নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য সমাপ্ত চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের ঘোষিত ফলাফলে ত্রুটি রয়েছে অভিযোগ করে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলহাজ্ব ফজল করিম চৌধুরী। তিনি বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ভরামুহুরীস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে নিজ যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ইভিএম পদ্ধতিতে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি ৪নং ওয়ার্ড থেকে উটপাখি মার্কা নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি। নির্বাচনী ওয়ার্ডটিতে প্রদীপালয় ও চকরিয়া কোরক বিদ্য্যাপীঠ নামের দুইটি কেন্দ্র রয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ইভিএম মেশিনে মেয়র, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের তিনটি কী-বোর্ড রয়েছে। ওই তিনটি কী-বোর্ডের কোন একটিতে বাদ পড়লে ভোট অসম্পন্ন হিসেবে সতর্ক করা হয়। সেই হিসেবে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আদায়কৃত ভোটের সংখ্যা একই হওয়া কথা।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ফজল করিম চৌধুরী বলেন, প্রদীপালয় কেন্দ্রে মেয়র পদে প্রাপ্ত ভোটে সংখ্যা ১৮৯৪ আর কাউন্সিলর পদে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৮৯৬। তন্মধ্যে মেয়র পদে প্রাপ্ত ভোটের চাইতে কাউন্সিলর পদে ২ভোট বেশি দেখানো হয়েছে। একইভাবে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে মেয়র পদে প্রাপ্ত ভোটে সংখ্যা ১০৬৪ এবং কাউন্সিলর পদে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০৮৭। তন্মধ্যে মেয়র পদে প্রাপ্ত ভোটের চাইতে কাউন্সিলর পদে ২৩ ভোট বেশি দেখানো হয়।
এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দৃশ্যমান হয় নির্বাচনী ফলাফল গণনায় ত্রুটি রয়েছে। যা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফল কার্যক্রম স্থগিত রেখে ত্রুটিমুক্ত করতে পুনরায় ভোট গণনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে এরআগে বুধবার ২৯সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কক্সবাজার পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা বরাবর “নির্বাচনী ফলাফলের ভুল ও ত্রুটির কারণে ফলাফলের কার্যক্রম স্থগিতকরণের আবেদন” শিরোনামে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলহাজ্ব ফজল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্রের পৃথক অনুলিপি জমা দেয়া হয়।
0 comments: