নিজস্ব প্রতিবেদক :
র্যাব-১৫ কে জমা দেয়া ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ্য করেন, মাস খানেক আগে মেয়ের জামাই চকরিয়ার বিএমচর সিকদারপাড়া নিবাসী জনৈক আবুল হাশেমের পুত্র জয়নাল আবেদীন তার শ্বশুর বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মহেশখালীয়াপাড়া এলাকায় বেড়াতে আসে। সেখান থেকে গত ২৪ জানুয়ারি-২০২৩ইং তারিখ উল্লেখিত এলাকার হাজমপাড়া গ্রামের সী-বীচ রোডস্থ স্থানীয় একটি মাঠে খেলা দেখতে যান। খেলা শেষে বিকাল ৪টার দিকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে মেয়ের জামাই জয়নালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুস্কৃতিকারীর একটি দল। এতে আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে পালানো চেষ্টা করলে আক্রমণকারীরা পিছু নেয় তার। মেয়ের জামাই শ্বশুরবাড়িতে আসতে বিলম্ব হলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকেন শ্বাশুড়ি মাহমুদা খাতুন। এরপর থেকে কোনখানে তার সন্ধান পাননি বলে অভিযোগে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ইং তারিখে রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে মেয়ের জামাইর মোবাইল (০১৮২৯-৬০৮১০০) নাম্বার থেকে নাতি জুবাইরের ব্যবহৃত মোবাইল (০১৮৯৬-১৩১৭৬৪) নাম্বারে কল দেয়। এতে মেয়ের জামাই তাদের হেফাজতে রয়েছে জানিয়ে ২০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুস্কৃতিকারীরা। অন্যথায় হাত, পা কেটে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চক্রটি।
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, স্বামী জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য হ্যাচারিতে চাকরি করতেন। ওইসময় থেকে ইব্রাহিম ও সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিল। সেই সূত্রে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে বিবাদী করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি।
নিখোঁজ জয়নাল আবদীনের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ঠিক। কিন্তু ওখান থেকে আর ফিরে আসেনি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ছেলের সন্ধান পরবর্তী জীবিত ফেরত চাই; আর কিছু চাইনা।
এদিকে এ ঘটনায় জয়নালের সহধর্মীনি আনোয়ারা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের লোকজন চরম অজানা শংকা প্রকাশ করেছেন। অনতিবিলম্বে ভুক্তভোগি পরিবার নিখোঁজ জয়নাল আবেদীনের উদ্ধারপূর্বক জীবিত সন্ধান পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
0 comments: