নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস, শায়খ মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ অনুষ্ঠিত ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। আলহাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো মুজাহিদুর রহমানের (তিনিও কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান) তত্ত্বাবধানে এই ডিগ্রির অভিসন্দর্ভ ছিল "মুহাম্মাদ আশিক ইলাহী বুলন্দশহরী: ইসলামী শিক্ষায় তাঁর অবদান"।
উল্লেখ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মুহাদ্দিস ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বিকল্প খতীব ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান কিশোরগঞ্জের ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারে ২ মে, ১৯৬৯ জন্ম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, শাইখুল হাদিস, জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আতাউর রহমান খান তাঁর পিতা।
তিনি আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভীর ছোটভাই এবং কবি মুহিববুর রহমান খানের বড়ভাই।
জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজীবন প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বপালনকারী পীরে কামেল মাওলানা আহমাদ আলী খান (রহ.) তার দাদা। মাওলানা ওয়ালীউর রহমান খানও বড় হন জামিয়া ইমদাদিয়াকেন্দ্রিক। পবিত্র হিফজুল কোরআন থেকে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন জামিয়া ইমদাদিয়াতেই।
ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ –এর মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পাশাপাশি বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ফিতরা নির্ধারণ কমিটিসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তাকে।
0 comments: