মানবতার কল্যাণে আমৃত্যু করা মাওলানা আবদুল গফুরের মানবিক কর্মজজ্ঞ ইতিহাস হয়ে থাকবে

কক্সবাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নগর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি  জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, মাওলানা আবদুল গফুরের মত জনপ্রতিনিধি এই সময়ে বেশী প্রয়োজন। দুনিয়ার লোভ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। মানবতার কল্যাণে আজীবন তিনি কাজ করেছেন; যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। 

তিনি বলেন, বরেণ্য আলেমেদ্বীন ঝিলংজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গফুর নীতিবোধ, নৈতিকতা, ইসলামী মূল্যবোধ ও আদর্শকে সঙ্গী করে আমৃত্যু পথ ও সাহাবিদের প্রতিচ্ছবি। তিনি একজন সফল সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি সবদলের কাছে পরিছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ছিল। তার জীবন পরিচালনা ছিল আখেরাতমুখী। কুরআন সুন্নাহ কেন্দ্রীক জীবন পরিচালনায় তিনি অভ্যস্ত ছিলেন। মাওলানা আবদুল গফুর ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিত সংগঠক।

তিনি পরোপকারী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে তার তুলনা হয়না। আমৃত্যু তিনি আদর্শ ও নীতি নৈতিকতাকে ধারণ করেছেন।” তিনি একজন জনপ্রিয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় হাদিসের সবক দিয়েছেন। হাজার হাজার আলেমের ওস্তাদ আল্লামা আবদুল গফুর একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তার কোন তুলনা হয়না। 

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর লিংকরোড ওয়েডিং পার্কে নাগরিক পরিষদ কক্সবাজারের ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল গফুর (রহঃ) এর স্মরণে মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। 

নাগরিক পরিষদের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, সাবেক আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সদর উপজেলার সাবেক  চেয়ারম্যান এডভোকেট সলিমুল্লাহ বাহাদুর, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি হাফেজ  সালামতুল্লাহ, জামায়াত নেতা মাওলানা মুফতি হাবিবুল্লাহ ও অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মরহুমের জামাতা চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম কামিল (এম.এ) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, অধ্যক্ষ মাওলানা জাফরুল্লাহ, বিশিষ্ট সমাজসেবক জেবর মুলক, একেএম মাহফুজুল হক, মাস্টার শফিকুল হক, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, মাওলানা ফজলুল কাদের, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন জিকু, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, ক্রীড়া সাংবাদিক এম.আর মাহবুব, কক্সবাজার শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক, জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী হাজী রুহুল আমিন সিকদার, অধ্যাপক মাওলানা সলিম উল্লাহ, এডভোকেট নেজামুল হক, এডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার, মরহুমের সন্তান মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবুল মনসুর ও মাওলানা আবুল কাশেম, শ্রমিক নেতা এম.ইউ বাহাদুর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন নাগরিক পরিষদের নেতা রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল ও শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হাসান।

বক্তারা আরো বলেন, তিনি অমায়িক, ন¤্র, ভদ্র, নির্লোভ ও নিরহংকার ছিলেন। মাওলানা আবদুল গফুর (রহঃ)কে হারানোর মধ্যদিয়ে আমরা একজন পরিপূর্ণ জনহিতৈষী মানুষকে হারিয়েছি। মানবিক মূলবোধসম্পন্ন তার মতো একজন মানুষের বড়ই প্রয়োজন। তার কর্মের মধ্য দিয়ে এই প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছেন। তিনি ভালো ও নীতিবান মানুষ ছিলেন। দোয়া মাহফিলে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, মাওলানা আবদুল গফুর ছিলেন একজন আপাদমস্তক আদর্শিক মানুষ। শত প্রতিবন্ধকতায়ও নীতি, আদর্শ থেকে তিনি একটুও বিচ্যুত হননি। বহুগুণের অধিকারী ইসলামি চিন্তাধারার এই মানুষটি আজীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মানুষের জীবন মান উন্নয়নে নিবেদিত প্রান, নিজস্ব এলাকার অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়নে সদা তৎপর ছিলেন তিনি। এলাকার শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় তরিৎকর্মা জননেতা হিসাবে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি ১৯৯২-১৯৯৭ইং পর্যন্ত ৬বছর ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের বিপুলভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: