Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক: 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদের সমর্থন দিন। আমরা আপনাদের সাথে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মা এবং আহতদের কথা দিচ্ছি, ক্ষমতায় গেলে নিজেরা চাঁদাবাজি করবো না, কাউকে চাঁদাবাজি করতে দিবো না। নিজেরা দখলবাজি করবো না, কাউকে দখলবাজি করতে দেবো না। আপনাদের সাথে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের।
ডা, শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে এমন একটি কর্মী সম্মেলনের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। কারণ সেই সময় এমন একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিল, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারতো না। ভাল লাগলে হাসতেও পারতো না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার চালু করেছিল। কেউ তাদের মন্দ কাজের সমালোচনা করলে আস্তে করে জেলে ঢুকিয়ে দিতো।
তিনি বলেন, আজকে শুনি একজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন- এখন চালের দাম এতো কেন? তারা তো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। তারা কী সাড়ে ১৫ বছর খাওয়াতে পেরেছেন? মাঠ থেকে উত্তর আসে- না, না। আপানারা দেখেছেন আপনাদের এলাকার এমপি-মন্ত্রী-সচিব হওয়ার আগে তাদের সহায়-সম্পত্তি কেমন ছিল। ১৫ বছরে খেয়ে দেয়ে তারা কেমন মোটা তাজা হয়েছেন তাও আপনারা দেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাগুরাতে নয়। এচিত্র ছিল সারা বাংলাদেশের। কেউ কেউ বলেছেন আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার পাওয়ার কিছু নাই। এখন কেবল দেওয়ার পালা। হ্যাঁ তারা দিয়েছেন ছোপ ছোপ রক্ত আর সারি সারি লাশ। এমন কোন জনপদ বাংলাদেশে নেই যে তারা নির্দয়ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়নি। এমনকি ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কাজটি চালিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গেছেন। দেশ যদি আপনার হয়ে থাকে, দেশকে ও মাটিকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? প্রশ্্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ব্রুনাই সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষের দেশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি দেশ। সেখানে রাজতন্ত্র হলেও রাজা তার জনগণকে তার অন্তরে ধারণ করেন। এজন্য রাজার কোন নিরাপত্তা লাগে না। সেখানে নাগরিকদের অধিকার চাইতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশেতো অধিকারের জন্য প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে হয়। কিন্তু সেখানে না চাইতেই অধিকার পেয়ে যায় নাগরিকরা। আপনারা কি সেরকম দেশ চান? মাঠ থেকে জবাব আসে- ‘চাই’। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুন্দর মানবিক দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কোরআনের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ব্রুনাইতে রাজার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী লাগে না। বছরে একটি খুনও হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দুজন দায়িত্বাশীল মন্ত্রী ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না যে, তারা দুই টাকার দুর্নীতি করেছেন। তারা সবার অধিকার সবার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যদি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হই, আগামিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সমস্ত ইসলামী দল, দেশপ্রেমিক দল ও মানবিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ একটি মানবিক দেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই দেশটা ইনশাআল্লাহ এমন হবে, এই দেশে একজন মা তিনি ঘরের ভেতর থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের মায়েরা রসূলে করিম (সা:) এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তারা মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ব্যবসা করেছেন এবং সমাজ পরিচালনায় ভুমিকা রেখেছেন। ডা, শফিকুর রহমান বলেন, কোন দল নয়, ধর্ম নয় দেশ আমাদের সবার। এই নীতিকে ভিত্তি করে যার যার অধিকার তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়বো। সবার অধিকার সমান থাকবে।
তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমরা এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যাতে কাউকে বেকার থাকতে না হয়। স্কুল কলেজ মাদরাসা থেকে বের হয়ে একটা চাকরির জন্য এ ঘরে ঐ ঘরে ঘুরতে না হয়। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবার ন্যায্য স্বাধীনতা থাকবে। আমরা সীমাহীন অন্যায্য স্বাধীনতায় বিশ^াসী নই। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হনন করে। মিথ্যা গুজব ছড়ায়। একজনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়। আমরা এরকম অধিকার দিতেও চাই না, দেখতেও চাই না।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখনে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বলবে তুমি কালো, তুমি সাদা। আমরা সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিচাররের অঙ্গনে আজকে মানুষ বিচার পায় না। ঘুষের রমরমা বাণিজ্য হয়। বিচারপতিরা ঘুষ খায়। বলবেন তার কোন প্রমাণ আছে? হাজার প্রমাণ আছে। সবশেষ প্রমাণ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করতে চাই যেখানে কোন বিচারক রাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তা, কোন কর্মচারী ঘুষের জন্য হাত বাড়ানোর দু:সাহস দেখাবে না। যদি কেউ হাত বাড়ায় তাহলে তার সেই হাত ভেঙ্গে অবস করে দেওয়া হবে। ডা. শফিকুর রহমান ঘুষ আর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘুষ ও দুর্নীতি দুটি-ই সমাজের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার দূর করতে না পারলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেউ গড়তে পারবে না।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করে জামায়াতের আমীর বলেন, ২০০৯ সালে যে খুন গুম আর ধর্ষণের রাজনীতির শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতির কবর আমরা রচনা করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের সন্তানেরা রাজপথে স্লোগান দিয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা বৈষম্য চাই না, ন্যায় বিচার চাই। আমরা শহীদদের আত্মাকে কথা দিচ্ছি, আল্লাহকে কথা দিচ্ছি, শহীদদের বেঁচে থাকা আপনজনদের কথা দিচ্ছি, আহত পঙ্গু ভাইবোনদের কথা দিচ্ছি, তাদের স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাতে রাজি আছি। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দিবো না। এই লড়াই আমাদের অব্যাহত থাকবেই। এই লড়াইয়ে এবার আমরা জনগণকে পাশে পাবো। ইতোমধ্যে জনগণ জানান দিয়েছে যে, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদার মুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় এবং সাম্যের একটি বাংলাদেশ চাই। তিনি বলেন এমন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আরও লড়াই করতে হবে। এজন্য মাগুরাবাসীকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান, স্লোগান তোলেন “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”। মাঠ থেকে তার সঙ্গে সুর মিলান লাখো কণ্ঠ।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি অতীতে আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি নাই। এখন করছি না। ভবিষৎতেও আমরা করবো না। যদি আল্লাহ আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেবো না। আমরা দখলবাজি চালাই না, ভবিষৎতে কাউকে দখলবাজি চালাতে দেওয়া হবে না। আমরা মানুষকে ভিন্ন চোখে দেখি না। এসময় তিনি মাগুরার বৃদ্ধা কিরণবালা এবং কক্সবাজারের বৌদ্ধ ধর্মের নি:স্ব ব্যক্তিকে নিরবে সহায়তা করার উদাহরণ দেন। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন আমীরে জামায়াত।
জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড আলমগীর বিশ^াস, মাওলানা আজিজুর রহমান ও শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান।
মোবারক হোসেন বলেন, এখন কাজ একটাই যা আমীরে জামায়াত শুনিয়েছেন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করা জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব। দেশের মানুষ ডান বাম সব দেখেছে। তারা এখন কোরআনের আইন দেখতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, এখন এক ধরণের বাহানা চলছে। আমাদের ব্যাপারে ব্লেম গেইম চলছে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাওলানা আজীজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে সারাদেশে সাড়ে ১৬শ’ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে মাগুরায় রাব্বি, মাহদিসহ দশজন জীবন দিয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা সুন্দর শান্তির বাতাস পেয়েছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেদিন সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল! তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা যেন কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করে বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসো। চট করে ঢুকতে চাও কেন?
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন, ঝিনাইদাহ জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট আজমত হোসেন, আলমগীর হোসনে রাজু, জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা মো: আনিসুর রহমান, শ্রমিক নেতা অধ্যাপক মাওলানা মো. মশিউর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো, ইব্রাহীম বিশ^াস, জেলা জামায়াতে তথ্য ও গবেষণা সেক্রেটারি মাওলানা কবির হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রিড়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো, রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন আশিক, পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, মহম্মদপুর উপজেলা আমীর নূর আহম্মদ, শালিখা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হোসাইন শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দীন মিজান ও শালিখা উপজেলার সাবেক আমীর আলমগীর হোসেন।
মাগুরা জেলার অমুসলীম নেতা উত্তম কুমার বিশ^াস বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মদিনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। তাতে হিন্দুরাই উপকৃত হবে। আমরা আর ঘসেটি বেগম কিংবা ও লেন্দুপ দর্জির দেশ চাই না। দেশ আমাদের। আমরাই দেশ গড়বো। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যায় এবং সাম্যের দেশ কেবল জামায়াতে ইসলামী-ই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
মাগুরা জেলা অমুসলীম শাখার প্রচার সেক্রেটারি প্রনয় কুমার বিশ^াস বলেন, হিন্দুরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের বাইরে না। তাদের যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করার অধিকার আছে, তেমনি জামায়াতে ইসলামী করার অধিকারও রয়েছে। তিনি দেশের সমস্ত অমুসলীমদের সৎ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে না। তারা আমাদের ইজ্জতে আঘাত করেনা। ৫৩ বছর আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় জামায়াতের রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো বাপ-দাদার কিংবা কোন ব্যক্তির আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করবে না। আমরা আল্লাহর আইন দ্বারা দেশ চালাতে চাই। আমরা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এদিন দুপুরে শহরের দরি মাগুরাস্থ আল আমীন কমপ্লেক্সে মহিলা রুকন সম্মেলন ও অমুসলীম নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমীরে জামায়াত। বিকেলে জেলার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান।
দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

দেশের মানুষ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায় : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে।”
৪ জানুয়ারি শনিবার গাজীপুরে জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর সদর মেট্রো থানা শাখার আমীর জনাব সালাউদ্দিন আইউবির সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরী আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মহানগরী নায়েবে আমীর জনাব খায়রুল হাসান, মহানগরী সেক্রেটারি জনাব আবু সাঈদ মোঃ ফারুক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “৫ আগষ্টের পর আমাদের যে বিজয় হয়েছে তা চূড়ান্ত বিজয় নয়। ইহকালীন বিজয় অর্জনে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় এ দুনিয়ায় নয়। চূড়ান্ত বিজয় হলো শেষ বিচারের দিন জান্নাত লাভ।”
তিনি বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচন কঠিন হবে। ফ্যাসিস্টরা বসে নেই। ওরা ওঁৎ পেতে আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। কারন ইতিহাস বলে পলাতকরা কোনদিন ফিরে আসতে পারেনি। সংসদে সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এ অবস্থান তৈরী করতে ইউনিটগুলোকে দৃঢ় মজবুত, সুসংহত করতে হবে। ইউনিটই হলো জামায়াতী জিন্দেগীর প্রবেশদ্বার। সংগঠনের নির্দেশ মোতাবেক কর্ম সম্পাদনের পরই আদর্শ ইউনিট বলে বিবেচিত হবে।”
এ ছাড়াও তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থানা পূর্ব ও পশ্চিমের ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলনে এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন গাজীপুর মহানগরীর রুকন সম্মেলনেও বক্তব্য প্রদান করেন।
বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সভাপতি মোঘল ও সম্পাদক আলিম

বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সভাপতি মোঘল ও সম্পাদক আলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ২০২৫ সালের নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তফা মোঘল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এইচ আলিম নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের স্কাইভিউ রেস্টুরেন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এইচ আলিম। বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ। সাধারণ সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ। সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন এবং সাংগঠিক বিভিন্ন বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি রাহাত রিটু, জহুরুল ইসলাম, মোস্তফা মোঘল, শামীম আলম, কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ।
আলোচনা শেষে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৪ সালের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সাবেক সভাপতি জহরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সাঈদকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে মোস্তফা মোঘল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এইচ আলিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এই কমিটির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম আলম, কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ, নির্বাহী সদস্য রাহাত রিটু, জহুরুল ইসলাম, শামীম আলম, আমিনুল ইসলাম মুক্তা ও রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মনোনিত হন।
শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সারাদেশের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মিলনায়তনে দীর্ঘদিন ১৫বছর পর প্রকাশ্যে জমকালো আয়োজনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বার্ষিক সদস্য সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন শিবির সভাপতি হিসেবে জাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। এছাড়াও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০ এর যাত্রা শুরু

ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০ এর যাত্রা শুরু

চকরিয়া টাইমস:

দেশে যাত্রা শুরু করেছে ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ভিভো এক্স২০০। ভিভোর এক্স সিরিজের এই ফ্ল্যাগশিপ দেবে উন্নত জাইস টেলিফটো ক্যাপাবিলিটি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
ভিভো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও চাহিদাকে সামনে রেখেই উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিয়েছে ভিভো। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে এসেছে এক্স২০০।
ভিভো এক্স২০০-এর ক্যামেরা দেবে পেশাদার মানের ফটো ও ভিডিওগ্রাফির অভিজ্ঞতা। এতে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ক্লিয়ার সেন্সর জাইস টেলিফটো ক্যামেরা, যা দিবে স্পষ্ট, নিখুঁত এবং ডিটেইলড ছবি। টেলিফটো ম্যাক্রো দিয়ে ২০ গুণ জুমে মিলবে ক্ষুদ্রতম ডিটেইল। পাশাপাশি টেলিফটো পোর্ট্রেট মোডে দীর্ঘ ফোকাল লেন্স এবং জাইস অপটিক্স ব্যবহার করে প্রতিটি ছবি হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন। এছাড়াও আছে ১০০ গুণ হাইপারজুম, সুপার ল্যান্ডস্কেপ মোড, জাইস সিনেমাটিক পোর্ট্রেট ভিডিও।
ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে জাইস টি-কোটিং প্রযুক্তি। যা সব বাধা বিঘ্ন দূর করে নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ও ঝকঝকে ছবি। জাইস মাল্টিফোকাল পোর্ট্রেট দিয়ে ৩ মি.মি. থেকে ১০০ মি.মি. পর্যন্ত বিভিন্ন ফোকাল রেঞ্জে পেশাদার মানের ছবি তোলা যাবে।
ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোনের ৩ এনএম মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৪০০ চিপসেট নিশ্চিত করবে মসৃণ মাল্টিটাস্কিং। সাথে ১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি রমের ক্ষমতা প্রয়োজনীয় সবকিছু সংরক্ষণ ও নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য যথেষ্ট। এতে আছে ৫৮০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি, যা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও থাকবে দৃঢ়। এআই ইরেজ ও এআই নোট অ্যাসিস্ট দিয়ে প্রতিদিনের কাজ হবে আরও গতিময়। ৪৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস এবং ৬.৬৭ ইঞ্চি জাইস মাস্টার কালার ও আই প্রোটেকশন ডিসপ্লেতে চোখ কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়বে না।
ভিভো এক্স২০০ এ আছে কোয়াড কার্ভড ডিসপ্লে। প্রিমিয়াম মেটালিক ফিনিশ স্মার্টফোনটির লুকে এনেছে বৈচিত্র্য। ভিভো এক্স২০০ স্মার্টফোন এর আইপি ৬৮ ও আইপি ৬৯ রেটিংস। এতে আছে নতুন ফানটাচ ওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেম, যা দেবে আপডেটেড ভিজ্যুয়াল ডিজাইন, নিরাপত্তা এবং স্মুথ পারফরম্যান্স অভিজ্ঞতা। 

ভিভো এক্স২০০ পাওয়া যাবে ন্যাচারাল গ্রিন ও কসমস ব্ল্যাক এই দুই রঙে। প্রি অর্ডার করা যাবে স্মার্টফোনটি। এর দাম পড়বে ১,৩৯,৯৯৯ টাকা। এছাড়া স্মার্টফোনটি প্রি-অর্ডার করলে পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় নানা ধরনের গিফট ও অফার। 

আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো : ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। কোন নির্দিষ্ট দলের হাতে যেন ভোট ও দেশ আর চলে না যায়। তিনি বলেন, আমরা একটি তারুণ্য নির্ভর সমাজ দেখতে চাই। যুব সমাজকে সাথে নিয়ে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত ও দখলদারমুক্ত দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার প্রধান সমস্যা বেড়িবাধ সংকট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, আপনারা অন্তত: শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে আর কোন দাবি করতে হবে না, বরং জনগনের সংকটগুলো খুঁজে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে। এদেশের যুবকরা বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ কলেজ ময়দানে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পাইকগাছার গদাইপুর ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত পৃথক সমাবেশে এবং ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইলে পথসভায় বক্তৃতা করেন।

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের আমীর আরও বলেন, মা-বোনদেরকে জামায়াত ভীতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথেই মা-বোনেরা দেশ গড়ার কাজে অংশ নেবে। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কোন বাক্য এদেশে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই মিলেমিশেই দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী। বিশেষ কোন গোষ্ঠী নয়, বরং ‘প্রত্যেকেই আমরা একেকজন যোদ্ধা’ বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামীলীগ আমলের তিনটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে জামায়াতের আমীর বলেন, ১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন, ১৮ সালে হয় নিশিরাতের নির্বাচন আর ২৪ সালে হয় ডামি নির্বাচন। সুতরাং এমন নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায়না। ডামি নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল।কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের সে অপশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন। আ’লীগ দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীীত দমন কমিশন এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধংস করেছে। মেয়েদের ইজ্জতের কোন গ্যারান্টি ছিল না। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ফুসে উঠেছিল। রংপুরের আবু সাইদের মত অসংখ্য ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের মালিক ছিল না। তারা দেশের মালিক থাকলে দেশ ছেড়ে পালাতো না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে পালায় না, বরং ভাড়াটিয়া খেলাপি হলে পালিয়ে যায়। আওয়ামীলীগের বেলায়ও তাই হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে
গেলেও দেশকে শান্তিতে রাখতে দিচ্ছে না। চারিদিকে ষড়যন্ত্রের আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলি আওয়ামীলীগের ওপর সুবিচার করা হোক। কেননা তাদের ওপর সুবিচার করা হলেও তাদের শাস্তি হবে। তাদের বিচার হতে এজন্য যে, আর যেন কেউ এমন দুর্বৃত্ত না হতে পারে। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আমাদের সন্তানরা। তাদের সে মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতের আমীর।

সামবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল। উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন খুলনা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ ও সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির।

এর আগে পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকাল ৮ টায় স্থানীয় গদাইপুর ফুটবল ময়দানে পথ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষন দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোঃ মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় কম4র্6পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শাহ মো” রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল, । উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেনের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেনবক্তৃতা করেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দি, খুলনা জেলা নাযেবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাওসুল আযম হাদী, খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবুজার আল গিফারী, , নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা সুজিাউদ্দিন, সেক্রেটারি মোনায়েম বিল্লাহ, কয়রা উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি শামিউল ইসলাম, সেক্রেটারি আসমতউল্লাহ, আব্দুল আজিজ, হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিউজ ডেস্ক :

শেখ হাসিনা অনেক গুলো খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিলো। জনগণ দেখতে চায় নিজামী যে রশিতে ফাঁসিতে ঝুলেছে হাসিনাকেও সেই রশিতে ঝুলতে হবে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নোয়াখালী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর উদ্যোগে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশন জেলা সভাপতি এডভোকেট জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে সাংবাদিক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ ও আলেম-ওলামা কাউকেই ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কোনো আন্দোলন করতে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে গুম, খুন ও হত্যাকান্ড এবং জেল জুলুম সহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে শ্রমিকরা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, অথচ তারা নূন্যতম মজুরীর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অঙ্গনে নির্যাতনকারী শ্রমীক লীগকে বেআইনি ঘোষণা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ পরিবার দেশের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা শিক্ষাব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নোয়াখালীর ২৫ জন সাধারণ জনগণ নতুন বাংলাদেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছে এবং একটি উপজেলায় শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ৭ জন মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই জেলা এবং সেই বাংলাদেশকে আমরা সঠিক পথ হারাতে দেবো না।
মাওলানা শাহজাহান তার বক্তৃতায় বলেন, শ্রমিক অঙ্গনের নেতৃত্বে ও ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া বৈষম্যহীন শ্রমনীতি ও সমাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। তিনি বলেন হাসিনা সরকারের আমলে নূন্যতম মজুরির দাবীতে আন্দোলনরত ৪ জন শ্রমিককে খুন করা হয়েছে। এই খুনের অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য জনাব ইসহাক খন্দকার। তিনি বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠ ছিলো আল্লামা সাঈদীর কুরআন তাফসীরের মাঠ। আমরা শপথ করবো মানুষের ঘরে ঘরে আল-কুরআনের কথা ছড়িয়ে দেবো। উক্ত সম্মেলনে ৭ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে সকাল নয়টার পূর্বেই পেন্ডেলের সকল আসন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা ও কর্মীগণ সম্মেলনে যোগদান করেন।
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম লুৎফুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মোঃ আব্দুস সালাম, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন , ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান আরমান।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রুরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। বুর্জুয়াদের টাকাপয়সা ধনসম্পদ সামলানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল ইসলাম বিরোধী, যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দলটি। তারা গণতন্ত্রও ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের লেজুড়বৃত্তি করে সর্বশেষ সাড়ে ১৫টি বছর তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ এর বিনিময়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র মা কহিনুর আক্তার, শহিদ কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আদর্শের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ : মাওলানা আবদুল হালিম

আদর্শের ভিত্তিতে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ : মাওলানা আবদুল হালিম

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কর্মী সম্মেলন

চকরিয়া টাইমস :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আদর্শের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো আপোষ করেনি। জামায়াত প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আমরা আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ।"
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী, নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর শহর আমীর অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান প্রমুখ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, "চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার থাকবো। এটি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হবেনা। ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। রাজনীতি এবং চাঁদাবাজি জীবিকা নির্বাহের জন্য হবে না। রাজনীতি হবে মানুষের মুক্তি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জামায়াতে ইসলাম রাজনীতিকে মনে করে ইবাদত। মানুষের সেবা ও কল্যাণ করা হচ্ছে ইবাদত। মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের দিকে তাকিয়ে আছে।"
তিনি বলেন, "জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের অনেক প্রত্যাশা। তাদের এই প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য আমাদের সকলকে সংগঠনের দাওয়াত ও ইসলামের বানী পৌঁছে দিতে হবে।"
প্রধান অতিথি বলেন, "দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র আসতেছে। তারা বিভিন্ন চেহারায় আসার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আমি দৃঢ় কন্ঠে উচ্চারণ করতে চাই, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের প্রতিবেশি আগ্রাসন শক্তি আমাদের কিছুই করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা বলেছি দেশের স্বার্থে পতিত স্বৈরাচারি দল ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে।"
কাতারে গণিত প্রতিযোগিতায় লামার উছাইওয়াংয়ের সাফল্য

কাতারে গণিত প্রতিযোগিতায় লামার উছাইওয়াংয়ের সাফল্য

চকরিয়া টাইমস :

গত ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিত হয় গণিতের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ। এ আয়োজনের ১২তম আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের গণিত টিম।

এ দলের একজন সদস্য বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উছাইওয়াং মার্মা। এই প্রতিযোগিতায় সে রৌপ্য পদক অর্জন করে। এবছরই কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমবার ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ-এ অংশগ্রহণ করে। এতে জাতীয় পর্বে বিজয়ী হয় এই স্কুলের চার জন ছাত্র।

পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আসরের জন্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় উছাইওয়াং মার্মা। তার এই সাফল্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেন বলেন, উছাইওয়াং ক্লাসের শেষে সুযোগ পেলেই গণিত প্র্যাকটিস করে। আমরা তার আরো সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।
উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অসহায় অথবা এতিম শিশুরা লেখাপড়া করে। এটি একটি আবাসিক স্কুল। ২০১৬ সালে উছাইওয়াং এই স্কুলে ভর্তি হয় শিশু শ্রেণিতে। বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিতৃহীন এই শিশুর অভিভাভক হলেন তার মা এবং নানি। তারা উছাইওয়াং-এর অর্জনের জন্যে স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই স্কুলে ভর্তি না হলে উছাইওয়াং এ পর্যন্ত আসতে পারত না।
সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

খুলনা ব্যুরো : 


বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি, দৈনিক সংগ্রাম-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজীর আশু সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার উদ্যোগে  এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজে’র  সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন।

দোয়া মাহফিলে ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে বিএফইউজে’র  সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, এমইউজের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আজীজী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাবেক নির্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদ, সিনিয়র সদস্য এরশাদ আলী, জি এম রফিকুল ইসলাম, কে এম জিয়াউস সাদাত, মাকসুদ আলী, আহমদ মুসা রঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম নূর, নাজমুল হক পাপ্পু, মাশরুর মোর্শেদ, সেলিম গাজী, কামরুল হোসেন মনি, এস এ মুকুল, এমরান হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, রোববার রাত পৌণে তিনটায় বিএফইউজের সভাপতিক রুহুল আমিন গাজীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে পারেননি তার পরিবার। ফ্লাই করার অনুমতি না পেয়ে তাকে নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসে আবারও ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন। তিনি আপনজনদের যেমন চিনতে পারছেন না তেমনি কথাও বলতে পারছেন না। শ্বাসকষ্টও একটু বেশি মনে হয়েছে। তারপরও মহান আল্লাহ সবকিছুই পারেন। তিনি রুহুল আমিন গাজীকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন এই দোয়া সবাই করবেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

‘জনকল্যাণমূখী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য’

‘জনকল্যাণমূখী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য’

হালিশহর থানা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। সেই সাথে তাদের দলীয় অঙ্গসংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলে মত্ত ছিল। বিশ্বের বুকে এ দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নেয়ার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণমূখী এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার উদ্যোগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ জামায়াত-শিবির ও জনতার উপর চরম নির্যাতন হামলা মামলা চালিয়েছে। নির্যাতিত নিরীহ জনতার ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। খুন, গুম ও অপহরণ চালিয়ে গোটা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা আল্লাহর কাছে শহীদি তামান্না কামনা করে তাদেরকে জেল জুলুম চালিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। একটি আদর্শ আন্দোলনের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা যায় কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না। হত্যা জেল জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না। 

হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরে জাহান সিরাজী সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর বিশিষ্ট পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর সহকারী সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ নুর, বন্দর থানা আমীর মাহমুদুল আলম, সদরঘাট থানা আমীর আব্দুল গফুর, হালিশহর থানা নায়েবে আমীর ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল হক, শহীদ আবিদ বিন ইসলামের পিতা এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আবু শাহাদাত সায়েম, আব্দুল ফাত্তাহ উসামা প্রমুখ।

নগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- আমরা সবাই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো দরিদ্র থাকবে না, ক্ষুধামুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চাই। বর্তমানে দেশে একটি শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই শান্তির পরিবেশকে অরাজকতার পরিবেশে সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এই অরাজকতার পরিবেশ যাতে তৈরি করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সব কর্মীকে একতাবদ্ধ থেকে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। 

বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব : মুহাম্মদ শাহজাহান

বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বানভাসী মানুষগুলো আজ বড় অসহায়। বহু কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যা দুর্গতরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করা সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, যে কোন দুর্যোগে মানবিক সহায়তায় জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও পিছিয়ে নেই। তার প্রমাণ আজকের এই ত্রাণ সহায়তা। জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি সরকারকে সহযোগিতায় বন্যার্ত মানুষের পাশে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) ফেনীতে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সামগ্রি বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

এসময় ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শামসুদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ.টি.এম মিছবাউল হক, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইমলাম, আইআইইউসি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ হাসনাইন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বেনাপোল শাখা উদ্বোধন

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বেনাপোল শাখা উদ্বোধন

চকরিয়া টাইমস :

বিশ্বস্ত ব্যাংকিং সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যশোরের বেনাপোলে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রধান অতিথি হিসেবে শাখাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত।

এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জেহাদ, বেনাপোল পৌরসভা মেয়র মোঃ নাসির উদ্দীন, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ বজলুর রহমান, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত সম্মানীত অতিথি ও গ্রাহকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বকীয়তা বজায় রেখে দ্রুততার সাথে ব্যাংকিং সেবার পরিধি সম্প্রসারণ করবে বলে অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ সম্পন্ন

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ সম্পন্ন

চকরিয়া টাইমস : 

দেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ২০২৪ সালের “শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ” ৫ই জুলাই রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে সুস্থ সংস্কৃতি উপহার দিয়ে আসা এই সংগঠন তাদের শিল্পী, অভিভাবক, সাবেক দায়িত্বশীল, সাবেক পরিচালক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে এই প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সম্মানিত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম এবং প্রধান আলোচক ছিলেন সাইমুমের সাবেক পরিচালক মাওলানা তারিক মুনাওয়ার। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আকতার এবং কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সহধর্মিণী সাবিনা মল্লিক।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিল্পী আবুল হোসাইন মাহমুদসহ অন্যান্য জনপ্রিয় শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক পরিচালক আকরাম মুজাহিদ, শরীফ বায়েজিদ মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম, মুস্তাগিছুর রহমান মুস্তাক, বদিউর রহমান সোহেল, আব্দুল্লাহিল কাফি, হুসনে মোবারক, এবিএম নোমান, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং আতিক তাশরীফও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান, বিশিষ্ট কবি আবু তাহের বেলাল, বিশিষ্ট ছড়াকার কবি নাঈম আল ইসলাম মাহিন, সুরকার ও শিল্পী গোলাম মওলা, বিশিষ্ট কাওয়ালী শিল্পী হাসিনুর রব মানু, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব মুকুল, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আহসান হাবিব খান, সাইমুমের তত্ত্বাবধায়ক সাদেক আব্দুল্লাহ ও এ. আর. আজাদ এবং শিল্পী ওবায়েদুল্লাহ তারেক, দিদারুল ইসলাম, মারুফ আল্লামসহ সাইমুমের জনপ্রিয় শিল্পীরা। সেই সাথে ঢাকাস্থ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং এরপর ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু হয়। অভিভাবকরা তাদের বক্তব্য প্রদান করেন এবং তাদের আগামীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সেশনের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচকসহ বিভিন্ন বক্তারা সাইমুমের অবদান তুলে ধরেন এবং আগামীর পথচলায় সাইমুমকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সাবেক বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিদায়ী বিভিন্ন শিল্পী ও দায়িত্বশীলদের আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং অভ্যন্তরীন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাইমুমের বর্তমান সহকারী পরিচালক শিল্পী হাফেজ নিয়ামুল হোসাইন এবং পরিচালনা করেন বর্তমান পরিচালক শিল্পী জাহিদুল ইসলাম।
রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক : 

রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এজিএম হাইব্রিড পদ্ধতিতে স্বশরীরে এবং অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। 

 সভায় রবি আজিয়াটা লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিবেক সুদ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, রাজীব শেঠি, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এম. রিয়াজ রাশিদ,অন্যান্য বোর্ড সদস্য ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব, সাহেদ আলম। 

শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে রবি’র চেয়ারম্যান বিবেক সুদ বলেন, ‘২০২৩ সালে অসাধারণ কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে রবি'র গুণগত সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলেছে। ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের এই যাত্রায় গ্রাহকেরা রবিকে আপন করে নিয়েছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কর ব্যবস্থা। কর ব্যবস্থা যৌক্তিক না হলে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ কষ্টসাধ্য হয়। এর বাইরে দেশের বিধি বিধান অনুসরণ করে আমরা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে যা যা করার সবই করছি। আমাদের সম্মানিত সব শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানাই তারা তাঁদের মূল্যবান বিনিয়োগের কাঙ্খিত ফলাফল পেতে আমাদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রেখেছেন।"

২০২৩ সালে রবি'র শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৬১ টাকা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

রবি সম্পর্কে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (‘রবি’) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেখানে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের সিংহভাগ মালিকানা (৬১.৮২%) রয়েছে। এছাড়া রবিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের (১০%) পাশাপাশি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) শেয়ার রয়েছে  ২৮.১৮%।  রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ বাংলাদেশের বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ বাংলাদেশের বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার : 

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল, ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি১,বাংলাদেশ এর প্রায় ৪ শতাধিক লায়ন ও লিওদের উপস্থিতিতে ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট রোড সংলগ্ন সি-শেল পার্ক শনিবার (৯ মার্চ)  বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা গভর্ণর লায়ন মো: লুৎফর রহমান এম.জে.এফ স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বেলুন উড়িয়ে উক্ত দিনটির শুভ সূচনা হয়।


পরবর্তীতে বার্ষিক বনভোজন কমিটির সুযোগ্য চেয়ারপারসন প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন হেলেন আক্তার নাসরিন ও তার বনভোজন কমিটি অত্যান্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে, সকল লায়ন ও লিওদের জন্য সকলে নাস্তা পরিবেশনা, বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড় খেলা, মহিলাদের ঝুরিতে বল নিক্ষেপ, পুরুষদের খালি বারে গোল কিক, মহিলাদের পিলো পাসিং, দুপুরের মজাদার খাবার, সন্ধ্যার নাস্তা, অত্যন্ত কোয়ালিটি সম্পন্ন গিফট দিয়ে রেফেল ড্রসহ মনোমুগ্ধকর সংগীত সন্ধ্যার মধ্যদিয়ে বার্ষিক বনভোজনের সমাপ্তি ঘটে।

উক্ত বার্ষিক বনভোজনে আইডি এন্ডোরসী প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন নাজমুল হক পিএমজেএফ ও তার স্পাউস মৌলদা নাজমুল, কাউন্সিল চেয়ারপারসন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওহাব ও স্পাউস আফরোজা বেগম শোভা, সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিল চেয়ারপারসন লায়ন এস কে কামরুল এবং তার স্পাউস, জেলা ৩১৫ এ৩ এর সম্মানিত জেলা গভর্ণর লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা ৩১৫ এ২ এর জেলা গভর্ণর বিচারপতি ড, মো: বশির উল্লাহ, প্রাক্তন কাউন্সিল চেয়ারপারসন রাসিদ শাহ সম্রাট এর স্পাউস নাজমা রশীদ নাজু, জেলা ৩১৫ বি১ এর ফাস্ট লেডি অফ দি ডিস্ট্রিক্ট লায়ন শিরিন আক্তার রুবি, প্রথম ভাইস জেলা গভর্ণর লায়ন আশরাফ হোসেন খান হিরা এমজেএফ ও তার স্পাউস ফাতেমা কাদির হুমা, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্ণর লায়ন ডঃ এ.কে.এম সারোয়ার জাহান জামিল এমজেএফ ও তার স্পাউস রোজিনা শাহিন মুনা, জেলা ৩১৫ এ২ এর সম্মানিত ১ম ভাইস জেলা গভর্ণর মোহাম্মদ হানিফ, জেলা ৩১৫ এ৩ এর সম্মানিত প্রথম ভাইস জেলা গভর্ণর মো: সামসুল আলম, জেলা ৩১৫ বি১ এর  এর ডিজি অনারারী কমিটি চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন বেনাজির আহম্মেদ পিএমজেএফ, 

প্রাক্তন জেলা গভর্ণর ও প্রাক্তন কাউন্সিল চেয়ারপারসন ইকবাল এইচ খান, প্রাক্তন জেলা গভর্ণর ও প্রাক্তন কাউন্সিল চেয়ারপারসন নুরুল ইসলাম মোল্লা, প্রাক্তন জেলা গভর্ণর ও প্রাক্তন বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন চেয়ারপারসন মজিবুল হক চুন্নু, প্রাক্তন জেলা গভর্ণর শফিকুল আজম ভূইয়া, প্রয়াত প্রাক্তন জেলা গভর্ণর মজিবর রহমান এর স্পাউস আমেনা ফেরদৌস মুনা, প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন দেওয়ান নাসিরুল হকের স্পাউস প্রফেসর জুলেখা বেগম জুই, জেলা ৩১৫ বি৩ এর সস্মানিত প্রাক্তন জেলা গভর্ণর ওয়াহিদুর রহমান আজাদ, জেলা ৩১৫ এ১ এর সম্মানিত প্রাক্তন জেলা গভর্ণর সেলিম আহম্মেদ, 

বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী জেনারেল নুরের রহমান ও তার স্পাউস, জেলা ৩১৫ বি১ এর কেবিনেট সেক্রেটারী লায়ন মো: আশিকুজ্জামান চৌধুরী ইমন ও তার স্পাউস আরফিন আজিজ সারিকা, কেবিনেট ট্রেজারার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও তার স্পাউস রোকসানা আক্তার, জেলা জিএলটি কো-অর্ডিনেটর লায়ন মশিউর আহম্মেদ, ডিস্ট্রিক্ট লিও ক্লাবস চেয়ারপারসন লায়ন মামুন আহম্মেদ ও তার স্পাউস, পিকনিক কমিটি কো-চেয়ারপারসন আব্দর রহিম ও তার স্পাউস, পিকনিক কমিটি কো-চেয়ারপারসন ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার পারভেজ সাগর ও তার স্পাউস, কমিটি সেক্রেটারী আশরাফুল ইসলাম শামীম ও তার স্পাউস, কমিটি ট্রেজারার নাসিমা আলম উপস্থিত হয়ে উক্ত অনুষ্ঠানকে আরো কালারফুল ও সাফল্য মণ্ডিত করেন। 

পরিশেষে জেলা গভর্ণর জেলার সকল লায়ন ও লিওদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই আয়োজন এই সফলতা জেলার সকল লায়ন ও লিওদের, আপনারা উপস্থিত হয়েই এই অনুষ্ঠানকে সাফল্য মণ্ডিত করেছেন, আগামীতের জেলার সকল কাজের পাশে থেকে এভাবেই জেলাকে প্রানবন্ত ও গতিশীল করে রাখবেন এই  আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আন্তরিক উপস্থিতির জন্য সকল লায়ন ও লিও নেতৃবৃন্দের আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিবে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক

জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিবে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক

বিশেষ প্রতিবেদক : 

সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) আয়োজিত সেরাদের সেরা-২৩ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে আবৃত্তিতে বরিশাল বিভাগ চ্যম্পিয়ন কৃতি শিল্পী মারজুক মিরহান। সে ভোলা আদর্শ একাডেমি’র ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

গত (২৫ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজ মিলনায়তনে সসাসের পরিচালনায় ৫ম জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভাগীয় পর্যায়ে ‘ক’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষুদে শিল্পী মারজুক মিরহান বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এরই মধ্যদিয়ে ভোলা জেলার মারজুক এককভাবে বরিশাল বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবে জাতীয় পর্যায়ে।

প্রতিযোগিতা শেষে বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক মিরহানের হাতে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদপত্রসহ ক্রেস্ট তুলে দেন দেশের বরেণ্য শিল্পী গোলাম মাওলাসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, মারজুক মিহরান এরআগে একই ইভেন্টে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেয়।

যেদিন জানতে পারবে এইচএসসির ফলাফল

যেদিন জানতে পারবে এইচএসসির ফলাফল

অনলাইন ডেস্ক :

আগামী ২৬ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর মাধ্যমে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

সূত্র জানায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বরের যেকোনো একটি দিনের সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। তিনি আগামী ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশের সম্মতি দিয়েছেন। এখন রেওয়াজ অনুযায়ী, সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। এরপর সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। 

চলতি বছরের ১৭ আগস্ট শুরু হয় ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। তবে সব বোর্ডই ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশ করবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ শিক্ষার্থী। এবার শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।