চকরিয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে হামলায় বয়োবৃদ্ধা নারীসহ আহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া পৌর এলাকায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক জবরদখলে নিতে বসতবাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। তাদের হামলায় আহত হয়েছে বয়োবৃদ্ধা নারীসহ তিনজন। হামলাকারীরা বসতভিটার ঘেরা ও ঘরের বেড়া তছনছ করে লুটে নিয়ে যায় স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৃদ্ধার পরিবার। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের খোয়াজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত মৌলভী ইজ্জত আলীর স্ত্রী আহত বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম (৬০) বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দেন। 

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে বসতভিটা জবর দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছে দুস্কৃতিকারীর দল। তারা অনেকবার হামলাও করে। এতে জবরদখল চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফাঁসিয়াখালী ১নং ওয়ার্ডের হাজিয়ানের বাসিন্দা জাগের আহমদের ছেলে হারুন, বদিউল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন, মোছন আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন, মৃত আলী চানের বশির আহমদ, ফৌজুল আজিমের ছেলে রহিম উল্লাহসহ ৮/১০জন সংঘবদ্ধ হয়ে বয়োবৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের বসতভিটা দখলে নিতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এতে বাড়িতে থাকা লোকজন বাঁধা দিলে দেশীয় তৈরি লোহার রড, হাতুড়ি, দা, কিরিচসহ লাঠিসোটা নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে উঠানের ঘেরা ও ঘরের বেড়া ভাংচুর করে। দুষ্কৃতিকারীদের সশস্ত্র হামলায় আহত হয় বয়োবৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম, ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মেয়ে আয়েশা ছিদ্দিকা। 

ঘটনার শোর চিৎকারে বাড়ির আশপাশের ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি তান্ডবে তছনছ করে ফেলা হয় ঘরের আলমারিসহ মূল্যবান আসবাবপত্র। লুট করা হয় স্বর্ণালংকার ও নগদ ২লক্ষাধিক টাকা। সবমিলিয়ে আনুমানিক ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে এজাহারে দাবি করা হয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে হামলার শিকার আহত ভুক্তভোগি বয়োবৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম আইনানুগ প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: