ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ শাশ্বত ও অতুলনীয় : চকরিয়ায় মাওলানা দিলাওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, মানব রচিত আইন দিয়ে দুনিয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সম্ভব নয়। মানব রচিত আইন দিয়ে ক্ষমতার মসনদকে কুক্ষিগত করা যায়। কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ শাশ্বত ও অতুলনীয়। তিনি বাস্তবে সেই নজির স্থাপন করে দেখিয়ে ও শিখিয়ে গিয়েছেন। কুরআন, হাদীস-সুন্নাহ’র দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে প্রতিষ্ঠিত বিচার ব্যবস্থাই একমাত্র কল্যাণকর ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবস্থা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদীনায় একটি আদর্শ রাষ্ট্র কায়েম করে ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন ও অপরাধমুক্ত সমাজ বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। 

তিনি মঙ্গলবার (১৬জানুয়ারি) রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া পহরচাঁদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পহরচাঁদা কুতুববাজার ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ১৩তম ঐতিহাসিক সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

কোনাখালী হেদায়াতুল উলুম দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা ফরিদ আহমদ আজিজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিশেষ বক্তার আলোচনা পেশ করেন হাফেজ মাওলানা শরীয়ত উল্লাহ জিহাদী, হাফেজ মাওলানা নুরুল হোসাইন নোমানী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী আকবর, মাওলানা এস.এম জসিম উদ্দিন ও মাওলানা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ। এসময় বর্তমান-সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গসহ আপামর জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বক্তা মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেন, মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, বিচার-ফয়সালা, লেন-দেন, ক্রয়-বিক্রয়, যুদ্ধ-সন্ধি, ভোগ-ব্যবহারে সততা, ন্যায়-নীতি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার নামই ন্যায়বিচার। বিশ্বনবী (সা.) ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন ও দীক্ষা দিয়েছেন যে,  বিচারকার্যে এবং সাক্ষ্য প্রদানে শত্রু-মিত্র, বন্ধু-বান্ধব, নিকটাত্মীয়, বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, আপন-পর, উঁচু-নিচু, ইতর-ভদ্র, জাতি-ধর্ম গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার প্রতিই সমান আচরণ করতে হবে। 



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: