিনিয়র সদস্য এরশাদ আলী, জি এম রফিকুল ইসলাম, কে এম জিয়াউস সাদাত, মাকসুদ আলী, আহমদ মুসা রঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম নূর, নাজমুল হক পাপ্পু, মাশরুর মোর্শেদ, সেলিম গাজী, কামরুল হোসেন মনি, এস এ মুকুল, এমরান হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, রোববার রাত পৌণে তিনটায় বিএফইউজের সভাপতিক রুহুল আমিন গাজীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে পারেননি তার পরিবার। ফ্লাই করার অনুমতি না পেয়ে তাকে নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসে আবারও ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। তিনি আপনজনদের যেমন চিনতে পারছেন না তেমনি কথাও বলতে পারছেন না। শ্বাসকষ্টও একটু বেশি মনে হয়েছে। তারপরও মহান আল্লাহ সবকিছুই পারেন। তিনি রুহুল আমিন গাজীকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন এই দোয়া সবাই করবেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।