রামুর ঐতিহ্য ফুটবল তাই রামুতে হলো "ফুটবল চত্ত্বর"
চকরিয়ার ঐতিহ্য বিমানবন্দর তাই "বিমান চত্বর" চাই।
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অতি গুরুত্বপূর্ণ শহর চকরিয়া পৌরসভা। শহরকে কেন্দ্র করে আশেপাশের জেলা-উপজেলার লাখো লাখো জনতার আসা যাওয়া হয়ে থাকে। এমন এক শহরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা দরকার।
চকরিয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে চকরিয়া পৌরসভা কার্যালয়ের রোডে সেনাবাহিনী ক্যাম্প সংলগ্ন চিংড়ি চত্বর স্থাপন করা হয়েছে। (চিংড়ি একটি প্রাণী হওয়াতে এই চত্বর নিয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধি বিধানের আলোকে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে)। সকল উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে যারা ভূমিকা রেখেছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আজকে পৌরশহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই জনপদের অভিভাবকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকতা ও প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি,
রামুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বাইপাস এলাকায় রামু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার শিল্পকে স্বরণীয় করে রাখতে "ফুটবল চত্ত্বর" স্থাপন করা হয়েছে। যা বিভিন্ন জায়গায় বা দেশ-বিদেশ থেকে আগত মানুষের নান্দনিক দৃষ্টি কেটেছে।
চকরিয়াতেও দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী চকরিয়া বিমানবন্দরকে স্বরণীয় করে রাখতে মহাসড়কের চকরিয়া বাস-স্টেশন/ থানা রাস্তার মাথা/ বাসটার্মিনাল অথবা সুবিধাজনক যেকোনো স্থানে একটি "বিমান চত্ত্বর" স্থাপন করা হওক, এটি এখন সময়ের দাবী।
চার লাইনের মহাসড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে এই দৃষ্টিনন্দন "বিমান চত্বর" স্থাপন প্রকল্পটি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হওক। এই বিমান চত্ত্বর স্থাপন করা হলে চকরিয়া পৌরশহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। চকরিয়ার সেই বিমানবন্দর বর্তমানে সেনাবাহিনী ক্যাম্প হয়ে যাওয়া এই নিদর্শন নতুন প্রজন্মের জন্য অচেনা ও অজানা ইতিহাসে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। বিমান চত্ত্বর স্থাপন হলে, সেই স্থাপনা নিয়ে নতুন প্রজন্ম কৌতুহলের ছলে, বা জানতে চাওয়ার ছলে ঐতিহ্যবাহী বিমানবন্দরের গৌরভ উজ্জ্বল ইতিহাস জানার সুযোগ পাবে।
অতএব চকরিয়া পৌরশহরে "বিমান চত্ত্বর" স্থাপনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
প্রস্তাবনায়ঃ-
চকরিয়া পৌরশহরের সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে
মুছা ইবনে হোসাইন বিপ্লব
উদ্যোক্তা
বিমান চত্ত্বর চাই কর্মসূচি।
0 comments: