“একটি বিদ্যালয় একটি স্বপ্নের বাতিঘর” : সৈয়দ শামসুল তাবরীজ

প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণের ঘোষণা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।

উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কক্সবাজার জেলাধীন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন চকরিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারকে সাথে নিয়ে হাতে নিয়েছে এক অনন্য কার্যক্রম
"একটি বিদ্যালয়, একটি স্বপ্নের বাতিঘর "।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন আদর্শ ও দেশপ্রেম, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনা, স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সকল স্তর, ভাষা আন্দোলনের ত্যাগ ও তাৎপর্য সহ দেশ-বিদেশ তথা সারা বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান, জানা-অজানা সবকিছু প্রাথমিক এর এই শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে গতানুগতিক ধারার শিক্ষা থেকে বের হয়ে জ্ঞানী এক প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের এই কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিশুদের জন্য চমৎকার পরিবেশ, আধুনিক ও আনন্দঘন পাঠদান পদ্ধতি গড়ে তোলা হবে এই কার্যক্রমের আওতায়।
১। চকরিয়া উপজেলাধীন ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবকটিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ।
২। উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে "বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার" স্থাপন যাতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ কিছু ছবি ও ইতিহাস নিয়ে ফটো গ্যালারী ও বইয়ের সমাহার।
৩। উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাগার স্থাপন।
৪। উপজেলার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবেশ বান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন বাগান তৈরি করা।
৫। প্রত্যেকটি সরকারি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ গুলোকে পর্যায়ক্রমে আলোকোজ্জ্বল, ফ্লোর টাইলস করন, বিদ্যালয় প্রবেশ পথের অ্যাপ্রোচ রোড গুলোতে পার্কিং টাইলসকরণ।
৬। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রমের বাহিরে জ্ঞান প্রসারিত করার জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর মাধ্যমে আনন্দঘন পরিবেশে ক্লাস করানো।
৭। সরকারের "মিড-ডে-মিল" কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে সচল রাখা।
৮। উপজেলার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন।
৯। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নৈতিকতা ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, হেলথ ক্লাব ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম গ্রহণ।
১০। উপজেলার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সমস্যা পর্যালোচনা করে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার ক্রমশ কমানো এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া বন্ধ করা।
১১।প্রত্যেক সরকারি বিদ্যালয়ে সুসজ্জিত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী স্থাপন যাতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে ক্রীড়া সামগ্রী।
১২। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য থাকছে ক্রীড়া সামগ্রী।
১৩। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও দৃশ্যমান স্থানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য থাকবে নৈতিকতা শিক্ষার বাণী।


লেখক:
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
চকরিয়া, কক্সবাজার।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: