ব্যক্তি জীবনে যেমন ছিলেন শাহজাহান চৌধুরী..!

চকরিয়া টাইমস : 

আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী ১৯৫৩ সালের ২০মে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হামিদুল্লাহ সিকদার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদ সিকদার।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে বি এ (অনার্স)ও এমএ (মাস্টার্স) পাশ করেন।

শাহজাহান চৌধুরী রাজনীতির পাশাপাশি কৃষি ও বেসরকারী চাকুরী জীবি ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি গ্রহণ না করলেও তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অবদান রাখেন। ১৯৭১ সালে তিনি হুসাইন ছালে নুর পটিয়া ছাত্র হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ সুসংগঠিত করেন এবং চকরিয়া সিএনবি রেষ্ট হাউজে ক্যাপ্টেন শাহাজাহান  সাহেবের কাছে অস্ত্র জমা দেন। 

১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্হায় স্কাউট হিসেবে সারা বাংলাদেশে রিলিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে, পরে যশোর উলশি খাল কাটার জন্য এক সাপ্তাহ প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গী ছিলেন।এছাড়াও প্রেসিডেন্ট জিয়ার সমুদ্র সফর সঙ্গী হিসেবে হিজবুল বাহারে করে (তিনদিন) সারাদেশ সফর করেন।

তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং একই বছর জাতীয় যুব মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজার জেলার যুব সংস্থার যুব সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।

শাহজাহান চৌধুরী ছিলেন একজন সফল চেয়ারম্যান। ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ বছরের বেশি সময় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের এমন কিছু কাজ করেন, যা সর্বজন প্রশংসিত। 

তিনি গ্রাম আদালত, বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠু পরিচালনা, বৃক্ষরোপণ, খালকাটা, ডোবায় বিলে ঝিলে মাছ চাষ করা এবং টিআইবির সাথে বাংলাদেশে প্রথম সততা চুক্তি করেন এবং শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠা করেন।

শাহজাহান চৌধুরী চকরিয়া কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য, দীর্ঘ ৮ বছর চকরিয়া হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা কৃষি কমিটির সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চকরিয়া উপজেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: