নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নে এবার ডেবডেবি কাকাড়াদিয়া এলাকায় সরকারি চলাচলের পা কাটা খালে মাটি দিয়ে বাঁধনির্মাণে চিংড়িঘের তৈরী হিড়িক চলছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কয়েকদিন ধরে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণপুর্বক ডেবডেবি পা কাটা খালটি দখলে নিয়েছে। পাশাপাশি খালের আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ জায়গাও দখলের চেষ্ঠা চালাচ্ছে অভিযুক্ত মহলটি। বর্তমানে সেখানে চিংড়িঘের তৈরীর সবধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালেও সরকারি চলাচলের খালটি দখলে নিয়ে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে অভিযুক্ত ওই মহলটি।
এই অবস্থায় খালের পানি চলাচল বন্ধ হবার কারণে ডেবডেবি কাকাড়াদিয়া এলাকার বিপুল পরিমাণ চিংড়িঘেরে আগামীতে মৎস্য চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি জানতে স্থানীয় একাধিক চিংড়িঘের চাষী বাঁধা দিতে গেলে উল্টো জড়িতরা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে চকরিয়া থানার ওসির কাছে একটি লিখিত এজাহারও জমা দিয়েছেন দরবেশকাটার পুর্বপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ এহেছান নামের এক ভুক্তভোগী চিংড়িচাষী।
চকরিয়া থানার এজাহারে আসামি করা হয়েছে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২নং ব্লক নতুনঘোনা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী গংকে। এজাহারে বাদি মোহাম্মদ এহেছান দাবি করেন, চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা মৌজার ডেবডেবিও কাকড়াদিয়া এলাকার পা কাটা নামক খালটি সরকারি একটি শাখা খাল। এই খালটি দিয়ে লোনা পানি চলাচল বিদ্যামান। খালের পানি নিয়ে ডেবডেবি ও কাকড়াদিয়া এলাকার চিংড়িঘেরগুলোতে চাষীরা মৎস্য চাষ করে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত নুরুন্নবী গং বিপুল পরিমাণ শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে খালের দুই পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে ঘের তৈরী করছে।
চিংড়িচাষী এহেছানসহ স্থানীয় একাধিক চাষী অভিযোগ তুলেছেন, অভিযুক্ত মহলটি বর্তমানে সরকারি চলাচলের খালটি দখলে নিয়ে বাঁধ দিয়ে চিংড়িঘের নির্মাণ করার পাশাপাশি আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসুমার জায়গাও দখলের চেষ্ঠা চালাচ্ছেন। তাদের এইধরণের অনৈতিক কাজের কারণে বর্তমানে খালের লোনা পানি সুবিধা বঞ্চিত হবে স্থানীয় চিংড়িঘের গুলো। এতে ঘেরে মৎস্য চাষাবাদ নিয়ে চাষীদের মাঝে উদ্বেগ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী চিংড়িচাষীরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি চলাচল খালে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার ঘটনা জানতে পেরে তাঁরা কয়েকজন জড়িতদের বারণ করেন। তাতে উল্টো জড়িতরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। এখন হুমকি দিচ্ছেন, তাদের কাজে কেউ বাঁধা দিতে প্রয়োজনে হত্যা করবে, নতুবা মামলায় জড়িয়ে এলাকাছাড়া করবে। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা এবং চিংড়িঘেরে মৎস্য চাষাবাদের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়ে চকরিয়া থানার ওসির কাছে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
বিষয়টি প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সরকারি চলাচল খালে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত একটি এজাহার পাওয়া গেছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।
0 comments: