নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৪ শুরু হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় মগবাজার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে কুরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, ক্রীড়া পতাকা, বিদ্যালয় পতাকা ও হাউজ পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীসহ নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ আহমদের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান আরিফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে বিনোদনের বিকল্প নেই। শরীর চর্চার মতো সুস্থ বিনোদন মানসিকতার পরিবর্তনে সহায়তা করে। মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করতে এ ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মমাফিক সেই কাজটি করে যাচ্ছে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বার্ষিক ক্রীড়ার জন্য অনুদান দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমাদের প্রিয় অভিভাবক নবনির্বাচিত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক মহোদয়ের পরামর্শ ও সিদ্ধান্তক্রমে বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা-সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করে যাবো ইনশা’আল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম। অতিথিবৃন্দ মশাল প্রজ্জলন, বর্ণিল বেলুন ও শান্তির পায়রা কবুতর উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফোরকানুল ইসলাম, এ.কে.এম সাহাবউদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, শেখ মো. আবদুল্লাহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক এ.বি.এম দিদারুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মো. ছলিম উল্লাহ, সিনিয়র শিক্ষক মো. খোরশেদ আলমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক নরেশ রুদ্র টিটু এবং ক্রীড়া পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান।
এদিকে পাঁচ দিনব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর প্রতিযোগিদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, শহীদ তীতুমির ও হাজী শরীয়তুল্লাহ নামে চারটি হাউজে বিভক্ত করা হয়।
তন্মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হাউজে দায়িত্ব পালন করছেন মো. তাজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক), হোসাইন মুহাম্মদ কাউসার (সদস্য সচিব), আবু নোমান মো. ফরহাদ, বশির আহমদ ও মাওলানা শাহাব উদ্দিন মিজবাহ।
প্রীতিলতা হাউজে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আনিসুজ্জামান (তত্ত্বাবধায়ক), মো. শাহজাহান (সদস্য সচিব), হোহিনুর আক্তার, আবদুল কাইয়ুম ও ওসমান গণি।
শহীদ তীতুমির হাউজে আরিফ উদ্দিন (তত্ত্বাবধায়ক), শেখাব উদ্দিন (সদস্য সচিব), রোমানা আফরোজ, ওসমান আলী ও মনজুর মোরশেদ।
হাজী শরীয়তুল্লাহ হাউজে সালাহ উদ্দিন (তত্ত্বাবধায়ক), নার্গিস আক্তার (সদস্য সচিব), নিয়ামুল হক, সাজ্জাত হোসাইন, মাওলানা মজিবুর রহমান।
অন্যদিকে ক্রীড়া চলাকালীন সময়ে প্রতিযোগিদের শারীরিক অসুস্থতাবোধজনিতসহ যে দুর্ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চার সদস্যের প্রশিক্ষিত বিশেষ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্মসূচির দ্বিতীয়দিন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বাকি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
0 comments: