নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়া পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদের জায়গা ফেরত চাইতে গিয়ে সভাপতিসহ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানি করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ মে) বিকাল ৩টায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভিত্তিহীন অভিযোগে মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন অপপ্রচারে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরে সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র করে মসজিদের উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা। ষড়যন্ত্রকারীরা যতোই শক্তিশালী হোক না কেন; তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে ইনশা’আল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা সার্ভে করে দেখেছি; মসজিদের জায়গায় মজিদিয়া মাদরাসা মার্কেটটি গড়ে তোলা হয়েছে। মাদরাসার নামে আলাদা কোন দলিল নেই। মাদরাসা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই আমরা তাদেরকে মসজিদের জায়গা ফেরত দিতে বলেছি। সকল দোকানদারকে দোকান ভাড়া মসজিদ ফান্ডে দিতে বলেছি। এটাই ছিল মসজিদ কমিটির সভাপতির অপরাধ। এই অপরাধের জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিনকে বিবাদী করে একটি বানোয়াট সাজানো চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার কল্পিত গল্পের কোন ভিত্তি নেই বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মামলায় আক্রান্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন বলেন, কাউন্সিলর মুজিবুল হক ইতোমধ্যে এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে গুনী ও সম্মানি বেশকজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধনও করেছেন তিনি। নিজের কুকীর্তি ও অপকর্ম ঢাকতে কাউন্সিলর পদবির প্রভাব খাটিয়ে তিনি এলাকার সম্মানি লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে। এসবের লাগাম টানা দরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিবগং মজিদিয়া মার্কেটের নামে মসজিদের জায়গা দখলে নিতে আমার বিরুদ্ধে অকল্পনীয় ভিত্তিহীন হাস্যকর একটি হয়রানিমূলক চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করছে। যেটি সচেতন জনসাধারণ কোনভাবেই বিশ্বাস করবে না। এ ধরনের অবান্তর অভিযোগ উপস্থাপন করে আমাকে মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের কাছে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে কোন দোকান থেকে পান খেয়ে পানের পয়সা না দিয়ে যাওয়ার মতো এ ধরনের কোনও ঘটনা দেখাতে পারবে না কেউ। আমাদের একটি পারিবারিক শিক্ষা রয়েছে। আমরা মরহুম মাওলানা বদরুদ্দোজা হেলালীর সন্তান। পরিবার নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার এ রকম দুঃসাহস কারো হয়ে উঠেনি; হবেও না ইনশা’আল্লাহ। সুশৃংখল মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বিতর্কিত করতে মুজিবগং প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নাছির উদ্দিন বলেন, তারা মসজিদের জায়গা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসণে বসে সমাধান না করলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। এরপর আইনানুগভাবেই মসজিদের জায়গা বা মার্কেট উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। সদিচ্ছা থাকলে বৈঠকে বসুন, আমরা মসজিদের কাগজ জমা দেব, আপনাদের থাকলে আপনারাও মাদরাসার কাগজ জমা দিন।
এসময় সংশ্লিষ্ট মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা বশির আহমদসহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সরেজমিন মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে; তারা মসজিদ কমিটির সভাপতি-সম্পাদক কর্তৃক চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন।
0 comments: