আমার জনসেবায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনে পরাজিত একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী মানহানিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। উঠে পড়ে লেগেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। রয়েছে হাস-মুরগি, মৎস্যসহ গবাদি পশুর খামার। সফল খামারি হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ খামারির সম্মাননা স্মারক ও সনদসহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছি। আমি কোন সময়ের জন্য জনসম্পৃক্ততার বাইরে ছিলাম না। সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে আমার উঠা-বসা। আমার শৈশব থেকে বেড়ে উঠা গ্রামের ছোট-বড়, সমবয়সী ভাই-বন্ধু ও বাবার বয়সী মুরব্বী এবং মা-খালাদের আদর ভালবাসার ওপর। তাদের কাছে আমার বিষয়ে অজানা কিছু নয়।
আমি আজ জনপ্রতিনিধির কাতারে। বিপুল ভোটে সাহারবিল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ জন্য আমি সাহারবিল ইউনিয়নবাসীর আস্থা ও ভালোবাসার ঋণের জালে আবদ্ধ। এ ঋণ আমার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। কাংখিত ও দৃশ্যমান উন্নয়নজজ্ঞের মাধ্যমে আস্থা-ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। এটাই আজ আমার বিরোধী শক্তির কাছে মাথা ব্যথায় পণিত হয়েছে। ওই বিরোধী শক্তি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষোভ মেটাতে বিভিন্ন পন্থায় আমার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর সিরিজ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি তারাই দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন যমুনা টিভির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির কাছে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিত্রে বানোয়াট ও সাজানো পথে হাটিয়ে যমুনা টিভির সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে হয়রানি করা হয়েছে। একইভাবে টিভিতে উপস্থাপনের অজুহাতে আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) হয়ে আমাকেও বিভিন্নভাবে নাজেহালমূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি করিয়েছে পরাজিত এই গোষ্ঠী।
রোববার (৮মে) বিকালে চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী। এতে তিনি আক্ষেপ করে এসব কথা বলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার ওপর আরোপিত অভিযোগ কাল্পনিক। নাটকীয় কাহিনীতে আমাকে ভিলেন চরিত্রে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমার কোন ডাকাতদল নেই। অপরাধ নির্মূলে আমি একালাবাসীকে সাথে নিয়ে সবসময় সোচ্ছার। সুতারাং আমাকে ভিত্তিহীন কোন প্রশ্নে না জড়িয়ে এলাকার সামগ্রিক কাংখিত উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রাখতে জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, গত ৬ মে শুক্রবার যমুনা টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে সাক্ষ্যদাতা কতিপয় ডাকাত সদস্যরা থানা ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। আমার বিরুদ্ধে টিভিতে কাল্পনিক অভিযোগ তুলে ধরতে তমিজ উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন ও আলমগীর ডাকাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের দেয়া উত্থাপিত তথ্যগুলো মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রেকর্ড রয়েছে। সংবাদে তারা আমার লোকজন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা কখনোই আমার রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে সহকর্মী ছিলোনা। তারা কর্মই হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাÐ সংঘটিত করা। ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থানা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাহারবিল ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। নিউজে উল্লেখ করেছে আমার নির্যাতনে সাহারবিলের মানুষ অতিষ্ঠ। নির্যাতন করার জন্য আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেনি। তাদের সেবা করার জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সবে মাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলাম; নির্যাতন তো দূরের কথা এমন অভিযোগ হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। তাই পরিবেশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রাণপ্রিয় সাহারবিল ইউনিয়নবাসীর শান্ত পরিবেশকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপপ্রয়াসে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের মড়গড়া তথ্য দিয়ে সুযোগ লুটার যারা ঘৃন্য তৎপরতা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
0 comments: