Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

চকরিয়া টাইমস : 

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫।

বুধবার (২৬ মার্চ) চকরিয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টার মাঠে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। 

পরপরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ বর্ণিল বেলুন উড়িয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। 

পরে বাংলাদেশ পুলিশ চকরিয়া থানা, উপজেলা আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, উপজেলা স্কাউট ও বাদকদলের অংশগ্রহণে শুরু হয় কুচকাওয়াজ। 

অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে প্যারেড কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া থানা পুলিশের এস.আই মো. সোহরাব সাকিব। অংশগ্রহণকারী কুচকাওয়াজ দলনেতাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও চকরিয়া থানা ওসি মো. শফিকুল ইসলাম। 

কুচকাওয়াজ শেষে অতিথিদ্বয় প্রধান ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এসময় চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফান উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাকেরা শরীফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আনোয়ারুল আমিন, উপজেলা কৃষি অফিসার এস.এম নাসিম হোসেন, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির, বিএনপি নেতা মো. সবুজ, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক মাস্টার মো. আতিকুর রহমান, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোবারক হোসেন জিহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। 

এদিকে কুচকাওয়াজ শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যদের পরিবেশনায় শিক্ষামূলক ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনারোধে অগ্নিনির্বাপক কার্যক্রম ও নজেল ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। 

অন্যদিকে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে চকরিয়া উপজেলা ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথ ও পৃথক শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করা হয়।


ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী : মামুন মাহফুজ

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী : মামুন মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক : 

আছিয়াকে নিয়ে কোন কথা লিখিনি বলিনি।

কেন সে কারণটা বলতেও আমার বুক কাঁপে।
এটা একটা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স। এর জন্য সরকার নয় পরিবার দায়ী। তবে সবচেয়ে বেশি দায়ী সমাজ ব্যবস্থা।
এই সমাজ ব্যবস্থা কাউকে ধনী বানিয়েছে কাউকে দরিদ্র বানিয়েছে কাউকে ক্ষমতাবান বানিয়েছে আর কাউকে অসহায় বানিয়েছে।
ধর্ষণের প্রধান কারণ এই বৈষম্য। যার শক্তি আছে সে তার চেয়ে কম শক্তিশালী বা দুর্বলের ওপর যেকোনো ধরনের উপায়ে নিপীড়ন করে।
ধর্ষণ যেকোনো পুরুষ করতে পারে। ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে একটা পুরুষ চিন্তা করে না যাকে ধর্ষণ করবে সে শিশু নাকি যুবতী নারী! বরং সে চিন্তা করে এর সঙ্গে কিছু করলে আমার কিছু হবে কিনা যখন সে বুঝতে পারে যে এর সঙ্গে খারাপ কিছু করলেও আমার কিছু হবে না তখনই সে খারাপ কিছু করে।
কখন ধর্ষক এটা ভাবে?
যখন প্রতিপক্ষ দুর্বল হয় বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর উপর মানুষ অত্যাচার নিপীড়ন ধর্ষণ ইত্যাদি বেশি চালায়।
এসব তাত্ত্বিক কথা বলে আর লাভ নেই, মানুষ কোন সমস্যার মূল উপড়ে ফেলতে রাজি নয়, তাৎক্ষণিক সমাধান চায়।
আছিয়ার উপর এমন নিষ্ঠুর ঘটনা যে ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা ওই পশুটার কাছ থেকে আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আছিয়ার বোন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি তার দারিদ্র্যের কারণে। সামাজিক কারণে। আছিয়ার বাবা মার কারণে।
আছিয়ার বোন যখন তার শশুরের কাছ থেকে কুদৃষ্টির আভাস পেলেন তখনই তার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আছিয়া সম্পূর্ণ স্বামী নির্ভর এবং তার বাবা মা অত্যন্ত দরিদ্র। এইচ অসহায়ত্ব এরকম অসহায়ত্ব নারীদেরকে ধর্ষিত হতে বাধ্য করে নিপীড়িত হতে বাধ্য করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।
শশুরের কু মতলব টের পেয়ে আছিয়া স্বামী-সংসার ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আছিয়ার বাবা-মায়ের জন্য অভিশাপ আর সমাজের জন্য কলঙ্ক। কোন মেয়ে বাপের বাড়ি ফিরে গেলে সেইটা মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধ বড় লজ্জার। কার কতটুকু দোষ তার বিচার ছাড়াই মানুষ রায় দিয়ে দেয়।
ঘটনার দিন আসিয়া ও তার স্বামী কোথায় ঘুমিয়ে ছিল আর তার ছোট বোনটি কোথায় ঘুমিয়ে ছিল সেটি আমি আজ পর্যন্ত পরিষ্কার হতে পারিনি।
নিঃসন্দেহে বোন তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝখানে আছিয়াকে জায়গা দেননি। এমনকি আছিয়া কে আলাদা থাকতে দিলেও সেখানে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা কিংবা চিন্তা করা বোনের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আছিয়ার বোন আছিয়ার সর্বনাশ ঠেকাতে পারেনি। কিন্তু শ্বশুরের মতলব থেকে কুদৃষ্টি থেকে সে নিজেকে রক্ষা করেছে। সেজন্য আছি আর বোনকে স্যালুট অন্তত একজন নারী নিজেকে হেফাজত করতে পেরেছে।
কিন্তু একই স্থানে যদি আছিয়ার বোন না হয়ে আছিয়ার ভাই হত দৃশ্যপট টা কী হতো?
ভাই তার নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও বোনকে রক্ষা করত বোনের গায়ে একটা আঁচর লাগতে দিত না। একটা মেয়ে তার স্বামী তার বাবার চেয়েও তার ভাইকে বেশি ভালোবাসে ঠিক এই কারণে। একটা মেয়ে তার স্বামীর কাছে তার বাবার কাছেও যতটা নিরাপদ নয় তার চেয়েও বেশি নিরাপদ বোধ করে তার ভাইয়ের কাছে।
আজ থেকে কান খুলে শুনে রাখেন বোনকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর সময় আরেকটা বোনকে দিয়ে পাঠাবেন না, ভাইকে পাঠাবেন। ভাই যদি ছোট হয় সে তার বোনকে আগলে রাখার সমস্ত চেষ্টা করে এবং সেই ক্যাপাসিটি আল্লাহ তাকে দিয়ে দেন।
আর এ কারণেই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে পুরুষ হচ্ছে নারীর দায়িত্বশীল, রক্ষা কর্তা, অভিভাবক। আর এ কারণেই নারীদের দূরযাত্রায় হজ যাত্রায় একজন পুরুষ মাহরেম লাগে।
আমি আমার মেয়েকে স্কুলে পাঠাবার সময় কিংবা বাসায় একলা কখনো রেখে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় তার সাথে তার ছোট ভাইকে রাখি। সে যদিও ছোট কিন্তু আমরা তার দায়িত্বশীলতা এই ছোটবেলাতেও যতটুকু দেখেছি তা সত্যি মুগ্ধ করার মত। আলহামদুলিল্লাহ। ভাই তার বোনের সঙ্গে এটা নিয়ে ওটা নিয়ে ২৪ ঘন্টা লড়াই করে কিন্তু বোনের হেফাজতের ক্ষেত্রে সে এক বিন্দু অবহেলা করে না, ছাড় দেয় না।
আমি নিশ্চিত আছিয়ার ক্ষেত্রে সেখানে যদি আছিয়ার বোন না হয়ে ভাই হত ঘটনা ঘটতো পুরোটাই উল্টো।

লেখক:
মামুন মাহফুজ
সাংবাদিক
বিচারের পরেই অন্য কাজ : কক্সবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

বিচারের পরেই অন্য কাজ : কক্সবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা আমাদের এ দেশে মেজরিটি মাইনরিটি একেবারেই মানিনা। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা এদেশের মর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। ইসলাম কারো উপর জোর খাটানোর কোন অধিকার রাখেনা। অন্য ধর্মও কোনো ধর্মের উপর জোর খাটাতে পারবেনা যদি সেটি ধর্ম হয়ে থাকে। তিনি "আগে বিচার তারপর অন্য কাজ, ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ" সবার বলে মন্তব্য করেন।
শনিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, সমাজের মধ্যে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু বলে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা হয়েছিলো। এখানে মেজরিটি মাইনরিটি বলে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরমের ভাই বোনদের নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের সম্পদ গ্রাস করা হয়েছে, জায়গা জমি দখল করা হয়েছে, ইজ্জতের উপর হাত দেয়া হয়েছিলো, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর দোষ দেয়া হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর উপর।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোথায় কোথায় জামায়াতের কর্মীরা এসব অপকর্ম করেছে, তা সুস্পষ্ট করে নাম ঠিকানা দিয়ে আমাদের সাহায্য করুন। আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, ন্যায় বিচার আমরা আপনাদের হাতে তুলে দেবো। আমরা নিশ্চিত এই অপকর্মের সাথে আমাদের সহকর্মীরা জড়িত নয়।
২৪ এর অভ্যুত্থানকারী প্রজন্মকে সম্মান জানিয়ে আমির বলেন, তোমাদের নেতৃত্বে আমরা ছিলাম। সাড়ে ১৫ বছর আমরা আমাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পারিনি। এটাই সত্য কথা। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছরের ধারাবাহিকতায় তোমাদের নেতৃত্বে জাতি শেষ আঘাতটা ফ্যাসিজমের উপর দিয়েছিলো এবং জাতি সফল হয়েছিলো।
আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অনেকে আবার নিজেরা কৃতিত্ব দাবী করে৷ আমি মাস্টারমাইন্ড, অমুক ভাই মাস্টারমাইন্ড তমুক নেতা মাস্টারমাইন্ড। মহা পরিকল্পনাকারী মহান রাব্বুল আলামিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। এখানে কোনো মাস্টারমাইন্ড আমরা বিশ্বাস করিনা।
ডা. শফিক আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরাও সেভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, সেটা ছিলো আমাদের আশা। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। যদি বলি একেবারেই পূরণ হয়নি, তাহলে কথাটা সত্য হবেনা। কিন্তু পূরণ হবার বিশাল প্রত্যাশা মানুষের ছিলো। একটা স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থা আমরা এখনো পেলাম না।
নিজ দলের প্রতি অবিচারের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের আমির বলেন, আইনের অঙ্গনে এসে যারা বেআইনী কর্মকাণ্ড করেছেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় এসে লাথি দিয়েছিলো, আওয়ামীলীগ তাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বানিয়েছিলেন। এদের কাছ থেকে বিচার পাওয়া যাবেনা এটাই স্বাভাবিক। তাই অবিচারের শিকার হয়ে আমাদের ১১ জন কলিজার টুকরা শীর্ষ নেতা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করিনা, তবে আমরা অবশ্যই অপকর্মের বিচার চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট। সবগুলো খুনের বিচার হতে হবে। বিশেষ করে ২৪ এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার তারপর অন্য কাজ। এ বিচার না হলে শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। তিনি ছাত্র জনতাকে স্যালুট জানান। দীর্ঘদিন ধরে আটক জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন।
এছাড়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনেজির আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ”পুলিশ ভাইদের বলছি বেনেজিরের ফাঁদে পা দিবেন না।” তিনি কক্সবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরাে বলেন, গত আওয়ামী আমলে সারাদেশে জামায়াতের সমস্ত অফিস বন্ধ, নিবন্ধন বাতিল, প্রতীক বাতিল করে সর্বশেষ দলকে নিষিদ্ধ করেছিল আল্লাহর অসীম রহমতে ৫ আগষ্ট তারাই নিষিদ্ধ হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এটাই আল্লাহর বিচার।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বিশাল কর্মী সম্মেলনে একত্রিত হয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনের আগেরদিন রাত থেকে কুতুবদিয়া ও টেকনাফ থেকে প্রচুর নেতাকর্মী ঢুকে পড়ে সম্মেলন স্থলে। এ জনস্রোত লাখ ছাড়িয়ে যায়। কর্মী সম্মেলন ঘিরে রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছিল পুরো শহর। এ কর্মী সম্মেলনে জেলার ৪ সংসদীয় আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক এনামুল হক মনজু ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জাহিদুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিমল কান্তি শীল, বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবদুস সালাম, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মুফতি হাবিবুল্লাহ, এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাবেক ককসু ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর, ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম নুরী, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল প্রমুখ।
সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ : মাগুরায় ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক: 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদের সমর্থন দিন। আমরা আপনাদের সাথে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়বো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মা এবং আহতদের কথা দিচ্ছি, ক্ষমতায় গেলে নিজেরা চাঁদাবাজি করবো না, কাউকে চাঁদাবাজি করতে দিবো না। নিজেরা দখলবাজি করবো না, কাউকে দখলবাজি করতে দেবো না। আপনাদের সাথে নিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের।
ডা, শফিকুর রহমান বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে এমন একটি কর্মী সম্মেলনের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। কারণ সেই সময় এমন একটি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিল, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারতো না। ভাল লাগলে হাসতেও পারতো না। একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার চালু করেছিল। কেউ তাদের মন্দ কাজের সমালোচনা করলে আস্তে করে জেলে ঢুকিয়ে দিতো।
তিনি বলেন, আজকে শুনি একজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন- এখন চালের দাম এতো কেন? তারা তো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। তারা কী সাড়ে ১৫ বছর খাওয়াতে পেরেছেন? মাঠ থেকে উত্তর আসে- না, না। আপানারা দেখেছেন আপনাদের এলাকার এমপি-মন্ত্রী-সচিব হওয়ার আগে তাদের সহায়-সম্পত্তি কেমন ছিল। ১৫ বছরে খেয়ে দেয়ে তারা কেমন মোটা তাজা হয়েছেন তাও আপনারা দেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাগুরাতে নয়। এচিত্র ছিল সারা বাংলাদেশের। কেউ কেউ বলেছেন আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার পাওয়ার কিছু নাই। এখন কেবল দেওয়ার পালা। হ্যাঁ তারা দিয়েছেন ছোপ ছোপ রক্ত আর সারি সারি লাশ। এমন কোন জনপদ বাংলাদেশে নেই যে তারা নির্দয়ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়নি। এমনকি ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত কাজটি চালিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গেছেন। দেশ যদি আপনার হয়ে থাকে, দেশকে ও মাটিকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? প্রশ্্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ব্রুনাই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ব্রুনাই সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষের দেশ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি দেশ। সেখানে রাজতন্ত্র হলেও রাজা তার জনগণকে তার অন্তরে ধারণ করেন। এজন্য রাজার কোন নিরাপত্তা লাগে না। সেখানে নাগরিকদের অধিকার চাইতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশেতো অধিকারের জন্য প্রতিদিন মিটিং মিছিল করতে হয়। কিন্তু সেখানে না চাইতেই অধিকার পেয়ে যায় নাগরিকরা। আপনারা কি সেরকম দেশ চান? মাঠ থেকে জবাব আসে- ‘চাই’। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সুন্দর মানবিক দেশ গঠনের জন্য লড়াই করছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কোরআনের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ব্রুনাইতে রাজার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মী লাগে না। বছরে একটি খুনও হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দুজন দায়িত্বাশীল মন্ত্রী ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না যে, তারা দুই টাকার দুর্নীতি করেছেন। তারা সবার অধিকার সবার হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যদি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত হই, আগামিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সমস্ত ইসলামী দল, দেশপ্রেমিক দল ও মানবিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাই, ইনশাআল্লাহ একটি মানবিক দেশ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই দেশটা ইনশাআল্লাহ এমন হবে, এই দেশে একজন মা তিনি ঘরের ভেতর থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের মায়েরা রসূলে করিম (সা:) এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তারা মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা ব্যবসা করেছেন এবং সমাজ পরিচালনায় ভুমিকা রেখেছেন। ডা, শফিকুর রহমান বলেন, কোন দল নয়, ধর্ম নয় দেশ আমাদের সবার। এই নীতিকে ভিত্তি করে যার যার অধিকার তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা দেশ গড়বো। সবার অধিকার সমান থাকবে।
তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার আশ^াস দিয়ে বলেন, আমরা এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যাতে কাউকে বেকার থাকতে না হয়। স্কুল কলেজ মাদরাসা থেকে বের হয়ে একটা চাকরির জন্য এ ঘরে ঐ ঘরে ঘুরতে না হয়। আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে সবার ন্যায্য স্বাধীনতা থাকবে। আমরা সীমাহীন অন্যায্য স্বাধীনতায় বিশ^াসী নই। যে স্বাধীনতা অপরের চরিত্র হনন করে। মিথ্যা গুজব ছড়ায়। একজনের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়। আমরা এরকম অধিকার দিতেও চাই না, দেখতেও চাই না।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখনে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বলবে তুমি কালো, তুমি সাদা। আমরা সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিচাররের অঙ্গনে আজকে মানুষ বিচার পায় না। ঘুষের রমরমা বাণিজ্য হয়। বিচারপতিরা ঘুষ খায়। বলবেন তার কোন প্রমাণ আছে? হাজার প্রমাণ আছে। সবশেষ প্রমাণ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করতে চাই যেখানে কোন বিচারক রাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তা, কোন কর্মচারী ঘুষের জন্য হাত বাড়ানোর দু:সাহস দেখাবে না। যদি কেউ হাত বাড়ায় তাহলে তার সেই হাত ভেঙ্গে অবস করে দেওয়া হবে। ডা. শফিকুর রহমান ঘুষ আর দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘুষ ও দুর্নীতি দুটি-ই সমাজের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার দূর করতে না পারলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেউ গড়তে পারবে না।
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার করে জামায়াতের আমীর বলেন, ২০০৯ সালে যে খুন গুম আর ধর্ষণের রাজনীতির শুরু হয়েছিল সেই রাজনীতির কবর আমরা রচনা করবো ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের সন্তানেরা রাজপথে স্লোগান দিয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা বৈষম্য চাই না, ন্যায় বিচার চাই। আমরা শহীদদের আত্মাকে কথা দিচ্ছি, আল্লাহকে কথা দিচ্ছি, শহীদদের বেঁচে থাকা আপনজনদের কথা দিচ্ছি, আহত পঙ্গু ভাইবোনদের কথা দিচ্ছি, তাদের স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাতে রাজি আছি। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দিবো না। এই লড়াই আমাদের অব্যাহত থাকবেই। এই লড়াইয়ে এবার আমরা জনগণকে পাশে পাবো। ইতোমধ্যে জনগণ জানান দিয়েছে যে, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদার মুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায় এবং সাম্যের একটি বাংলাদেশ চাই। তিনি বলেন এমন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আরও লড়াই করতে হবে। এজন্য মাগুরাবাসীকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান, স্লোগান তোলেন “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”। মাঠ থেকে তার সঙ্গে সুর মিলান লাখো কণ্ঠ।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জানাচ্ছি অতীতে আমরা কখনো চাঁদাবাজি করি নাই। এখন করছি না। ভবিষৎতেও আমরা করবো না। যদি আল্লাহ আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেন কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেবো না। আমরা দখলবাজি চালাই না, ভবিষৎতে কাউকে দখলবাজি চালাতে দেওয়া হবে না। আমরা মানুষকে ভিন্ন চোখে দেখি না। এসময় তিনি মাগুরার বৃদ্ধা কিরণবালা এবং কক্সবাজারের বৌদ্ধ ধর্মের নি:স্ব ব্যক্তিকে নিরবে সহায়তা করার উদাহরণ দেন। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন আমীরে জামায়াত।
জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাঈদ আহমদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, যশোর- কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, ড আলমগীর বিশ^াস, মাওলানা আজিজুর রহমান ও শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান।
মোবারক হোসেন বলেন, এখন কাজ একটাই যা আমীরে জামায়াত শুনিয়েছেন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করা জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব। দেশের মানুষ ডান বাম সব দেখেছে। তারা এখন কোরআনের আইন দেখতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, এখন এক ধরণের বাহানা চলছে। আমাদের ব্যাপারে ব্লেম গেইম চলছে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাওলানা আজীজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালে সারাদেশে সাড়ে ১৬শ’ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে মাগুরায় রাব্বি, মাহদিসহ দশজন জীবন দিয়েছে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা সুন্দর শান্তির বাতাস পেয়েছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সেদিন সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শহীদ মিঠু বিশ^াস মারুফের বাবা মো. শাহজাহান বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল! তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা যেন কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াকে তিরষ্কার করে বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসো। চট করে ঢুকতে চাও কেন?
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন, ঝিনাইদাহ জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি ড. আলী আফজাল, সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট আজমত হোসেন, আলমগীর হোসনে রাজু, জেলা গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা মো: আনিসুর রহমান, শ্রমিক নেতা অধ্যাপক মাওলানা মো. মশিউর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো, ইব্রাহীম বিশ^াস, জেলা জামায়াতে তথ্য ও গবেষণা সেক্রেটারি মাওলানা কবির হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রিড়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো, রবিউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি মো. আমিন উদ্দিন আশিক, পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, মহম্মদপুর উপজেলা আমীর নূর আহম্মদ, শালিখা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হোসাইন শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দীন মিজান ও শালিখা উপজেলার সাবেক আমীর আলমগীর হোসেন।
মাগুরা জেলার অমুসলীম নেতা উত্তম কুমার বিশ^াস বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে মদিনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে। তাতে হিন্দুরাই উপকৃত হবে। আমরা আর ঘসেটি বেগম কিংবা ও লেন্দুপ দর্জির দেশ চাই না। দেশ আমাদের। আমরাই দেশ গড়বো। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যায় এবং সাম্যের দেশ কেবল জামায়াতে ইসলামী-ই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
মাগুরা জেলা অমুসলীম শাখার প্রচার সেক্রেটারি প্রনয় কুমার বিশ^াস বলেন, হিন্দুরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের বাইরে না। তাদের যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করার অধিকার আছে, তেমনি জামায়াতে ইসলামী করার অধিকারও রয়েছে। তিনি দেশের সমস্ত অমুসলীমদের সৎ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে না। তারা আমাদের ইজ্জতে আঘাত করেনা। ৫৩ বছর আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। হিন্দুদের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় জামায়াতের রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা জেলা আমীর এম বি বাকের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারো বাপ-দাদার কিংবা কোন ব্যক্তির আইন দিয়ে দেশ পরিচালনা করবে না। আমরা আল্লাহর আইন দ্বারা দেশ চালাতে চাই। আমরা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এদিন দুপুরে শহরের দরি মাগুরাস্থ আল আমীন কমপ্লেক্সে মহিলা রুকন সম্মেলন ও অমুসলীম নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমীরে জামায়াত। বিকেলে জেলার এলজিইডি সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান।
শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

শিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সারাদেশের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মিলনায়তনে দীর্ঘদিন ১৫বছর পর প্রকাশ্যে জমকালো আয়োজনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বার্ষিক সদস্য সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন শিবির সভাপতি হিসেবে জাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। এছাড়াও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের দিনব্যাপি রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোন মর্যাদা নেই বললেই চলে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ জনগণ দিশেহারা। দীর্ঘ পনের বছরের অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল  পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এহেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারই দায়ি। তাই সকল সংকট, সীমাবদ্ধতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশের মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে জামায়াতের রুকনদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রণি ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার (৬ জুলাই) কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দিনব্যাপি রুকন (সদস্য) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। 

শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরো বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট। 

বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, ইসলামের সোনালী অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ও জান্নাত প্রত্যাশী আসহাবে রাসূলের ভূমিকা বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে আসহাবে রাসূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। 

বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলাম ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। মানব রচিত মতাদর্শের বিপরীতে ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নিজেদেরকে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কাজে অন্য সকলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদেরকে অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে হবে। 

জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় দিনব্যাপি শিক্ষাশিবিরে জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি) 

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ সম্পন্ন

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ সম্পন্ন

চকরিয়া টাইমস : 

দেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ২০২৪ সালের “শিল্পী ও অভিভাবক সমাবেশ” ৫ই জুলাই রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে সুস্থ সংস্কৃতি উপহার দিয়ে আসা এই সংগঠন তাদের শিল্পী, অভিভাবক, সাবেক দায়িত্বশীল, সাবেক পরিচালক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে এই প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সম্মানিত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম এবং প্রধান আলোচক ছিলেন সাইমুমের সাবেক পরিচালক মাওলানা তারিক মুনাওয়ার। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আকতার এবং কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সহধর্মিণী সাবিনা মল্লিক।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিল্পী আবুল হোসাইন মাহমুদসহ অন্যান্য জনপ্রিয় শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক পরিচালক আকরাম মুজাহিদ, শরীফ বায়েজিদ মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম, মুস্তাগিছুর রহমান মুস্তাক, বদিউর রহমান সোহেল, আব্দুল্লাহিল কাফি, হুসনে মোবারক, এবিএম নোমান, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং আতিক তাশরীফও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান, বিশিষ্ট কবি আবু তাহের বেলাল, বিশিষ্ট ছড়াকার কবি নাঈম আল ইসলাম মাহিন, সুরকার ও শিল্পী গোলাম মওলা, বিশিষ্ট কাওয়ালী শিল্পী হাসিনুর রব মানু, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব মুকুল, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আহসান হাবিব খান, সাইমুমের তত্ত্বাবধায়ক সাদেক আব্দুল্লাহ ও এ. আর. আজাদ এবং শিল্পী ওবায়েদুল্লাহ তারেক, দিদারুল ইসলাম, মারুফ আল্লামসহ সাইমুমের জনপ্রিয় শিল্পীরা। সেই সাথে ঢাকাস্থ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং এরপর ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু হয়। অভিভাবকরা তাদের বক্তব্য প্রদান করেন এবং তাদের আগামীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সেশনের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচকসহ বিভিন্ন বক্তারা সাইমুমের অবদান তুলে ধরেন এবং আগামীর পথচলায় সাইমুমকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সাবেক বিভিন্ন দায়িত্বশীলরাও তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিদায়ী বিভিন্ন শিল্পী ও দায়িত্বশীলদের আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং অভ্যন্তরীন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাইমুমের বর্তমান সহকারী পরিচালক শিল্পী হাফেজ নিয়ামুল হোসাইন এবং পরিচালনা করেন বর্তমান পরিচালক শিল্পী জাহিদুল ইসলাম।
আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার? : ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী

আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার? : ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

সম্প্রতি দেশে ভয়ঙ্কর বিস্তুৃতি ঘটতে যাওয়া আতংকের নাম রাসেলস ভাইপার নিয়ে চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখা অভিজ্ঞতাটি হুবুহু তুলে দেয়া হয়েছে।

আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার?
বাংলাদেশের প্রধান ৩ টি বিষাক্ত সাপ হলো গোখরা (কোবরা), কেউটে (ক্রেইট) এবং রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। রাসেলস ভাইপার অপেক্ষাকৃত বেশি বিষধর। অতিসম্প্রতি এই সাপটির প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে এই সাপটি নিজ থেকে তাঁড়া করে কাউকে দংশন করেনা। মূলত অসাবধানতাবশত কেউ এই সাপের গায়ে পারা দিলে এই সাপটি ছোবল দেয়।

এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মূলত শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, কিডনী বিকল হতে পারে, স্নায়ু অবশ হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে এমনকি হার্ট এ্যটাকও হতে পারে। বাংলাদেশে সর্প দংশন প্রতিরোধী যে এন্টিভেনম রয়েছে সেগুলো কোবরা এবং ক্রেইটের বিপরীতে ভালোভাবে কাজ করলেও রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে ভালোমতো কাজ করেনা। এই এন্টিভেনমটিতে ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে উপাদান রয়েছে। ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিষ এবং বাংলাদেশের রাসেলস ভাইপারের বিষের ভিতরে উপাদানগত বৈসাদৃশ্য বেশি হওয়ায় এটি পুরাপুরি কাজ করেনা।

আমাদের দেশের এই সাপটির বিরুদ্ধে একটি কার্যকরী এন্টিভেনম তৈরী করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে একদল গবেষক বিগত প্রায় ৪-৫ বছর নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আশাকরি আমরা অদূর ভবিষ্যতে রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে কার্যকরী দেশীয় একটি এন্টিভেনম পেতে পারি।

বিষাক্ত আর অবিষাক্ত মিলিয়ে আমি জীবনে ৩০০০-৪০০০ এর বেশী সর্প দংশনের রোগী নিজেই চিকিৎসা করেছি। কোবরা, ক্রেইট, রাসেলস ভাইপার সব ধরনের সাপের কামড়ের চিকিৎসা করেছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত রাসেলস ভাইপারের ক্ষেত্রে ৫০% এর বেশি রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে আসলে, অতিদ্রুত এন্টিভেনম শুরু করলে ও সাপোর্টিভ চিকিৎসা যেমন ডায়ালাইসি, ভেন্টিলেশন ইত্যাদি দিলে রোগী বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি।

আমরা সাধারণত সাপ কামড় দিলে বাঁধ দেই কিন্তু রাসেলস ভাইপারের কামড় নিশ্চিত হলে আক্রান্ত অংগে গিট বা বাঁধ দিতে নিষেধ করা হয় কারণ বাঁধের কারণে মাংসপেশির ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অংগহানি হতে পারে। সাপ মেরে ফেলে সাপের বংশ শেষ করা যাবেনা। ব্রিটিশ আমলে সরকারি উদ্যোগে সাপ মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং যথারীতি ঘটা করে সাপও মারা হয়েছিলো কিন্তু সর্পদংশনের সংখ্যা বা সাপের বংশ কোনটিই কমেনি।

সাপে কামড়ের চেয়েও বাংলাদেশে আরও বড় স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। সেপসিস নামক একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ মানুষ মারা যায়, ইনফেকশনে এন্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, গতবছর ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৭০০ মানুষ।

দেশে সাপের কামড়ে মারা যায় প্রতিবছর ৬০০০ এর অধিক মানুষ। এর বেশিরভাগই প্রান্তিক জনগন। সচেতনতার অভাবে হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষের অপমৃত্যু হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া এবং যথাসময়ে এন্টিভেনম প্রয়োগ করাই ভরসা। বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময়ে সাপের কামড় বৃদ্ধি পায় তাই এখন সাবধান থাকাটা বেশি জরুরী।
রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক : 

রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এজিএম হাইব্রিড পদ্ধতিতে স্বশরীরে এবং অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। 

 সভায় রবি আজিয়াটা লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিবেক সুদ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, রাজীব শেঠি, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এম. রিয়াজ রাশিদ,অন্যান্য বোর্ড সদস্য ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব, সাহেদ আলম। 

শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে রবি’র চেয়ারম্যান বিবেক সুদ বলেন, ‘২০২৩ সালে অসাধারণ কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে রবি'র গুণগত সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলেছে। ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের এই যাত্রায় গ্রাহকেরা রবিকে আপন করে নিয়েছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কর ব্যবস্থা। কর ব্যবস্থা যৌক্তিক না হলে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ কষ্টসাধ্য হয়। এর বাইরে দেশের বিধি বিধান অনুসরণ করে আমরা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে যা যা করার সবই করছি। আমাদের সম্মানিত সব শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানাই তারা তাঁদের মূল্যবান বিনিয়োগের কাঙ্খিত ফলাফল পেতে আমাদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রেখেছেন।"

২০২৩ সালে রবি'র শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৬১ টাকা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

রবি সম্পর্কে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (‘রবি’) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেখানে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের সিংহভাগ মালিকানা (৬১.৮২%) রয়েছে। এছাড়া রবিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের (১০%) পাশাপাশি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) শেয়ার রয়েছে  ২৮.১৮%।  রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।

চকরিয়ার মজিদিয়া দাখিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত

চকরিয়ার মজিদিয়া দাখিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কোচপাড়া গ্রামে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-২০২৪। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মাদরাসা মিলনায়তনে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. নূরুল আবছার ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বিএসসি’র সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী নাঈমা ছিদ্দিকা। এতে আলোচনা পেশ করেন মাওলানা ক্বারী আবু তালেব ও শিক্ষিকা জুলফি বেগম। 

এসময় সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. কুতুব উদ্দিন, শিক্ষিকা সাদিয়া আফরিন, শিক্ষিকা ফিরোজা আক্তার, ইবি প্রধান মাওলানা মো. রুহুল আমিন, মাওলানা মো. আব্দুর রহমান হেলালী, মাস্টার মো. জালাল উদ্দিন, শিক্ষিকা খাইরুন্নেছা, মাওলানা মিরাজ উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন, মাওলানা নুরুল হাকিম, হাফেজ রিফাতুল ইসলাম, হাফেজ মো. ইছমাঈল, শাহাব উদ্দিন, মো. শোয়াইব, হাফেজ মো. নূরুল ইসলাম, শফিউল্লাহ মো. রুবেল ও সোলতানা রাজিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, জাতির শান্তি ও দেশের উন্নতি কামনা করে আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন সহ-সুপার  মাওলানা মোহাম্মদ মুসা।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ নানান আনুষ্ঠানিকতা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বর্ণিল বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং বিভিন্ন বাহিনীর প্যারেড কমান্ডারদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। 

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফান উদ্দিন ও চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী।

এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা স্কাউটস প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিবে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক

জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিবে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক

বিশেষ প্রতিবেদক : 

সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) আয়োজিত সেরাদের সেরা-২৩ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে আবৃত্তিতে বরিশাল বিভাগ চ্যম্পিয়ন কৃতি শিল্পী মারজুক মিরহান। সে ভোলা আদর্শ একাডেমি’র ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

গত (২৫ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজ মিলনায়তনে সসাসের পরিচালনায় ৫ম জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভাগীয় পর্যায়ে ‘ক’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষুদে শিল্পী মারজুক মিরহান বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এরই মধ্যদিয়ে ভোলা জেলার মারজুক এককভাবে বরিশাল বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবে জাতীয় পর্যায়ে।

প্রতিযোগিতা শেষে বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন মারজুক মিরহানের হাতে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদপত্রসহ ক্রেস্ট তুলে দেন দেশের বরেণ্য শিল্পী গোলাম মাওলাসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, মারজুক মিহরান এরআগে একই ইভেন্টে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেয়।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পার্টির এমপি প্রার্থী হোসনে আরা আরজু’র মনোনয়নপত্র দাখিল

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পার্টির এমপি প্রার্থী হোসনে আরা আরজু’র মনোনয়নপত্র দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত লাঙ্গল মার্কার সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হোসনে আরা আরজু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের হাতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। 

তিনি চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের সহধর্মিণী।


এরআগে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হোসনে আরা আরজু চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইনানী রিসোর্টে পৌঁছলে জাতীয় পার্টি চকরিয়া উপজেলা, পেকুয়া উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা, চকরিয়া পৌরসভা কমিটি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে বরণ করেন। পরে সেখান থেকে গাড়িবহরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

এসময় চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা মহিলা পাটির সাধারণ সম্পাদক ছেনুয়ারা বেগম এমইউপি, চকরিয়া পৌরসভা মহিলা পার্টির সভাপতি রেহেনা খানম রাহু, চকরিয়া পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু ছাদেক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ,  পৌরসভার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা সভাপতি টিপু সোলতান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি এম. দিদারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ, বদরখালী ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন জাপাসহ জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

যেদিন জানতে পারবে এইচএসসির ফলাফল

যেদিন জানতে পারবে এইচএসসির ফলাফল

অনলাইন ডেস্ক :

আগামী ২৬ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর মাধ্যমে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

সূত্র জানায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বরের যেকোনো একটি দিনের সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। তিনি আগামী ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশের সম্মতি দিয়েছেন। এখন রেওয়াজ অনুযায়ী, সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। এরপর সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। 

চলতি বছরের ১৭ আগস্ট শুরু হয় ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। তবে সব বোর্ডই ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশ করবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ শিক্ষার্থী। এবার শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত

চকরিয়া পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চকরিয়া পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩। 

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এ উপলক্ষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল, শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম ছালাহউদ্দিন। 

এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মীরদাদ হোসেনসহ বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

চকরিয়ার তানজিনুল ইসলাম জাতীয় যুব কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

চকরিয়ার তানজিনুল ইসলাম জাতীয় যুব কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব কাউন্সিলের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) নির্বাচিত হয়েছেন চকরিয়ার বিশিষ্ট যুব সংগঠক মাস্টার মো. তানজিনুল ইসলাম।

তিনি ৭৫ ভোটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অলি আহমেদ পেয়েছেন ২৭ ভোট। তানজিনুল ইসলাম বর্তমানে চকরিয়া যুব পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে যুব কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ আলম। তিনি পেয়েছেন ৪৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী পেয়েছেন ২৪ ভোট।

শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর মতিঝিলে যুব ভবনে সকাল নয়টায় ভোট কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৭টি পদের জন্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় যুব কাউন্সিলের ৭৫ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে দুজন সহ-সভাপতি হয়েছেন মো. তৌহিদুল ইসলাম দীপ (প্রথম, ৫২ ভোট) ও মো. জহির ইকবাল (দ্বিতীয়, ৫০ ভোট), কোষাধক্ষ্য নির্বাচিত হয়েছেন শরবাত হোসেন রুবেল, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শিরিন আক্তার আশা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নিরত বরন চাকমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোছাম্মদ আয়শা সিদ্দিকা, আইসিটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন খান।

যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. জিয়াউল হক ও মো. ফরিদুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আবদুর রহমান এবং সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন মো. রাসেল মোল্যা।

যুব সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী এই সরকারি সংগঠন যুব নেতৃত্বের বিকাশ ও যুবকদের চাহিদা সরকারের কাছে তুলে ধরতে কাজ করবে। কমিটি গঠন হলেও কার্যকরী কমিটি গঠন না হওয়ায় এতদিন কাজ করতে পারছিলেন না সদস্যরা।

এরআগে ২০২৩-২৪ সালের কমিটির জন্য গত মার্চে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। গত ৩ এপ্রিল কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়। ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠনের জন্য প্রত্যেক জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪ জন, বিশেষ শ্রেনীভুক্ত যুব ৬ জন, অন্যান্য ৫ জনসহ ৭৫ জন সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২২’ এর উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি জেলা-উপজেলায় যুব কাউন্সিল গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে বলেছিলেন, এর মাধ্যমে তারা যেন কাজ করতে পারে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রশিক্ষিত যুবশ্রেণি গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। দেশে এখন কত প্রশিক্ষিত যুবক রয়েছেন, তারও একটি ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

শ্রমিক নেতা আমির হোসাইন চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত

শ্রমিক নেতা আমির হোসাইন চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় শ্রমিক লীগ চকরিয়া পৌরসভা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন ৯নং ওয়ার্ডের কৃতি সন্তান শ্রমবান্ধব সংগঠক বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মো. আমির হোসাইন। 

রোববার (৩০ এপ্রিল) সংগঠনের কক্সবাজার জেলা শাখার আহবায়ক শাহেদুল আলম রানা ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফয়সাল চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি সাংগঠনিক প্যাডে চকরিয়া পৌরসভা শাখার ১১সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। 

শ্রমিক নেতা আমির হোসাইন চকরিয়া উপজেলা রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক একতা সমবায় সমিতি লিমেটেডের সভাপতি হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এদিকে চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিকলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করায় এক শুভেচ্ছা বার্তায় মো. আমির হোসাইন কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক শাহেদুল আলম রানা ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফয়সাল চৌধুরীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

চকরিয়ার হযরত ফাতিমা (রাঃ) বালিকা ফাজিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

চকরিয়ার হযরত ফাতিমা (রাঃ) বালিকা ফাজিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া উপজেলার নারী শিক্ষার্থীদের প্রসিদ্ধ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হযরত ফাতিমা রাঃ বালিকা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। 

রোববার (২৬ মার্চ) সকাল দশটায় মাদরাসা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্বেরাত, হামদ-নাত, ইসলামী সংগীত ও দেশের গানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ কবির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক এস.এম মঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা জাফর আলম, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ আশরাফুল এহসান, সহকারী শিক্ষক নুরুল কাদের প্রমুখ। 

আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন।

চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা

চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসায় মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম কামিল (এম.এ) মাদরাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (২৬ মার্চ) মাদরাসার শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হাসান। শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন সহকারী শিক্ষক মাওলানা শিবলী নোমান। 

সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বুলুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা হোসাইন আহমদ, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আ.ফ.ম ইকবাল হাসান, এস.এম হেলাল উদ্দিন ও মাওলানা ছৈয়দুল আলম। 

পরে সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হাসান।

চকরিয়ায় জাতীয় সমাজসেবা দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

চকরিয়ায় জাতীয় সমাজসেবা দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

“উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়, দেশ গড়বো সমাজসেবায়” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চকরিয়ায় নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস। 

সোমবার (২জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে র‌্যালিটি উপজেলার মোহনা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী সমাজসেবা অফিসার মো. তৈয়ব আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী ও বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। 

এসময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।