চকরিয়া টাইমস :
এক মর্মান্তিক এবং ঐতিহাসিক ঘটনার জের ধরে কক্সবাজারে পুলিশের নতুন বিন্যাস আসার পর থেকে একের পর এক নজির স্থাপন করে চলেছেন এসপি হাসানুজ্জামান। দায়িত্ব পাবার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি সতর্ক এবং স্বচ্ছ থেকেছেন নিজ বাহিনী পরিচালনায়। বাহিনীর যেকোন পর্যায়ের সদস্য কিংবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপত্তি উঠে আসলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সর্বশেষ ১৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চকরিয়া থানার ওসির একটি আপত্তিকর চিত্র গণমাধ্যম মারফতে নজরে এলে তিনি ওই ওসির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তিনি ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে দেন। অথচ এধরণের ঘটনা ইতিপূর্বেও বিভিন্ন থানায় ঘটেছে। কিন্তু সে সময় এধরণের ব্যবস্থা নেওয়া তো দুরে থাক উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের। অথবা এমনও দেখা গেছে- ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১মার্চ আলোচিত এক মাদক ব্যবসায়ী নারীর কাছে থেকে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল এসআই সহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাতেও পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ওই তিন জনকে আটক করেন।
এভাবেই তিনি নিজ বাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান জারি রেখেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে- স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট, স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা বর্তমান জেলা পুলিশের শুধু নেতিবাচক সংবাদই প্রচার করে যাচ্ছেন। কেউ বলছেন না- বাহিনীর কতিপয় বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সব সময়ই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছেন। এখানে অন্যায় ভাবে গোষ্ঠী বা বাহিনীপ্রীতির কোনো নজির নেই। জেলা পুলিশ এখানে পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছেন বলেই কতিপয় পুলিশ সদস্যের অনিয়মগুলো গণমাধ্যম জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারছে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র নেতিবাচক খবরটাই সামনে আসছে। এভাবে হলে পুলিশ নিরুৎসাহিত হবে। এটি বাহিনীর সততা হারানোর কারণও হয়ে উঠতে পারে। কারণ পুলিশের নেতিবাচক কর্মটা যেমন সামনে এনেছেন তদ্রুপ ইতিবাচক কর্মটাও জনগণের সামনে তুলে ধরা উচিত।
আরও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে শেষ করছি। মাস খানেক আগে কক্সবাজারের উখিয়ায় ছয় হাজার ইয়াবাসহ চট্টগ্রামে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। তাকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আটক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বদলীকৃত নতুন পুলিশের বিন্যাসের আগে আলোচিত ওসি প্রদীপ যুগে টেকনাফে কর্মরত ছিলেন।
আলোচিত যে তিনটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রতিটি পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নতুন বদলির আগে প্রদীপ যুগে কক্সবাজারেই ছিলেন। এখনও পর্যন্ত নতুন বিন্যাসের কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসেনি।
সম্পাদকীয় (সিডব্লিউ বাংলা)।
লিঙ্ক: https://www.facebook.com/coxsbazarworld/photos/a.102289064575167/526567648813971/
0 comments: