জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নে যোগ্য প্রার্থী এসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল এড. মাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সহকারী এটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন  ফরম জমা দিয়েছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রয়াত সিনিয়র এডভোকেট আবুল বশর সাহেবের  কন্যা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তাকীমের (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য) সুযোগ্যা স্ত্রী।
তারা আপন চারবোন আইন পেশায় নিয়োজিত এবং আপন চার বোনের স্বামীও আইন পেশায় রত।
এড. আরজু কক্সবাজার সমিতি- ঢাকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী কল্যাণ সমিতি-ঢাকার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি জানান, মনোনয়ন পেলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতায় নিজ এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। 
কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর (জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জনাব সাইমুম সরওয়ার কমলের পিতা) ১৯৯৩  সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তাঁর হাতে খড়ি। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি কর্মজীবনেও সান্নিধ্য পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন , মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম , বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ড. জে কে পাল যাদের সাহচর্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি এবং পেশাদারিত্বের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দলীয় রাজনীতিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সর্বোপরি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সাথে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর শশুর বাড়ীও কক্সবাজার সদরে অবস্থিত বিধায় তিনি সার্বক্ষণিক নিজ এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।তাঁর ভাসুর এডভোকেট আয়াছুর রহমান কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিভিন্ন পদে ১৯৯২ ইং সাল থেকে নিযুক্ত।
উল্লেখ্য যে, এডভোকেট আরজু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করে চকরিয়া আইনজীবী সমিতির জমির স্বত্ব পুনরুদ্ধার করে সেখানে আইনজীবী সমিতি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা পরিচালনার মাধ্যমে চকরিয়া রামপুরায় চিংড়ি চাষীদের শত শত একর জমি সরকারের সাথে চুক্তি করে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এক্ষেত্রে তিনি আইন পেশায় দ্বিতীয় প্রজন্ম রুপে তাঁর পিতা কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবুল বশর সাহেবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চকরিয়া-পেকুয়া বাসীর প্রতি গুরুদায়িত্ব পালন করেন।
তিনি 'চকোরী সাংস্কৃতিক একাডেমি, চকোরী মেধা অন্বেষণ বৃত্তি প্রকল্প ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়া তারুণ্যের সংগঠন "দেশপ্রেমী"র  প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় 'মোরায়' আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র পক্ষ থেকে পেকুয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে উপস্থিত থেকে নগদ অর্থ বিতরণ করেন ।
এড.আরজু এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন সবসময়।করোনাকালে তিনি জেলার উদ্যোগী মানুষদের সাথে করোনা তহবিল গঠন করেন, কক্সবাজার সমিতি ঢাকার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাই ফ্লু অক্সিজেন সরবরাহে এবং ব্যক্তিগতভাবে অসহায় মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি 
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র মাধ্যমে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নগদ সাহায্য, দুঃস্হ ও অসহায় কক্সবাজারবাসীকে সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ করেন।
তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আজীবন সদস্য।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে অসহায়দের আইনি সহায়তা দিয়েছেন। কক্সবাজার চৌফলদণ্ডী সবুজবাগ ট্রাস্ট ও মডেল স্কুলের একজন গর্বিত পরিচালক। তাঁর পৈতৃক নিবাস পেকুয়ায় এবং নানাবাড়ি চকরিয়ায় অবস্হিত এবং সকল আত্মীয় স্বজন পুরো কক্সবাজার জেলা জুড়ে বিস্তৃত। এড. আরজু সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: