Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
চকরিয়া ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি তৌহিদুল ইসলামের সহধর্মীনির জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

চকরিয়া ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি তৌহিদুল ইসলামের সহধর্মীনির জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি তৌহিদুল ইসলামের সহধর্মীনি ভরামুহুরী নিবাসী মরহুম এডভোকেট মির্জা এম. সিরাজদৌলার মেয়ে মোছাম্মৎ তামান্না ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্তান জন্মদিতে গিয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংসার জীবনে তিনি দুইদিনের শিশু ছেলেসহ দুই সন্তানের জননী। 

একইদিন রাত সোয়া আটটায় চকরিয়া পৌরসভার বিনামারাস্থ মসজিদুন নূরাঈন জামে মসজিদ মিলনায়তনে মরহুমারা নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালী। 

জানাযাপূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর। এসময় জামায়াত নেতা ডাঃ রুকুন উদ্দিন, এস.এম আলী জিন্নাহ, সৈয়দ মুহাম্মদ রাসেল, চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মো. ইজ্জতুল আনোয়ার রুমেল, চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শওকত আলম, পেশাজীবী সভাপতি আরিফুল ইসলাম, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা নুরুল হোছাইন, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি ডাঃ জামাল উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. আরিফ উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আতিকুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে মরহুমার মৃতদেহ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। 

এদিকে জামায়াত নেতা তৌহিদুল ইসলামের সহধর্মীনির মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির। তিনি মরহুমার রুহের মাগফিরাত এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করেন। 

আমীরে জামায়াত ৮ ফেব্রুয়ারি যেভাবে আসছেন কক্সবাজার

আমীরে জামায়াত ৮ ফেব্রুয়ারি যেভাবে আসছেন কক্সবাজার

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জননন্দিত জননেতা ডা. শফিকুর রহমান ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কক্সবাজারে আগমন করবেন। এইদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বিকেলে ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও সন্ধ্যায় বিশিষ্টজনের সাথে বৈঠক শেষে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

আমীরে জামায়াতের সফর উপলক্ষে ১৫ জানুয়ারি বিকেলে হাসপাতাল সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়াত উল্লাহ, আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য দিদারুল আলম, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, জাকির হোসাইন, কক্সবাজার শহর আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সদর আমীর অধ্যাপক খুরশীদ আলম আনসারী, শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, রামু উপজেলা সেক্রেটারি আ ন ম হারুন, কক্সবাজার সদর সেক্রেটারি আজিজুর রহমান, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা শহিদুল আলম বাহাদুর, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হাসান প্রমুখ।

সভায় আমীরে জামায়াতের সফর উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। শীঘ্রই সফর সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জেলাবাসীকে অবহিত করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক: 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদের সমর্থন দিন। আমরা আপনাদের সাথে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মা এবং আহতদের কথা দিচ্ছি, ক্ষমতায় গেলে নিজেরা চাঁদাবাজি করবো না, কাউকে চাঁদাবাজি করতে দিবো না। নিজেরা দখলবাজি করবো না, কাউকে দখলবাজি করতে দেবো না। আপনাদের সাথে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের।
ডা, শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে এমন একটি কর্মী সম্মেলনের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। কারণ সেই সময় এমন একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিল, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারতো না। ভাল লাগলে হাসতেও পারতো না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার চালু করেছিল। কেউ তাদের মন্দ কাজের সমালোচনা করলে আস্তে করে জেলে ঢুকিয়ে দিতো।
তিনি বলেন, আজকে শুনি একজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন- এখন চালের দাম এতো কেন? তারা তো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। তারা কী সাড়ে ১৫ বছর খাওয়াতে পেরেছেন? মাঠ থেকে উত্তর আসে- না, না। আপানারা দেখেছেন আপনাদের এলাকার এমপি-মন্ত্রী-সচিব হওয়ার আগে তাদের সহায়-সম্পত্তি কেমন ছিল। ১৫ বছরে খেয়ে দেয়ে তারা কেমন মোটা তাজা হয়েছেন তাও আপনারা দেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাগুরাতে নয়। এচিত্র ছিল সারা বাংলাদেশের। কেউ কেউ বলেছেন আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার পাওয়ার কিছু নাই। এখন কেবল দেওয়ার পালা। হ্যাঁ তারা দিয়েছেন ছোপ ছোপ রক্ত আর সারি সারি লাশ। এমন কোন জনপদ বাংলাদেশে নেই যে তারা নির্দয়ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়নি। এমনকি ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কাজটি চালিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গেছেন। দেশ যদি আপনার হয়ে থাকে, দেশকে ও মাটিকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? প্রশ্্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ব্রুনাই সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষের দেশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি দেশ। সেখানে রাজতন্ত্র হলেও রাজা তার জনগণকে তার অন্তরে ধারণ করেন। এজন্য রাজার কোন নিরাপত্তা লাগে না। সেখানে নাগরিকদের অধিকার চাইতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশেতো অধিকারের জন্য প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে হয়। কিন্তু সেখানে না চাইতেই অধিকার পেয়ে যায় নাগরিকরা। আপনারা কি সেরকম দেশ চান? মাঠ থেকে জবাব আসে- ‘চাই’। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুন্দর মানবিক দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কোরআনের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ব্রুনাইতে রাজার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী লাগে না। বছরে একটি খুনও হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দুজন দায়িত্বাশীল মন্ত্রী ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না যে, তারা দুই টাকার দুর্নীতি করেছেন। তারা সবার অধিকার সবার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যদি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হই, আগামিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সমস্ত ইসলামী দল, দেশপ্রেমিক দল ও মানবিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ একটি মানবিক দেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই দেশটা ইনশাআল্লাহ এমন হবে, এই দেশে একজন মা তিনি ঘরের ভেতর থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের মায়েরা রসূলে করিম (সা:) এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তারা মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ব্যবসা করেছেন এবং সমাজ পরিচালনায় ভুমিকা রেখেছেন। ডা, শফিকুর রহমান বলেন, কোন দল নয়, ধর্ম নয় দেশ আমাদের সবার। এই নীতিকে ভিত্তি করে যার যার অধিকার তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়বো। সবার অধিকার সমান থাকবে।
তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমরা এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যাতে কাউকে বেকার থাকতে না হয়। স্কুল কলেজ মাদরাসা থেকে বের হয়ে একটা চাকরির জন্য এ ঘরে ঐ ঘরে ঘুরতে না হয়। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবার ন্যায্য স্বাধীনতা থাকবে। আমরা সীমাহীন অন্যায্য স্বাধীনতায় বিশ^াসী নই। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হনন করে। মিথ্যা গুজব ছড়ায়। একজনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়। আমরা এরকম অধিকার দিতেও চাই না, দেখতেও চাই না।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখনে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বলবে তুমি কালো, তুমি সাদা। আমরা সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিচাররের অঙ্গনে আজকে মানুষ বিচার পায় না। ঘুষের রমরমা বাণিজ্য হয়। বিচারপতিরা ঘুষ খায়। বলবেন তার কোন প্রমাণ আছে? হাজার প্রমাণ আছে। সবশেষ প্রমাণ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করতে চাই যেখানে কোন বিচারক রাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তা, কোন কর্মচারী ঘুষের জন্য হাত বাড়ানোর দু:সাহস দেখাবে না। যদি কেউ হাত বাড়ায় তাহলে তার সেই হাত ভেঙ্গে অবস করে দেওয়া হবে। ডা. শফিকুর রহমান ঘুষ আর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘুষ ও দুর্নীতি দুটি-ই সমাজের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার দূর করতে না পারলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেউ গড়তে পারবে না।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করে জামায়াতের আমীর বলেন, ২০০৯ সালে যে খুন গুম আর ধর্ষণের রাজনীতির শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতির কবর আমরা রচনা করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের সন্তানেরা রাজপথে স্লোগান দিয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা বৈষম্য চাই না, ন্যায় বিচার চাই। আমরা শহীদদের আত্মাকে কথা দিচ্ছি, আল্লাহকে কথা দিচ্ছি, শহীদদের বেঁচে থাকা আপনজনদের কথা দিচ্ছি, আহত পঙ্গু ভাইবোনদের কথা দিচ্ছি, তাদের স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাতে রাজি আছি। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দিবো না। এই লড়াই আমাদের অব্যাহত থাকবেই। এই লড়াইয়ে এবার আমরা জনগণকে পাশে পাবো। ইতোমধ্যে জনগণ জানান দিয়েছে যে, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদার মুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় এবং সাম্যের একটি বাংলাদেশ চাই। তিনি বলেন এমন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আরও লড়াই করতে হবে। এজন্য মাগুরাবাসীকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান, স্লোগান তোলেন “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”। মাঠ থেকে তার সঙ্গে সুর মিলান লাখো কণ্ঠ।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি অতীতে আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি নাই। এখন করছি না। ভবিষৎতেও আমরা করবো না। যদি আল্লাহ আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেবো না। আমরা দখলবাজি চালাই না, ভবিষৎতে কাউকে দখলবাজি চালাতে দেওয়া হবে না। আমরা মানুষকে ভিন্ন চোখে দেখি না। এসময় তিনি মাগুরার বৃদ্ধা কিরণবালা এবং কক্সবাজারের বৌদ্ধ ধর্মের নি:স্ব ব্যক্তিকে নিরবে সহায়তা করার উদাহরণ দেন। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন আমীরে জামায়াত।
জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড আলমগীর বিশ^াস, মাওলানা আজিজুর রহমান ও শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান।
মোবারক হোসেন বলেন, এখন কাজ একটাই যা আমীরে জামায়াত শুনিয়েছেন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করা জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব। দেশের মানুষ ডান বাম সব দেখেছে। তারা এখন কোরআনের আইন দেখতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, এখন এক ধরণের বাহানা চলছে। আমাদের ব্যাপারে ব্লেম গেইম চলছে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাওলানা আজীজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে সারাদেশে সাড়ে ১৬শ’ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে মাগুরায় রাব্বি, মাহদিসহ দশজন জীবন দিয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা সুন্দর শান্তির বাতাস পেয়েছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেদিন সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল! তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা যেন কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করে বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসো। চট করে ঢুকতে চাও কেন?
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন, ঝিনাইদাহ জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট আজমত হোসেন, আলমগীর হোসনে রাজু, জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা মো: আনিসুর রহমান, শ্রমিক নেতা অধ্যাপক মাওলানা মো. মশিউর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো, ইব্রাহীম বিশ^াস, জেলা জামায়াতে তথ্য ও গবেষণা সেক্রেটারি মাওলানা কবির হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রিড়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো, রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন আশিক, পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, মহম্মদপুর উপজেলা আমীর নূর আহম্মদ, শালিখা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হোসাইন শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দীন মিজান ও শালিখা উপজেলার সাবেক আমীর আলমগীর হোসেন।
মাগুরা জেলার অমুসলীম নেতা উত্তম কুমার বিশ^াস বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মদিনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। তাতে হিন্দুরাই উপকৃত হবে। আমরা আর ঘসেটি বেগম কিংবা ও লেন্দুপ দর্জির দেশ চাই না। দেশ আমাদের। আমরাই দেশ গড়বো। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যায় এবং সাম্যের দেশ কেবল জামায়াতে ইসলামী-ই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
মাগুরা জেলা অমুসলীম শাখার প্রচার সেক্রেটারি প্রনয় কুমার বিশ^াস বলেন, হিন্দুরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের বাইরে না। তাদের যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করার অধিকার আছে, তেমনি জামায়াতে ইসলামী করার অধিকারও রয়েছে। তিনি দেশের সমস্ত অমুসলীমদের সৎ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে না। তারা আমাদের ইজ্জতে আঘাত করেনা। ৫৩ বছর আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় জামায়াতের রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো বাপ-দাদার কিংবা কোন ব্যক্তির আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করবে না। আমরা আল্লাহর আইন দ্বারা দেশ চালাতে চাই। আমরা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এদিন দুপুরে শহরের দরি মাগুরাস্থ আল আমীন কমপ্লেক্সে মহিলা রুকন সম্মেলন ও অমুসলীম নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমীরে জামায়াত। বিকেলে জেলার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন প্রবর্তন করুন : মুহাম্মদ শাহজাহান

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন প্রবর্তন করুন : মুহাম্মদ শাহজাহান

টেকনাফ পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন  

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত ব্যতিক্রমধর্মী বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে আয়োজন করতে হবে। পুরাতন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি ও কালো টাকার প্রভাব ঠেকানো যাবে না। তিনি সরকারকে একটি স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবি জানান। 

তিনি বলেন, বিগত সাড়ে পনেরো বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে আমাদেরকে পরাধীন করার চক্রান্তে মেতে উঠেছিল। তরুণ প্রজন্ম সেটা বুঝতে পেরে নিজেদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছে। আমরা রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। শুধুমাত্র চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য নয়, আমরা চাই সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হোক।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের কোথাও মানবাধিকার বলতে কিছুই ছিল না। গুম- খুন, দমন-পীড়ন চালিয়ে বাকশালী শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। যুদ্ধাপরাধের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে তারা বাংলাদেশ থেকে মূলধারার ইসলামী রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কয়েকদিনের মাথায় আ’লীগ শুধু নিষিদ্ধই নয়; জনরোষের ভয়ে দলীয় প্রধান থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। যেটা আ’লীগের অপরাজনীতির ফল হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে। তিনি সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) টেকনাফ পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল কর্মী সম্মেলন পুরাতন বাস টার্মিনাল চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।  

টেকনাফ পৌরসভা জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরুল হোসাইন, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ, টেকনাফ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফোরকান আহমদ ও সহকারী সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা সরোয়ার কামাল সিকদার। 

এছাড়া বক্তব্য রাখেন জামায়াতের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, হ্নীলা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুস সোবহান, বাহারছড়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, সদর সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন, সাবরাং ইউনিয়ন সভাপতি শাহ মোহাম্মদ জুবায়ের, পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহ আলম, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তারেক রহমান বেলালী, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি জায়নত উল্লাহ, পৌরসভা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি মুহাম্মদ আইয়ুব, উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আবদুল আমিন, জামায়াত নেতা খোরশেদ আলম দিদার, শহিদুল ইসলাম মেম্বার, মুহাম্মদ সেলিম সিআইপি, বদিউল আলম প্রমুখ। এসময় জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সম্মেলনে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজুল ইসলাম মনুসহ টেকনাফের শৈবাল শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা।

চিরিংগা ইউনিয়ন কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চিরিংগা ইউনিয়ন কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল চকরিয়ার চিরিংগা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে এক কৃষক সমাবেশ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চিরিংগা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (পুতু)।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চিরিংগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক এমইউপি আলহাজ্ব আলী আহমদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চিরিংগা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও মমতাজ মিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের নেতৃবৃন্দ ও চিরিংগা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে।”
৪ জানুয়ারি শনিবার গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর সদর মেট্রো থানা শাখার আমীর জনাব সালাউদ্দিন আইউবির সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরী আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মহানগরী নায়েবে আমীর জনাব খায়রুল হাসান, মহানগরী সেক্রেটারি জনাব আবু সাঈদ মোঃ ফারুক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “৫ আগষ্টের পর আমাদের যে বিজয় হয়েছে তা চূড়ান্ত বিজয় নয়। ইহকালীন বিজয় অর্জনে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় এ দুনিয়ায় নয়। চূড়ান্ত বিজয় হলো শেষ বিচারের দিন জান্নাত লাভ।”
তিনি বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচন কঠিন হবে। ফ্যাসিস্টরা বসে নেই। ওরা ওঁৎ পেতে আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। কারন ইতিহাস বলে পলাতকরা কোনদিন ফিরে আসতে পারেনি। সংসদে সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এ অবস্থান তৈরী করতে ইউনিটগুলোকে দৃঢ় মজবুত, সুসংহত করতে হবে। ইউনিটই হলো জামায়াতী জিন্দেগীর প্রবেশদ্বার। সংগঠনের নির্দেশ মোতাবেক কর্ম সম্পাদনের পরই আদর্শ ইউনিট বলে বিবেচিত হবে।”
এ ছাড়াও তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থানা পূর্ব ও পশ্চিমের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গাজীপুর মহানগরীর রুকন সম্মেলনেও বক্তব্য প্রদান করেন।
বরইতলীর মোহাজেরপাড়া ইউনিট জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

বরইতলীর মোহাজেরপাড়া ইউনিট জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

চকরিয়া টাইমস:
চকরিয়ার বরইতলীর মোহাজেরপাড়া ইউনিট জামায়াতের কর্মী সম্মেলন শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় নূরানী মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ড সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মো. মাঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার।
এতে বিশেষ অতিথি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা কাইছার, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি জায়েদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালেকুজ্জামান, সহ-সভাপতি গোলাম হাসিব মোস্তফা সাকী, সেক্রেটারি মাওলানা শওকতুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন, ছাত্রনেতা শাখাওয়াত হোসেন, জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বরইতলী ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বরইতলী ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন মছনিয়াকাটা স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওয়ার্ড সভাপতি মাস্টার শফিউল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শওকতুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোহাম্মদ সালেকুজ্জামান, উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি জায়েদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম হাসিব মোস্তফা সাকী, ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

এসময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হারবাং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড জামায়াতের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

হারবাং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড জামায়াতের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হারবাং ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এশার নামাজের পর হারবাং মধ্যম নোনাছড়ি হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) একাডেমির মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চকরিয়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, হারবাং ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা শেখ আহমেদ ও নায়েবে আমীর মুহাম্মদ জুনায়েদ সিকদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বাবুল আহমদ, ডা. আজাদুল ইসলাম, ডা. জসিম উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি এনায়েত কবির প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে আগামী ২০২৫-২৬ দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আব্দুর রহিমকে সভাপতি, মোবারক আলীকে সেক্রেটারি এবং আব্দুল হালিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে : হামিদুর রহমান আযাদ

জামায়াতে ইসলামী দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে : হামিদুর রহমান আযাদ

কুতুবদিয়ায় দায়িত্বশীল সমাবেশ 

নিজস্ব প্রতিদেবক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। জামায়াতে ইসলামী সেই রকম নেতৃত্ব তৈরির জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর দেশে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব উঠতে দেয়নি। 

উল্টো দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ লোক দিয়ে শাসন কার্য পরিচালনা করে দেশ কে চরম দুর্নীতি ও দুঃশাসনে নিপতিত করেছিল। যার ফলে বাংলাদেশ তার নিজস্ব পরিচয় হারিয়ে ভারতীয় কলোনিতে পরিণত হয়েছিল। আইনের শাসন ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করে আ’লীগ চরম মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। 

জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে দেশ কে এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের মেশিনে পরিণত করেছিল। এহেন পরিস্থিতি থেকে তরুণ সাহসী ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ তার নিজস্ব পরিচয় ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য বৈষম্য দূর করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলদারী মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়। এর জন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা। তাই আগামীর কাংখিত ও জনকল্যাণমুখী বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি দেশবাসীকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। 

কুতুবদিয়ায় উপজেলা দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত এক দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

ইউনিয়ন সভাপতি বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান ও জাকির হোসাইন, উপজেলা আমীর আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী, সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিনসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের তিন ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন সম্পন্ন

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের তিন ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন সম্পন্ন

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উদ্যোগে ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন গোঁয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পেকুয়া উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, সাবেক আমীর মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুর মোহাম্মদ ও বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমিন।
আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। কোন নির্দিষ্ট দলের হাতে যেন ভোট ও দেশ আর চলে না যায়। তিনি বলেন, আমরা একটি তারুণ্য নির্ভর সমাজ দেখতে চাই। যুব সমাজকে সাথে নিয়ে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার প্রধান সমস্যা বেড়িবাধ সংকট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, আপনারা অন্তত: শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে আর কোন দাবি করতে হবে না, বরং জনগনের সংকটগুলো খুঁজে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে। এদেশের যুবকরা বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ কলেজ ময়দানে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পাইকগাছার গদাইপুর ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত পৃথক সমাবেশে এবং ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইলে পথসভায় বক্তৃতা করেন।

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের আমীর আরও বলেন, মা-বোনদেরকে জামায়াত ভীতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথেই মা-বোনেরা দেশ গড়ার কাজে অংশ নেবে। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কোন বাক্য এদেশে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই মিলেমিশেই দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী। বিশেষ কোন গোষ্ঠী নয়, বরং ‘প্রত্যেকেই আমরা একেকজন যোদ্ধা’ বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামীলীগ আমলের তিনটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে জামায়াতের আমীর বলেন, ১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন, ১৮ সালে হয় নিশিরাতের নির্বাচন আর ২৪ সালে হয় ডামি নির্বাচন। সুতরাং এমন নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায়না। ডামি নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল।কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের সে অপশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন। আ’লীগ দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীীত দমন কমিশন এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধংস করেছে। মেয়েদের ইজ্জতের কোন গ্যারান্টি ছিল না। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ফুসে উঠেছিল। রংপুরের আবু সাইদের মত অসংখ্য ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের মালিক ছিল না। তারা দেশের মালিক থাকলে দেশ ছেড়ে পালাতো না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে পালায় না, বরং ভাড়াটিয়া খেলাপি হলে পালিয়ে যায়। আওয়ামীলীগের বেলায়ও তাই হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে
গেলেও দেশকে শান্তিতে রাখতে দিচ্ছে না। চারিদিকে ষড়যন্ত্রের আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলি আওয়ামীলীগের ওপর সুবিচার করা হোক। কেননা তাদের ওপর সুবিচার করা হলেও তাদের শাস্তি হবে। তাদের বিচার হতে এজন্য যে, আর যেন কেউ এমন দুর্বৃত্ত না হতে পারে। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আমাদের সন্তানরা। তাদের সে মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতের আমীর।

সামবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল। উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন খুলনা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ ও সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির।

এর আগে পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকাল ৮ টায় স্থানীয় গদাইপুর ফুটবল ময়দানে পথ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষন দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোঃ মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় কম4র্6পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ মো” রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল, । উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেনবক্তৃতা করেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দি, খুলনা জেলা নাযেবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবুজার আল গিফারী, , নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা সুজিাউদ্দিন, সেক্রেটারি মোনায়েম বিল্লাহ, কয়রা উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি শামিউল ইসলাম, সেক্রেটারি আসমতউল্লাহ, আব্দুল আজিজ, হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিউজ ডেস্ক :

শেখ হাসিনা অনেক গুলো খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিলো। জনগণ দেখতে চায় নিজামী যে রশিতে ফাঁসিতে ঝুলেছে হাসিনাকেও সেই রশিতে ঝুলতে হবে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নোয়াখালী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর উদ্যোগে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশন জেলা সভাপতি এডভোকেট জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে সাংবাদিক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ ও আলেম-ওলামা কাউকেই ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কোনো আন্দোলন করতে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে গুম, খুন ও হত্যাকান্ড এবং জেল জুলুম সহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে শ্রমিকরা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, অথচ তারা নূন্যতম মজুরীর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অঙ্গনে নির্যাতনকারী শ্রমীক লীগকে বেআইনি ঘোষণা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ পরিবার দেশের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা শিক্ষাব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নোয়াখালীর ২৫ জন সাধারণ জনগণ নতুন বাংলাদেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছে এবং একটি উপজেলায় শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ৭ জন মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই জেলা এবং সেই বাংলাদেশকে আমরা সঠিক পথ হারাতে দেবো না।
মাওলানা শাহজাহান তার বক্তৃতায় বলেন, শ্রমিক অঙ্গনের নেতৃত্বে ও ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া বৈষম্যহীন শ্রমনীতি ও সমাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। তিনি বলেন হাসিনা সরকারের আমলে নূন্যতম মজুরির দাবীতে আন্দোলনরত ৪ জন শ্রমিককে খুন করা হয়েছে। এই খুনের অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য জনাব ইসহাক খন্দকার। তিনি বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠ ছিলো আল্লামা সাঈদীর কুরআন তাফসীরের মাঠ। আমরা শপথ করবো মানুষের ঘরে ঘরে আল-কুরআনের কথা ছড়িয়ে দেবো। উক্ত সম্মেলনে ৭ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে সকাল নয়টার পূর্বেই পেন্ডেলের সকল আসন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা ও কর্মীগণ সম্মেলনে যোগদান করেন।
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম লুৎফুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মোঃ আব্দুস সালাম, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন , ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান আরমান।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন

চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন

চকরিয়া টাইমস:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন শাখার কমিটি গঠন উপলক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাদে মাগরিব ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ছৈয়দ করিম ও সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মামুর।

ইউনিয়ন সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ জুনায়েদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য মাস্টার মুহাম্মদ জুনাইদকে সভাপতি এবং মো. মিজানুর রহমানকে সেক্রেটারি করা হয়।

কমিটির অন্যান্য পদে কর্মকর্তারা হলেন- সহ-সভাপতি মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ নাজেরী, মাস্টার মসিউল্লাহ নাজেরী, ডা. রফিক আহমদ, রিয়ানুল হক রিয়ান, এইচ.এম.হারুন-উর-রশিদ টিপু, নুরুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ কাশেম, সহ-সেক্রেটারি সাবের আহমেদ, আব্দুল আলিম, মোহাম্মদ জমির উদ্দিন, বায়তুলমাল সম্পাদক হামিদুল মাজেদ নাকিব, অফিস প্রচার প্রকাশনা ও পাঠাগার সম্পাদক তারিফুল ইসলাম বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল করিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মিজান ইবনে আহমদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সোহেল রানা, পেশাজীবী সম্পাদক রিয়ানুল হক রিয়ান, সহ-পেশাজীবী সম্পাদক আব্দুল গনি খান, আবু তালেব, প্রশাসন ও রাজনৈতিক সম্পাদক এইচ.এম.হারুন-উর-রশিদ টিপু, তরবিয়ত বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক -আছহাব উদ্দীন ছোটন, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক ইলিয়াছ সাঈদী, ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কফিল উদ্দীন, শিক্ষক ফেডারেশন সম্পাদক মাস্টার এহছানুল হক, আইটি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, মানব কল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক ও সহ-মানব কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হক।
চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন

চকরিয়া টাইমস:

চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলা সভাপতি মো. শরিফুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম রুহুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর। তিনি বক্তব্যে বলেন, বৈষম্যহীন শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর শ্রমিক কল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল ফারুক।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা উপদেষ্টা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মহসিন, চকরিয়া উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আবুল বাশার, উপদেষ্টা মাওলানা ছাবের আহমদ, মাওলানা সৈয়দ করিম, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালেকুজ্জামান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, উপদেষ্টা মোহাম্মদ নুরুন্নবী ও সাবেক ছাত্রনেতা ওমর আলী। এসময় শ্রমিক কল্যাণসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চকরিয়া উপজেলা শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য পুনরায় মো. শরিফুল আমিনকে সভাপতি ও এইচ.এম রুহুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দিঘিরপাড় হিলফুল ফুজুল ইসলামী যুব কাফেলার ২১তম সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিল

দিঘিরপাড় হিলফুল ফুজুল ইসলামী যুব কাফেলার ২১তম সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিল

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড মাতামুহুরী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা দিঘিরপাড় হিলফুল ফুজুল ইসলামী যুব কাফেলার ২১তম সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিল দিঘিরপাড় সীরাত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অধিবেশনভিত্তিক সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আ.ক.ম ছাদেক, মাওলানা নুরুল হক ও মাওলানা আবুল কালাম।
বিশাল সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিলে আলোচনা পেশ করেন দেশের সুপরিচিত ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক মাওলানা গাজী মুহিবুল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা কফিল উদ্দিন এম.এ, মাওলানা আশরাফুল মোস্তফা, মাওলানা মারুফ বিন জাকারিয়া, মাওলানা নূর খাঁন উদ্দিন, মাওলানা ওসমান গণি, মাওলানা আশরাফ মোঃ মিজান ও মাওলানা বেলাল উদ্দিন।
দিঘিরপাড় হিলফুল ফুজুল ইসলামি যুব কাফেলার সভাপতি মো: জমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, অর্থ সম্পাদক মো: আলী আকবরসহ অন্যান্য সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আরিফুল কবির। তিনি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে- ইসলামী সংস্কৃতির আলোকে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এদিকে একইদিন সকাল ৯টার দিকে দিঘিরপাড় হিলফুল ফুজুল ইসলামী যুব কাফেলার আয়োজনে দিঘিরপাড় তা'লিমুল কুরআন নূরানী ইবতেদায়ী মাদরাসার ২০২৪ সালের বার্ষিক অভিভাবক সমাবেশ, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সুন্দর হস্তলিপি প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
দিঘিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আলী আকবর, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিদুয়ানুল হক, অর্থ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানসহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে বৃত্তিপ্রাপ্তসহ হস্তলিপি প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মাদরাসার পবিত্র কুরআন হেফজ সম্পন্নকারী ১৭ হাফেজ শিক্ষার্থীকে পাগড়ি পরিধান করা হয়।
খুটাখালী ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

খুটাখালী ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আওতাধীন ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী ও সহযোগী সম্মেলন স্থানীয় উত্তর ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ছৈয়দ করিম, খুটাখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান, সাবেক ছাত্রনতো জাহেদুল ইসলাম নোমান, জামায়াত নেতা মাওলানা ওমর হামজা ও খুটাখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শাহাব উদ্দীন আরমান।
এসময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রুরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। বুর্জুয়াদের টাকাপয়সা ধনসম্পদ সামলানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল ইসলাম বিরোধী, যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দলটি। তারা গণতন্ত্রও ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের লেজুড়বৃত্তি করে সর্বশেষ সাড়ে ১৫টি বছর তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ এর বিনিময়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র মা কহিনুর আক্তার, শহিদ কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
“নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই” : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

“নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই” : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

কক্সবাজার শহর জামায়াতের গণশিক্ষা বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বার বার শাসক ও শাসনের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জনগণের সত্যিকারের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ঘুষ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়ে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ধনী-দরিদ্রের বিশাল ব্যবধান সৃষ্টি করে সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। মানুষের রাজনৈতিক ও ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে দিনের ভোট রাতে করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক নিকৃষ্ট পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম কে জাতি সত্ত্বার পরিচয় ভুলিয়ে দিতে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক ইতিহাস রচনা করে জাতির ভবিষ্যতের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আ'লীগ। সর্বত্র বৈষম্য, বিরোধ এবং বঞ্চনার শিকার হয়ে মানুষ মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। ৫ আগস্ট তরুণ প্রজন্মের সাহসী ও ত্যাগী ভূমিকার কারণে দেশের মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তা হারিয়ে যেতে দিবো না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ কে নতুন করে বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী সর্বাগ্রে প্রয়োজনীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখা আয়োজিত সোমবার ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

শহর আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী।

শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা বৈঠকে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আ'লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সাড়ে পনেরো বছর আ' লীগের ভোট ডাকাতি, টাকা পাচার, গুম- খুন ও উন্নয়নের নামে লুটপাট বিশ্বের ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে। দেশের মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট কে যেমনি চায় না, তেমনি নতুন কেউ ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনায় আসুক এটাও চায় না। দেশের মানুষ সত্যিকারের একটি পরিবর্তন চায়। যেখানে আত্মমর্যাদা, স্বস্তি এবং নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের একটি দেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি দেশবাসীকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান।

এদিকে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতির কারণে গণশিক্ষা বৈঠক সমাবেশে পরিণত হয়। এতে জেলা ও শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়ায় জামায়াতের বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের র‌্যালী

চকরিয়ায় জামায়াতের বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের র‌্যালী

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়া পৌরশহরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ৫৪তম বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বিশাল বিজয় র‌্যালী বের করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত র‌্যালীটি পৌরশহরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বর শুরু হয়।
র‌্যালীর অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর জামায়াত মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী পদপ্রার্থী মো. আরিফুল কবির।

বর্ণাঢ্য এ র‌্যালী কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ প্রশাসনিক প্রধানসড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারস্থ কমিউনিটি সেন্টার মাঠে সমাবেশে মিলিত হয়।
চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. কুতুব উদ্দিন হেলালীর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের আমীর আরিফুল কবির।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক ছাত্রনেতা মো. ফখরুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির চকরিয়া শহর শাখার সভাপতি ইব্রাহিম ছিদ্দিক ফারুক।
এসময় চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা উসমান গনি, মাওলানা জামাল হোসাইন নূরী, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ রাসেল, মানব সম্পদ বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুল করিম, শ্রমিক নেতা শওকত আলম, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আবু নাঈম আজাদসহ কর্মপরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশাল বিজয় র‌্যালী পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ৫ আগস্টের পরেও এখনও বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে হয় । এসময় বক্তারা সিংড়িঘেরে দখলবাজী, সড়কে চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তারে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে সরে আসার আহবান জানান। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরও নিরপেক্ষ আচরণ করার আহবান জানান।