বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পাশ্ববর্তী মহেশখালী উপজেলার এক কিশোরী ছন্দনাম সালমা (১৫) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় বেড়িবাঁধের প্যারাবনে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এঘটনাটি তাক্ষনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠে। বিচারের দাবীতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সোমবার দুপুর ১২টার সময় বদরখালী-মহেশখালী ব্রীজে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রীরা।
খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্ব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেওয়ার আশ্বস্ত করলে সড়ক থেকে ব্যারিকেট তুলে নেয়নি ছাত্র-জনতা।
ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, বাঁশখালী থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে বদরখালী সেতুর ওপর অটোরিকশা চালক তাকে নামিয়ে দেন। এরপর কিশোরী পায়ে হেঁটে সেতু পার হচ্ছিল। এ সময় সেতুর পূর্ব অংশে দুজন যুবক তার গতি রোধ কর। পরে আরেকজন যুবক এসে ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বেড়িবাঁধের প্যারাবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে চার থেকে আটজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে হামাগুড়ি দিয়ে পাশের সড়কে উঠে চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই দিন দিবাগত রাত একটার দিকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোরী। তার অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়।
ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের সাথে তাকে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কুতুব রানা বলেন ওই নারীকে উদ্ধারকারীদের একজন। তিনি জানান, ওই সিএনজির চালকের নাম সায়মন।
এ ঘটনায় ওই সিএনজি চালক জড়িত থাকার দাবি করে তিনিসহ ছাত্র-জনতারা বলেন, বদরখালী এলাকায় এদের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট রয়েছে। ছোটন, শরীফ ও সাকিব নামেরও কয়েকজন যুবক এ সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা এ ধরনের অপরাধ করে থাকেন রাত বাড়ার সাথে সাথে।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘ ধর্ষণের কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
0 comments: