ক্রিকেট উন্নয়নে টাকা ব্যয় করার সময় এসেছে : দুর্জয়

 স্পোর্টস রিপোর্টার : 

এই মুহূর্তে ৯০০ কোটি টাকা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বোর্ড হওয়া সত্ত্বেও এখনও আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করতে পারেনি বিসিবি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রামে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় মনে করেন, ব্যাংকে এফডিআর না বাড়িয়ে ক্রিকেট উন্নয়নে টাকা ব্যয় করার সময় এসেছে। 

মিরপুরে বিসিবি নির্বাচনে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে বর্তমান পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি মনে করেন, বিসিবির কোষাগার বড় না করে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজে লাগানো উচিত। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ক্রিকেট আসোসিয়েশনের কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটে কাজ এগোচ্ছে। 

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে আগে একটা সময় ছিল, যখন বোর্ডের সংকীর্ণতা ছিল, সীমাবদ্ধতা ছিল। সেইগুলো কিন্তু এখন নেই। আমরা যদি শুধু মনে করি টাকা জমিয়ে রাখা, এফডিআর করা- এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে এসে আঞ্চলিক ক্রিকেটের উন্নয়নে, একাডেমির উন্নয়নে আরও বেশি ব্যয় করা উচিত।’ আগামী বৃহস্পতিবার শেষ হবে দুর্জয়ের দায়িত্বকাল। 

৬ অক্টোবর নির্বাচনে জিতলে নতুন করে দায়িত্ব নেবেন সাবেক এই অধিনায়ক। ঢাকা বিভাগের দুটি পদে লড়াই হবে চারজনের। তারা হলেন- তানভীর আহমেদ টিটু, দুর্জয়, সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, খালিদ হোসেন। আগের মেয়াদে এইচপিতে কাজ করতে পেরেই খুশি দুর্জয়, ‘আমি আসলে ব্যক্তিগতভাবে বেশ খুশি। আমি এইচপি দলকে নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। কারণ এই জায়গাটাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনও সুযোগ নেই। অন্যান্য দিকগুলোর যেমন প্রয়োজনীয়তা আছে, এইচপিরও ক্রিকেটের উন্নয়নে তেমন প্রয়োজনীয়তা আছে। 

সেই দিক বিবেচনা করলে আমি অন্য কোনও ডিপার্টমেন্টের দিকে অতটা চোখ রাখি না। আর মূলত ডিপার্টমেন্টের বিষয়গুলো যিনি বোর্ড সভাপতি হন, তিনি দেখেন। আমি এইচপি দলের সঙ্গে থেকেই খুশি।’ এইচপির আগে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে কিছুদিন কাজ করেছিলেন দুর্জয়। নিজের কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমি দুইটা জায়গায় কাজ করেছি, ক্রিকেট অপারেশনসে কাজ করেছি বিশ্বকাপের সময়। সেখানেও আমি সফলভাবে কাজ করেছি। 

কারণ বিশ্বকাপে ভালো খেলার শুরুটা কিন্তু আমাদের ২০১৫ থেকে। সেখানে ভালো ফলাফল করেছি। এরপর হাই পারফরম্যান্স, জাতীয় দলের পাইপলাইন, তরুণ খেলোয়াড় ৬-৭ জন যারা হাই পরফরম্যান্সকে প্রতিনিধিত্ব করছে, এটা কিন্তু আমার জন্য বড় বিষয়।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: