ফিলিস্তিনী-উইঘুরদের পক্ষে কথা বলায় নিউইয়র্কে পাকিস্তানী ছাত্রীকে হুমকি

অনলাইন ডেস্ক : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি ও উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে কথা বলে সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে পড়েছেন হুদা আয়াজ নামে এক পাকিস্তানি ছাত্রী ও তার পরিবার। সদ্যই এ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করা হুদা আয়াজ ও তার সহপাঠীদের সম্মাননা প্রদানের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে তিনি চীনের জিংজিয়াং প্রদেশ ও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন। সপ্তাহখানিক আগে এ ঘটনা ঘটে বলে গত বুধবার প্রভাবশালী আরবি গণমাধ্যম মুবাশির জানিয়েছে।

গণমাধ্যমকে হুদা আয়াজ এ সম্পর্কে বলেন, উইঘুর ও ফিলিস্তিনি মুসলিম ইস্যু নিয়ে সমাবর্তনে কথা বলার পরে অজ্ঞাত ঠিকানা থেকে তার নিকট একটি চিঠি আসে, চিঠিতে তাকে এবং তার পরিবারকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়।

জানা যায়, সমাবর্তনে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ‘উচ্চ শিক্ষার্জনের সময় ফেলে আসা পরিস্থিতি সম্পর্কে নিঃসঙ্কোচে বলো’ শিরোনামে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ ছিল- এরকম স্বাধীন শিরোনামের অনুষ্ঠানেও মুসলিমদের পক্ষে বলে হুমকি পেলেন পাক-তরুণী হুদা আয়াজ। তিনি তার বক্তৃতায় সদ্য বিদায়ী তার সহপাঠীদের ওইসব মানুষ সম্পর্কে কথা বলার আহবান জানান যারা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারে না এবং ওইসব মানুষের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করার কথা বলেন যারা মজলুম ও নির্যাতিত। একইসাথে জাতিগতভাবে নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনি ও উইঘুর মুসলিমদের সম্পর্কে তাদের সত্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার আহবান জানান। কারণ, তিনি তার বিগত শিক্ষাজীবনে এই দুই মুসলিম জাতির অসংখ্য নির্যাতিত হওয়ার খবর শুনেছেন।

হুদা আয়াজের বক্তৃতার ব্যাপারে তার স্কুল বলছে ভিন্ন কথা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, তার বক্তৃতার যে অংশটুকু নিয়ে আপত্তি সেটুকু তার পূর্ব লিখিত বক্তৃতায় ছিল না, এটুকু তিনি নিজ থেকেই বলেছেন। এরপরও হুদা আয়াজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারা। পরিবারকে পাঠানো একটি মেইলবার্তায় তারা দাবি করেছে, এরকম স্নাতক অনুষ্ঠান এ ধরণের মনোভাব প্রকাশের উপযুক্ত স্থান নয়।

তবে পাকিস্তানি তরুণী আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছেন, তিনি নাকি আগেই দায়িত্বশীলদের থেকে বক্তৃতায় সামান্য পরিবর্তনের অনুমোদন পান। তা ছাড়া, বিষয়টি শিরোনামের বিপরীত কিছু নয় বলে তার দাবি।(১ জুলাই, আল-জাজিরা)


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: