চকরিয়ায় কোচিংয়ে বাধ্য না হওয়ায় শিক্ষকের প্রহারে ছাত্রী আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ায় কোচিংয়ে বাধ্য না হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে হাত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে মো. ইব্রাহিম নামের এক শিক্ষক। আহত শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া তাবাসসুম (১৫)। বর্তমানে ওই ছাত্রী চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হাসপাতালপাড়াস্থ চকরিয়া আন নূর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। 

শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাসসুম জানায়, বৃহস্পতিবার মাদরাসায় ক্লাস করতে যাই। ক্লাসে পাঠদানের জন্য আসেন শিক্ষক ইব্রাহিম হুজুর। তিনি আকষ্মিকভাবে বাধ্যতামূলক কোচিং করার জন্য আমাকে চাপাচাপি করেন। আমি শিক্ষক পিতার আর্থিক দৈন্যতার কথা তুলে ধরে কোচিং না করার জন্য অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম হুজুর আমার উপর চড়াও হয়। অবর্ণনীয়ভাবে মুখে পিঠে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন আমাকে। মাথার চুলও ধরেন। এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে জাফর নামের আরেক শিক্ষক টাকা না থাকলে থালা নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্য বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। 

আহত ছাত্রী আরো জানায়, শনিবার (১০অক্টোবর) মাদরাসায় গেলে ওই শিক্ষক আবারো কোচিংয়ের কথা বলে বকাবকি করে। ভর্তির টাকা না দিয়ে এখানে পড়তেছ! তোমাকে বাধ্যতামূলক কোচিং করতে হবে এটা মাদরাসা সুপারের নির্দেশ বলে আমাকে ধমক দেন। বিষয়টি আমার আব্বু-আম্মুকে জানাই।

মেয়ের বাবা মাস্টার জামাল উদ্দিন জানান, মাদরাসা সুপার আবদুল হামিদ নূরীর ইন্ধনে আমার মেয়েকে অমানবিকভাবে পিটিয়েছে ওই শিক্ষক। এতে মেয়েটি গুরুতর  আহত হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

এ ঘটনায় আহত ছাত্রীর পিতা মাস্টার জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও একই মাদরাসার সুপারসহ আরো কয়েকজনকে বিবাদী করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে শিক্ষকের প্রহারে ছাত্রী আহতের বিষয়ে জানতে মাদরাসা সুপার আবদুল হামিদ নূরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: