নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়া সিটি হাসপাতালে আবারো অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পনেরো দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষতে সুযোগ দেয়া হয়। রোববার (২৯ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার ৫টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন নিশ্চিত করেন।
রোববার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাতুজ্জামান দিপু ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ শোভণ দত্ত। এসময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইফতেখারুল ইসলাম ও ডাঃ সাইমুল ইসলামসহ সেনিটারি ইনস্পেক্টর ও পুলিশদল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার পৌরশহরের একুশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, বদরখালী মর্ডান ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বদরখালী ল্যাব হাউস, বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল ল্যাব পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতাল, সিটি হাসপাতাল, শেভরন হাসপাতালকে উপযুক্ত ডক্যুমেন্টস দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। তাছাড়া অন্যান্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোতে পরিদর্শন চলতি সময়েই করা হবে।
এদিকে এরআগেও ১৬ মে চকরিয়া সিটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডাঃ মাঈন উদ্দিন নামে জনৈক ফরিদ উদ্দিন নামে একজন ভূয়া চিকিৎসককে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। ধৃত ফরিদ ভূয়া প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ১বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তৎসময় জরিমানা অনাদায়ে আরো ১বছরের অতিরিক্ত সাজা প্রদান করা হয়। তবে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, ডাঃ মাঈন উদ্দিন নামে জনৈক ফরিদ উদ্দিন সিভি জমা দেন। ওইসময় তার কাগজপত্র সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা গ্রহণ করি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ শোভণ দত্ত জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযান পরিচালনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ একযোগে কাজ করেছে। তবে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে লাগামহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের এই অভিযান অব্যাহত রাখার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
0 comments: