মৃত মায়ের কাছে চলে যাবার কথা বলে যুবকের নিরুদ্দেশ! : নিখোঁজ দাবি করে পিতার থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মৃত মায়ের কাছে চলে যাবার কথা বলে শাব্বির আহমদ খান অভি (২৬) নামের এক যুবক নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েছে। কোথাও যেনো তার খোঁজ মিলছেনা। এ নিয়ে ছেলের সন্ধান না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে অভির পিতা চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাহারিয়াঘোনা রশিদারবিল গ্রামের বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন আহমদ চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। অভি চকরিয়া সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিবাহিত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক সে।

একাধিক সূত্রে প্রকাশ, বিগত পাঁচ ছয় বছর আগে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা মেলায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা অভির মা। অভিরা ভাইবোন দুইজন। বোনটিরও একজন স্কুল শিক্ষকের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। ব্যবসায়ী পিতাকে সাথে নিয়ে ঘরের হাল ধরতে বিয়ে করেন অভিও। সংসার জীবনে তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ফেসবুক টাইমলাইন ঘেঁটে জানা গেলো, সম্প্রতি জন্মদাতা পিতার সাথেই পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়েছে অভির মাঝে। এ নিয়ে বিভিন্নভাবে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে পিতা-পুত্রের মাঝে। ধারনা করা হচ্ছে, এসব বিষয় থেকে একাধিক ফেসবুক স্ট্যাটাসও দিয়েছে শাব্বির আহমদ খান অভি। সোমবার ২৮মার্চ সর্বশেষ টাইমলাইনে থাকা স্ট্যাটাসে লিখেন- ‍"ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সবাই। আমি আর পারলাম না, পারলে ক্ষমা করবেন। " এর আগেরদিন ২৭মার্চ ২টার দিকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসে লিখেন- "মায়ের কাছে চলে যাবো ইনশা'আল্লাহ"। এর আরো কয়েকদিন আগে লিখেন- "অত্যাচার আর সহ্য হচ্ছেনা, আস্তগফিরুল্লাহ, আস্তগফিরুল্লাহ, আস্তগফিরুল্লাহ"। এভাবে দুর্বিসহ জীবনের ব্যাখ্যা দেন নিজ ফেসবুক টাইমলাইনে। তবে সোমবার ২৮মার্চ সর্বশেষ টাইমলাইনে ‍"ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সবাই। আমি আর পারলাম না, পারলে ক্ষমা করবেন। " এ কথা লিখে নিরুদ্দেশ হয়ে যান শাব্বির আহমদ খান অভি।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯মার্চ) অভিকে পাওয়া যাচ্ছেনা উল্লেখ করে অভির পিতা শাহাব উদ্দিন আহমদ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী জমা দিয়েছেন। যার নং- ১৪০২ (২৯/০৩/২২)।

সাধারণ ডায়েরীতে দাবি করা হয়, শাব্বির আহমদ অভি গত ২৮মার্চ বাস টার্মিনালস্থ ফ্রুটের দোকান থেকে সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চকরিয়া সরকারি কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর কলেজ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ও ঘরে না ফেরায় বিভিন্ন স্থান থেকে খোঁজ নিলে তার সন্ধান মিলেনি। তার ব্যবহৃত দুটি নাম্বারে রিং পড়ছেনা বলেও (বন্ধ রয়েছে) দাবি করা হয় জিডিতে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: