শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) :
চকরিয়ায় পুলিশ দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা করোনা ভ্যাকসিনের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্নকারী হাজার হাজার গ্রাহককে। এসব আগ্রহী গ্রাহক নিজ ব্যবহৃত মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার আগেই উপস্থিত হচ্ছেন টিকা কেন্দ্রে। এতে চরম বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সৃষ্ট হচ্ছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। কেউ লাইচ্যুত হলেই অন্যরা বাধিয়ে দিচ্ছে হট্টগোল। এভাবে কার আগে কে দিবে টিকা নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে চলছে এমন প্রতিযোগিতা।
শুধু হাসপাতাল প্রশাসন নয়; ক্ষুদে বার্তা না পেলে টিকা কেন্দ্রে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও। গত কয়েকমাসে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং মারা যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতি মানুষকে নতুনভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাই এহেন নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত কয়েকদিন ধরে হুমড়ি খেয়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে মরিয়া উঠেছেন রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্নকারী এসব গ্রাহক।
হাসপাতাল সূত্রে প্রকাশ, উপস্থিত টিকা (করোনা ভ্যাকসিন) গ্রাহকদের মধ্যে অর্ধেকের চেয়েও বেশি জনসাধারণ মোবাইলের ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) না দেখে নিবন্ধন কার্ডটি নিয়ে স্ব-শরীরে টিকা কেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন। ফলে দীর্ঘ লাইনের সারিতে ঠেলাঠেলি আর গাদাগাদি করে টিকা গ্রহণের চাইতে স্বাস্থ্যবিধিই উপেক্ষিত সর্বাধিকভাবে। প্রতিদিন টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত ক্ষুদে বার্তা না পাওয়া নিবন্ধিত কয়েক হাজার গ্রাহককে সামাল দিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বর্তমানে কয়েকদিন ধরে পুলিশ, আনসারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণসহ টিকা কেন্দ্রে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সূচনাকালীন পুরো দুনিয়া যখন অসহায়। এই অসহায়ত্বের সংকট উত্তরণে আবিস্কার করা হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানসিক শক্তি যোগাতে করোনা ভ্যাকসিন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের গভীর গবেষনার ফসল হিসেবে আবিস্কৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে সফল সমীক্ষা চালান। এতে তারা সফলতাও খুঁজে পান। কিন্তু বাজারে আসার পর (উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রভিত্তিক) বিনামূল্যের এ টিকা নিতে প্রথম দিকে চরম অনীহা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
একাধিক সূত্রে প্রকাশ, ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা পরবর্তী ভ্যাকসিনটি নিতে প্রবলভাবে আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বপ্ন দেখছেন নতুন করে বাঁচতে শেখার। তাই ভিড় জমিয়ে হলেও ডোজ এলোমেলো করে নিজ দেহে পুশ করাতে চান কোভিড-১৯এর এ ভ্যাকসিন। তবে চকরিয়া উপজেলায় টিকা নিয়ে এখনও পর্যন্ত অপ্রীতিকর অভিযোগ উঠেনি গ্রাহকদের পক্ষ থেকে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ মোহাম্মদুল হক শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমরা প্রতিদিন টিকা দিচ্ছি। পুলিশ ও আনসার বাহিনীও রীতিমত হিমশিম হয়ে যাচ্ছে আপনাদেরকে নিয়ে। এসএমএস না আসলে আপনারা দয়া করে আসবেন না। তিনি সকলের সুস্থতাও কামনা করে বলেন, অনেকেই মেসেজ না পেয়ে টিকা নিতে কেন্দ্রে চলে (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে) এসে আমাদেরকে খুবই বিব্রত করছেন। আপনারা পর্যায়ক্রমে সকলেই মেসেজ পাবেন। প্লিজ কেউ শৃংখলা নষ্ট করবেন না।
0 comments: