চকরিয়ায় চুরি মামলায় আসামি হলেন প্রবাসী!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাংলাদেশে না থেকেও মারামারি, লুটপাট ও চুরি মামলায় আসামি হয়েছেন এক প্রবাসী। হয়রানিমুলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও পুলিশি হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাক্কার পাড়ার আলী আহমেদের পুত্র সৌদি প্রবাসী শহীদুল মোস্তফার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করে তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী শহীদুল মোস্তফার বড় ভাই মোঃ মোহছেন আলী বলেন, গত ১০ অক্টোবর বিকেলে তার চাচা জয়নাল আবেদীন ক্ষেতের জন্য সার ও অসুস্থ পিতার জন্য ঔষধ আনতে স্টোল স্টেশনে গেলে, সেখানে স্থানীয় মৃত আলী আহমদের পুত্র গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলেরা মিলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জয়নাল আবেদীনকে বাজারের শতশত লোকের সামনে মারধর করতে থাকে। ওই সময় বাজারে তরকারি ও দুধ বিক্রি করতে যাওয়া অপর ভাই বশির আহমদ তাকে বাঁচাতে গেলে বশির আহমদকেও মারধর করে। 

উক্ত ঘটনায় জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম জিহাদসহ ৫জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরও ৪/৫জন অজ্ঞত নামা আসামি করে একই দিন চকরিয়া থানায় এজাহার জমা দেন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, উক্ত এজাহার মামলা হিসেবে রুজু না করে ঘটনার সাতদিন পরে গত ১৬ অক্টোবর জয়নাল আবেদীন, বশির আহমদ ও তাদের ভাইপো সৌদিয়আরব প্রবাসী শহীদুল মোস্তফা ও গিয়াস উদ্দিনের আপন চাচাতো ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেনসহ দশজনের নামে উল্টো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন গিয়াস উদ্দিন (আর্মি গিয়াস)। উক্ত মামলায় নিরীহ ব্যাক্তি বশির আহমদ গত সোমবার মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দুধ দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান।

বশির আহমদের স্ত্রী খতিজা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও আমার দেবর জয়নাল আবেদীনকে মারধরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো আমার স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বিষয় টি আমরা জানতাম না। এবিষয়ে পুলিশ কোন ধরনের তদন্ত বা আমাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করেন নি। প্রতিদিনের মতো আমার স্বামী গত সোমবার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দুধ দিতে গেলে ওনাকে আটক করা হয়। তার স্বামী ও দেবরকে মারধর করে উল্টো তাদেরকে আসামি করার বিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের কাছে সংশয় প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আমি যেহেতু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, তাই আমি কোনধরনের বক্তব্য দিতে পারিনা।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, কোন নিরীহ ব্যাক্তি যদি মামলার আসামি হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রবাসী শহীদুল মোস্তফার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: