বার্তা পরিবেশক :
গত ২৩ জানুয়ারী দৈনিক দৈনন্দিন ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজে প্রকাশিত “প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সিন্ডিকেট, লিটনের কারিশমায় ২০ বছর ধরে ক্লাস না করেই বেতন নেন রাশেদ” শীর্ষক সংবাদে আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু অসাধু চাঁদাবাজরা আমার নিকট থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে এবং ওইসব চাঁদাবাজদের অনৈতিক আবদারের রাখার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমি এতে তাদের অনৈতিক আবদার ও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।
আমি উক্ত সংবাদের সাথে কোনরকমই জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে এর আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে আমাকে এমন ঢাহা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা অবাস্তব, কাল্পনিক কিছু কথাবার্তা সাজিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমি তাদের (ষড়যন্ত্রকারী) কে বলতে চাই, আমাকে নিয়ে আর কতো কুৎসা রটনা সাজিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করার নাটক সাজাবেন। আমি এতে মোটেও হতাশ নই, কারণ সত্যকে কখনো মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ডেকে রাখা যায় না। তদ্রুপ আপনাদেরও একদিন মিথ্যা কাল্পনিক কথাবার্তার জন্য এই মাশুল গুনতে হবে।
সুতরাং যে বা যারা আমার প্রাণপ্রিয় সাংবাদিক ভাইদের দিয়ে এমন মিথ্যা, কাল্পনিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার নিমিত্তে উঠে পড়ে লেগেছেন, এতে করে লাভ বা লোকসান কোন কিছুতেই আমার যায় আসে না। আমি কখনো এমন সংবাদের সাথে জড়িত ছিলাম না এবং আদৌ নেই, ভবিষ্যতেও থাকবো না। আমি সব সময় সত্যের পক্ষে আছি, আমাকে সংবাদের যে বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়দের তদন্ত সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক আমাকে উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত করেছেন। আমি এই স্কুলে দূর্নীতি কিংবা ব্যবসা করতে আসিনি। আমি এসেছি এলাকার ভাবমুর্তি উজ্জল করে শিক্ষার আলোকে এই অঞ্চল থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে। আমি কারো আবদারের কথা শুনতে এই বিদ্যালয়ে আসিনি। এই পর্যন্ত যারা আমাকে বিভিন্নভাবে বিদ্যালয় থেকে উৎকোচ আদায়ের নিমিত্তে চাপ সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে হুশিয়ারী করে বলতে চাই, আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করুন, আমি আমার এই মহৎ পেশা সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে এতদাঞ্চলে পড়ালেখার মান-উন্নয়নে ধাবিত হবো।
তাই আমার প্রাণপ্রিয় সাংবাদিক ভাইদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করে বলবো, এ সমস্ত কিছু মানুষের কুৎসা, রটনায় কান না দিয়ে সত্যকে উন্মোচিত করে সমাজ ও দেশের মানুষকে সুপথ দেখাবেন। কারণ মানুষ আপনাদের কাছে কিছু শিখতে চায়, জানতে চায়, এ দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মানুষকে উৎসাহিত করবেন। এতে এ দেশের জনসাধারণ উপকৃত হবে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরণের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করার আগে যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করুন। পাশাপাশি প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিশেষভাবে আরেকটি অনুরোধ, আপনার দৈনন্দিনে আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে একটি অভিনন্দন ছাপিয়েছি, এই দিনেই আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করেছেন। এতে আমি দু:খ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই বলার ভাষা নেই। যাই হোক সকল ষড়যন্ত্রকারীরা ভালো থাকবেন, পাশাপাশি মহেশখালী উপজেলার জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উক্ত সংবাদে বলা হয়েছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ২০ বছর যাবৎ ধরে আমাদের নেতৃত্বে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। ওই সময় তো আমি (প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলাম না)! আমি যোগদান করেছি ১৯/১/২০২৩ সালে এবং কিভাবে ওই সময় থেকে আমরা টাকা দিচ্ছি এটি আমাদের প্রশ্ন। এই বাক্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নই।
তাছাড়া সরকার কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এ উচ্চ বিদ্যালয়ে আমি দুর্নীতি করার কোন প্রকার সুযোগ নেই এবং কোন শিক্ষক অনিয়ম-অনৈতিক কাজে বা অনুপস্থিত থাকলে, তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক যথাযথ গ্রহণ করা হয়।
এই সমস্ত কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা সহ্য করতে না পেরে, উক্ত ম্যানেজিং কমিটিকে দূর্বল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনার উক্ত বিদ্যালয়ে সরাসরি তদন্ত করে দেখুন। এতে আমার কোন হাত থাকলে, আমি স্বেচ্ছায় আইনানুগভাবে শাস্তিভোগ করবো।
প্রতিবাদকারী—
মোঃ কায়সার লিটন
প্রধান শিক্ষক
জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
মহেশখালী, কক্সবাজার।
0 comments: