প্রবাসীদের উদ্যোগে চকরিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আমাদের ভাবনা

মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বেনু


চকরিয়ার মূল জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ প্রবাসী। চকরিয়ার বিগত ২০ বছরের বেসরকারী উন্নয়নে ৭০-৮০ শতাংশ প্রবাসীদের অবদান রয়েছে। এই বাস্তবতার আলোকে চকরিয়ার প্রবাসীদের বিভিন্ন খাতে এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় চকরিয়া প্রবাসী ট্রাষ্টের যাত্রা।
সামাজিক প্রতিবন্ধকতা প্রবাসীদের প্রতি সাধারণের ঠকানোর প্রবণতার কারনে প্রবাসীরা দীর্ঘসময় প্রবাসে অবস্থান করেও বাকী জীবন সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য অনেকে দেশে স্থায়ী কোন আয়ের উৎস বের করতে সক্ষম হন না। চকরিয়া প্রবাসী ট্রাষ্ট চকরিয়ার বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া প্রবাসী জনগোষ্ঠিদের নিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে।
চকরিয়া প্রবাসী ট্রাষ্ট একটি বহুমুখী প্রতিষ্ঠান। এই ট্রাষ্ট স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রিয়েল স্টেটসহ বিভিন্ন জনস্বার্থমুখী কাজ করবে। আমাদের প্রথম প্রজেক্ট হিসেবে হাসপাতাল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের চকরিয়া হলো চার রাস্তার মোহনার ন্যায় কক্সবাজার জেলার প্রাণকেন্দ্র। একদিকে লামা আলিকদম, মহেশখালী কুতুবদিয়া, ঈদগাও ও অন্যদিকে পেকুয়া। বিশাল জনগোষ্ঠির যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্যের শহর এই চকরিয়া। সরকারিসহ অনেক বেসরকারি হাসপাতাল থাকার পর ও একজন হার্টের বা মারাত্মক একসিডেন্ট কিংবা স্ট্রোক করা কোন রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য চকরিয়ায় কোন ব্যবস্থা নেই। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় এই সকল রোগিদের নিয়ে যেতে হয় এবং অনেক রোগি পথের মধ্যেই মারা যান। এই সকল দিক বিবেচনা করে অমাদের প্রথম প্রজেক্ট হিসেবে চকরিয়ায় ৫০শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল করার লক্ষে কাজ শুরু করতে চায় চকরিয়া প্রবাসী ট্রাষ্ট। ৫০হাজার চকরিয়ান প্রবাসীদের জন্য এটি একটি বৃহৎ কাজ নয়। চকরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রবাসীদের ব্যাপক অবদানের ন্যায় এই হাসপাতালের জন্য প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন ইনশা’আল্লাহ।

সম্ভাব্য হাসপাতালের পরিকল্পনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলোঃ
ট্রাষ্টের নামঃ (সম্ভাব্য) চকরিয়া প্রবাসী ট্রাষ্ট
প্রজেক্টের নামঃ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নামঃ (সম্ভাব্য ) চকরিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
শেয়ার সংখ্যাঃ ৫০০টি । প্রতি সদস্য ডাইরেক্টর হবেন ও একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০টি শেয়ার ক্রয় করা যাবে।
শেয়ার মূল্যঃ ২ (দুই)লক্ষ টাকা।
পরিশোধের মেয়াদঃ আগামী ১ বছরে ৪ কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য।
প্রাইমারি বাজেটঃ ১০ দশ কোটি টাকা
স্থানঃ চকরিয়া সরকারী কলেজ থেকে ফাঁসিইয়াখালী আর্মি ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত এলাকায় মেইন রোড সংলগ্ন
জমির পরিমানঃ ৩-৪ কানি
হাসপাতালের ধরণঃ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সাধারণ হাসপাতাল

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে প্রধান প্রধান যা থাকবে –
1. অ্যাম্ব্যুলেন্স
2. ও টি (Operation Theatre)
3. ওপিডি (Outpatient Department)
4. আইসিও (Intensive Care Unit) সুবিধা সমৃদ্ধ বেড ও ভেন্ডেলিটরসহ যাবতীয় সরঞ্জাম।
5. সিসিও (Coronary Care Unit) সুবিধা সমৃদ্ধ বেড
6. এইচ ডি ও(High Dependency Unit) সুবিধা ও সমৃদ্ধ বেড
7. সিটি স্ক্যান
8. এন্ডসকপি
9. ইকু কার্ডোয়াগ্রাম
10. ডিজিটাল এক্স-রে
11. ৪ডি কালার আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানার
12. আধুনিক মেশিনারী সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি
13. ইসিজি (Electrocardiography)
14. ই ই জি (Electroencephalogram)- ( ব্রেইনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য)
15. ল্যাবকল (laparoscopy) – (কোন কাটা ছিড়া ছাড়া পেটের (এবডমিন) অপারেশন করার জন্য)
16. ইএমজি Electromyography ( পক্ষাঘাত গ্রস্থ রোগিদের জন্য )
17. ইএনটি ক্যাবিনেট (নাক-কান-গলা)

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: