বান্দরবানের লামায় জাতীয় শোক দিবস ও প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, "বিএনপি'র সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আবারো শেখ হাসিনা তথা জাতীয় উন্নয়নের সরকার গঠনে আমরা ঔক্যবদ্ধ। পার্বত্য জনপদ-বান্দরবানে ব্যপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর বাহাদুরকে আবারো বিপুল ভোটে জয়যুক্ত" করার ঘোষণা দেন বক্তারা। ৩০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সাড়ে ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে শোক সভায় সভপতিত্ব করেন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা।
লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উদীয়মান নেতা প্রদীপ কান্তি দাশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ ও মোজাম্মেল হক বাহাদুর, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম ও পৌর সভাপতি মোঃ রফিক কাউন্সিলর,এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মি সমর্থকরা লামা কেন্দ্রীয় পৌর বাস টার্মিনালে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন। বেলাপৌনে ১১ টায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল করে।
এসময় দীর্ঘ সারির মিছিলে "শেখ হাসিনার সরকার, উন্নয়নের সরকার, মুজিব কন্যার সরকার বারবার দরকার, ৭১'র দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, জামায়াত বিএনপি দেশ ছাড়''- ইত্যাদি স্লোগানের শব্দে লামার রাজপথ কেঁপে উঠে। জাতীয় শোক দিবস ও চারদলীয় জামায়াত বিএনপি জোট সরকারামলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা, তার আগে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট শহীদ সরোয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাদ্রের মেঘ তাতানো রৌদ্রের প্রখরতাকে উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০ থেকে বারো হাজার কর্মি সমর্থকরা অংশ নেন।প্রসঙ্গত: পরপর টানা তিনবার ক্ষমতা থাকাকালে এটাই ছিল লামা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের বড় কোনো মিছিল-সমাবেশ।
পার্বত্য মন্ত্রীর প্রোগ্রাম ব্যতিত আর কোন সভা সমাবেশে এত কর্মী সমর্থকের উৎসাহ মূলক অংশ গ্রহন লক্ষ্য করা যায়নি বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
এর কারন হিসেবে জানাযায়, বিরোধীদলীয়দের কার্যক্রম না থাকায় মূলত: এমন শান্ত ছিল সরকার দল। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির পরপর দুইটি মিছিল সভা সমাবেশের পরই নড়েচড়ে বসেন আওয়ামীলীগ। এর ফলে সরকার দলের কর্মী সাধারণরা মনে করেন, হালে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের কদর বেড়েছে।
0 comments: